সাকিবদের অনুশীলনেও ঈদ-আমেজ
ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে কদিন আগেই। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকালও ছিল তার রেশ। ১৮ সেপ্টেম্বরের পর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আবার অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন কালই। হালকা অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেটাররা সেরে নিলেন কোলাকুলি। কেউ বা ব্যস্ত সতীর্থ আর কোচের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে।
কিছুক্ষণ আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে কয়েক পাক দৌড়ে এসেছেন কোচ জেমি সিডন্স। এর পর মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে আড্ডায় মেতে উঠলেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে।
‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলাগুলো কি দেখছেন?’ কোচের কাছে গিয়ে প্রশ্নটা করতেই একগাল হেসে উত্তর দিলেন, ‘না।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিজয়ী বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তখন ঢাকায় ফেরেননি সিডন্স। সদ্যোজাত কন্যা আর তার মাকে সময় দিতে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরিবারের পাশে বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ঈদের পরদিন। কোচকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সামনের ওয়ানডে সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
কালই প্রথম দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিডন্স। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই এই অস্ট্রেলিয়ানের। তাঁর চিন্তাভাবনার রাজ্যে এখন পুরোটাই ঘুরপাক খাচ্ছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ‘আমার ছেলেদের নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আশা করি, সামনের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও ভালো খেলবে ওরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরের পর ওদের আত্মবিশ্বাসও খুবই উঁচুতে।’
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফেরা খেলোয়াড়দের বেশ সতেজ-সপ্রাণ মনে হলো। কাল অনুশীলনে অবশ্য যোগ দেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অস্ট্রেলিয়া থেকে অস্ত্রোপচারের পর এখনো পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া চলছে মাশরাফির। পুরো ফিট হয়ে কবে ফিরবেন তিনি? কোচের উত্তর, ‘ওর যে ইনজুরি তাতে এত তাড়াতাড়ি হয়তো ফিরতে পারবে না। তবে আমি আশা করছি, নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ও সুস্থ হয়ে উঠবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাশরাফির খেলা হচ্ছে না—এটা নিশ্চিত। খানিকটা সংশয় আছে অস্ট্রেলিয়া থেকেই চিকিত্সা নিয়ে ফেরা সহ-অধিনায়ক সাকিবকে নিয়েও। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর খেলা নিয়ে আশাবাদী কোচ, ‘এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ও খেলবে।’
সাকিব নিজেও আশাবাদী, ‘আমার অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। এখনই যদিও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফেরার আশা রয়েছে আমার।’
সিডন্সের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা একেবারে না দেখলেও মাঝেমধ্যে দুই-একটা ম্যাচ দেখছেন সাকিব। তাঁর নেতৃত্বে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাস্তানাবুদ করে ফিরল বাংলাদেশ, তারাই খেলছে আট জাতির ওই টুর্নামেন্টে। আর বাংলাদেশ নেই তাতে! এ নিয়ে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা। তবে বাস্তববাদী সাকিব বলছেন, ‘এটা তো আগেই নির্ধারিত করা থাকে কারা খেলবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দলই ওখানে খেলবে। আমাদের খেলার তো তাই কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’ মজা করে বললেন, ‘যদি খেলতেই হতো তা হলে কি এবার দেশে ঈদ করতে পারতাম!’
এবার বাংলাদেশ নেই তো কী হয়েছে? আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলানোর স্বপ্ন কোচ সিডন্সের, ‘এবার আমরা সেখানে খেলতে পারছি না সেটা ভিন্ন ব্যাপার। এখানে র্যাঙ্কিংয়ের হিসাব রয়েছে। তবে আমি আশা করি, আগামীবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে।’
আপাতত সেসব নিয়ে না ভেবে জিম্বাবুয়েকে দেশের মাটিতে হারানোর চিন্তাই করছেন সিডন্স। কালকের অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন সৈয়দ রাসেল ও জুনায়েদ সিদ্দিক। রাসেল জ্বরে ভুগছেন। আর জুনায়েদের বাবা অসুস্থ। তাঁদের ছাড়াই অন্যদের নিয়ে শুধু ফিটনেস ট্রেনিংটাই সারলেন কোচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
কিছুক্ষণ আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে কয়েক পাক দৌড়ে এসেছেন কোচ জেমি সিডন্স। এর পর মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে আড্ডায় মেতে উঠলেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে।
‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলাগুলো কি দেখছেন?’ কোচের কাছে গিয়ে প্রশ্নটা করতেই একগাল হেসে উত্তর দিলেন, ‘না।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিজয়ী বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তখন ঢাকায় ফেরেননি সিডন্স। সদ্যোজাত কন্যা আর তার মাকে সময় দিতে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরিবারের পাশে বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ঈদের পরদিন। কোচকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সামনের ওয়ানডে সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
কালই প্রথম দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিডন্স। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা নেই এই অস্ট্রেলিয়ানের। তাঁর চিন্তাভাবনার রাজ্যে এখন পুরোটাই ঘুরপাক খাচ্ছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ‘আমার ছেলেদের নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আশা করি, সামনের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও ভালো খেলবে ওরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরের পর ওদের আত্মবিশ্বাসও খুবই উঁচুতে।’
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফেরা খেলোয়াড়দের বেশ সতেজ-সপ্রাণ মনে হলো। কাল অনুশীলনে অবশ্য যোগ দেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অস্ট্রেলিয়া থেকে অস্ত্রোপচারের পর এখনো পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া চলছে মাশরাফির। পুরো ফিট হয়ে কবে ফিরবেন তিনি? কোচের উত্তর, ‘ওর যে ইনজুরি তাতে এত তাড়াতাড়ি হয়তো ফিরতে পারবে না। তবে আমি আশা করছি, নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ও সুস্থ হয়ে উঠবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাশরাফির খেলা হচ্ছে না—এটা নিশ্চিত। খানিকটা সংশয় আছে অস্ট্রেলিয়া থেকেই চিকিত্সা নিয়ে ফেরা সহ-অধিনায়ক সাকিবকে নিয়েও। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর খেলা নিয়ে আশাবাদী কোচ, ‘এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ও খেলবে।’
সাকিব নিজেও আশাবাদী, ‘আমার অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। এখনই যদিও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফেরার আশা রয়েছে আমার।’
সিডন্সের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলা একেবারে না দেখলেও মাঝেমধ্যে দুই-একটা ম্যাচ দেখছেন সাকিব। তাঁর নেতৃত্বে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাস্তানাবুদ করে ফিরল বাংলাদেশ, তারাই খেলছে আট জাতির ওই টুর্নামেন্টে। আর বাংলাদেশ নেই তাতে! এ নিয়ে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা। তবে বাস্তববাদী সাকিব বলছেন, ‘এটা তো আগেই নির্ধারিত করা থাকে কারা খেলবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দলই ওখানে খেলবে। আমাদের খেলার তো তাই কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’ মজা করে বললেন, ‘যদি খেলতেই হতো তা হলে কি এবার দেশে ঈদ করতে পারতাম!’
এবার বাংলাদেশ নেই তো কী হয়েছে? আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশকে খেলানোর স্বপ্ন কোচ সিডন্সের, ‘এবার আমরা সেখানে খেলতে পারছি না সেটা ভিন্ন ব্যাপার। এখানে র্যাঙ্কিংয়ের হিসাব রয়েছে। তবে আমি আশা করি, আগামীবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে।’
আপাতত সেসব নিয়ে না ভেবে জিম্বাবুয়েকে দেশের মাটিতে হারানোর চিন্তাই করছেন সিডন্স। কালকের অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন সৈয়দ রাসেল ও জুনায়েদ সিদ্দিক। রাসেল জ্বরে ভুগছেন। আর জুনায়েদের বাবা অসুস্থ। তাঁদের ছাড়াই অন্যদের নিয়ে শুধু ফিটনেস ট্রেনিংটাই সারলেন কোচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
No comments