পাকিস্তানকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের স্বস্তি
সহ-অধিনায়কত্ব তো হারিয়েছেনই, প্রশ্ন উঠেছিল ওপেনিংয়ে তাঁর ব্যাটিং-সামর্থ্য নিয়েও। সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আসার আগে নিউজিল্যান্ডের নির্বাচকেরা জানিয়েও দিয়েছিলেন— ওপেনার হিসেবে এটাই তাঁর শেষ সুযোগ। কী দুর্দান্তই না সুযোগটাকে কাজে লাগালেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম! ১২৯ বলে খেললেন ১৩১ রান। ১৪টি চার ও ৩টি ছয়ের এই ইনিংসটিই ব্যবধান গড়ে দিল পরশুর ম্যাচে। ৬৪ রানে জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে সমতায় (১-১) ফিরল নিউজিল্যান্ড। তাদের ৩০৩ রানের স্কোর তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান ২৩৯ রানেই অলআউট। সিরিজ নির্ধারণী ‘ফাইনাল’ আগামীকাল।
শুধু ওপেনার হিসেবেই নয়, পুরো বছরটিই ম্যাককালামের বাজে কেটেছে। পরশুর ম্যাচের আগে এ বছর ২২টি ওয়ানডেতে ২৫.৮৫ গড়ে রান করেছেন ৫৪৩। গত ৯ ইনিংসে ফিফটি-শূন্য ম্যাককালামের কাছে সেঞ্চুরি ইনিংসটি বড় স্বস্তির। কত বড়, সেটা বোঝা গেল তাঁর উদ্যাপনেই। লাফালেন, শূন্যে ঘুষি ছুড়লেন। ১৬২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে মাত্রই দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, একটু অন্যরকম উদ্যাপন তো হবেই। ‘দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করার একটা ব্যাপার ছিল। শুরুটা করেও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলাম না। আমি খুব খুশি যে, এই রাতে তা খেলতে পেরেছি। সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানো সত্যিই আনন্দের’—ম্যাচ শেষে চাপমুক্তির স্বস্তি ম্যাককালামের কণ্ঠে।
ম্যাককালামের সেঞ্চুরি ইনিংসটি স্বস্তি দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকেও। এ ম্যাচ হেরে গেলেই সিরিজ জিতে যেত পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচের নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের নিউজিল্যান্ডের অনেক তফাত্। কারণ কী? ভেট্টোরির উত্তর, ‘আগের ম্যাচটির সূত্রে কিছু মূল বিষয়ে নিজেদের উন্নতি করার কথা আলোচনা করেছিলাম আমরা। আজ (শুক্রবার) তা করতে পেরেছি আমরা। খুবই ভালো খেলেছি।’
নিউজিল্যান্ডের ৩০৩ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রত্যয়ী সূচনাই করেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার সালমান বাট (৫৯) ও খালিদ লতিফ (৪৫) দলকে দিয়েছিলেন ৭৭ রানের জুটি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডিং সুবিধা করতে দেয়নি পাকিস্তানকে। ব্যাট হাতে টানা দুই ম্যাচে ‘ডাক’ পাওয়া রস টেলর ব্যর্থতা পুষিয়ে দিয়েছেন ইউনুস খান (১৯) ও শহীদ আফ্রিদির দুটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে হারানোর পর বড় জুটি গড়াটা ছিল অপরিহার্য। কিন্তু আকমল (৪), ইউসুফ (১৮), মালিকরা (২৬) জুটি গড়তে পারেননি। আট নম্বরে নেমে রাজ্জাক ৩৫ রান করলেও সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। সতীর্থদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং ছাড়াও ম্যাচ জয়ে স্কট স্টাইরিসের বোলিংকেও বড় করে দেখছেন ভেট্টোরি, ‘স্কটের ৩ উইকেট ম্যাচটিকে আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
পাকিস্তান অধিনায়ক ইউনুসের মুখেও স্টাইরিস-প্রশস্তি। নিউজিল্যান্ডের বড় রানের পেছনে ম্যাককালাম-গাপটিলের ১২৬ রানের জুটির অবদান স্বীকার করে ইউনুস বলেন, ‘তারা বড় একটা জুটি পেয়েছে। কিন্তু আমরা ব্যাটিংয়ে নেমে, বিশেষ করে স্টাইরিসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়েছি।
শুধু ওপেনার হিসেবেই নয়, পুরো বছরটিই ম্যাককালামের বাজে কেটেছে। পরশুর ম্যাচের আগে এ বছর ২২টি ওয়ানডেতে ২৫.৮৫ গড়ে রান করেছেন ৫৪৩। গত ৯ ইনিংসে ফিফটি-শূন্য ম্যাককালামের কাছে সেঞ্চুরি ইনিংসটি বড় স্বস্তির। কত বড়, সেটা বোঝা গেল তাঁর উদ্যাপনেই। লাফালেন, শূন্যে ঘুষি ছুড়লেন। ১৬২ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে মাত্রই দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, একটু অন্যরকম উদ্যাপন তো হবেই। ‘দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করার একটা ব্যাপার ছিল। শুরুটা করেও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলাম না। আমি খুব খুশি যে, এই রাতে তা খেলতে পেরেছি। সেঞ্চুরি করে দলকে জেতানো সত্যিই আনন্দের’—ম্যাচ শেষে চাপমুক্তির স্বস্তি ম্যাককালামের কণ্ঠে।
ম্যাককালামের সেঞ্চুরি ইনিংসটি স্বস্তি দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকেও। এ ম্যাচ হেরে গেলেই সিরিজ জিতে যেত পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচের নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের নিউজিল্যান্ডের অনেক তফাত্। কারণ কী? ভেট্টোরির উত্তর, ‘আগের ম্যাচটির সূত্রে কিছু মূল বিষয়ে নিজেদের উন্নতি করার কথা আলোচনা করেছিলাম আমরা। আজ (শুক্রবার) তা করতে পেরেছি আমরা। খুবই ভালো খেলেছি।’
নিউজিল্যান্ডের ৩০৩ রান তাড়া করতে গিয়ে প্রত্যয়ী সূচনাই করেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার সালমান বাট (৫৯) ও খালিদ লতিফ (৪৫) দলকে দিয়েছিলেন ৭৭ রানের জুটি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডিং সুবিধা করতে দেয়নি পাকিস্তানকে। ব্যাট হাতে টানা দুই ম্যাচে ‘ডাক’ পাওয়া রস টেলর ব্যর্থতা পুষিয়ে দিয়েছেন ইউনুস খান (১৯) ও শহীদ আফ্রিদির দুটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে হারানোর পর বড় জুটি গড়াটা ছিল অপরিহার্য। কিন্তু আকমল (৪), ইউসুফ (১৮), মালিকরা (২৬) জুটি গড়তে পারেননি। আট নম্বরে নেমে রাজ্জাক ৩৫ রান করলেও সেটা পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। সতীর্থদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং ছাড়াও ম্যাচ জয়ে স্কট স্টাইরিসের বোলিংকেও বড় করে দেখছেন ভেট্টোরি, ‘স্কটের ৩ উইকেট ম্যাচটিকে আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
পাকিস্তান অধিনায়ক ইউনুসের মুখেও স্টাইরিস-প্রশস্তি। নিউজিল্যান্ডের বড় রানের পেছনে ম্যাককালাম-গাপটিলের ১২৬ রানের জুটির অবদান স্বীকার করে ইউনুস বলেন, ‘তারা বড় একটা জুটি পেয়েছে। কিন্তু আমরা ব্যাটিংয়ে নেমে, বিশেষ করে স্টাইরিসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়েছি।
No comments