মার্কিন সিনেটে পাকিস্তানের জন্য সহায়তা বিল অনুমোদন
পাকিস্তানের জন্য বেসামরিক সহায়তা তিন গুণ বাড়ানোর বিলটি অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট। গত বৃহস্পতিবার বিলটি অনুমোদন করা হয়। এর মাধ্যমে বেসামরিক সহায়তা হিসেবে পাকিস্তানের জন্য বার্ষিক দেড় শ কোটি ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইসলামাবাদকে অনেক দিন আগেই সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।
নতুন এই মার্কিন সহায়তা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হবে। বিশেষ করে সেদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য এ অর্থ সহায়তা দিতে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। পাশাপাশি আল-কায়েদা ও অন্যান্য ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক সহায়তা হিসেবে এ বরাদ্দ ব্যয় করা যাবে। তবে তা অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হতে হবে বলে শর্ত রেখেছে মার্কিন সরকার।
বিলটি পাসের পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জন্য নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো মার্কিন কংগ্রেস পাকিস্তানের জন্য একটি বহুবার্ষিক প্রতিশ্রুতি দিল। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সিনেটে পাস হওয়ার পর এখন বিলটি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদনের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এতে সই করবেন।
এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্রেটিক পাকিস্তানের ব্যানারে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি যৌথভাবে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘পাকিস্তানের সহিংস জঙ্গিবাদ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। আমরা বিশ্বাস করি, আশা ভয়কে জয় করবে। তবে এ ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল প্রতিশ্রুতি দরকার।’
দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে জারদারি বলেন, এক বছর আগেও পাকিস্তানকে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ পাকিস্তান চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ববাসীর জন্য সবচেয়ে বড় আশা।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আফগানিস্তান আক্রমণ করার পর থেকে পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিদের তত্পরতা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময় সেদেশে আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি বড় আত্মঘাতী হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। মার্কিন সরকার আগে থেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।
নতুন এই মার্কিন সহায়তা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হবে। বিশেষ করে সেদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য এ অর্থ সহায়তা দিতে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। পাশাপাশি আল-কায়েদা ও অন্যান্য ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক সহায়তা হিসেবে এ বরাদ্দ ব্যয় করা যাবে। তবে তা অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হতে হবে বলে শর্ত রেখেছে মার্কিন সরকার।
বিলটি পাসের পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জন্য নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রথমবারের মতো মার্কিন কংগ্রেস পাকিস্তানের জন্য একটি বহুবার্ষিক প্রতিশ্রুতি দিল। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সিনেটে পাস হওয়ার পর এখন বিলটি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদনের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এতে সই করবেন।
এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্রেটিক পাকিস্তানের ব্যানারে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি যৌথভাবে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘পাকিস্তানের সহিংস জঙ্গিবাদ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। আমরা বিশ্বাস করি, আশা ভয়কে জয় করবে। তবে এ ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল প্রতিশ্রুতি দরকার।’
দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে জারদারি বলেন, এক বছর আগেও পাকিস্তানকে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ পাকিস্তান চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ববাসীর জন্য সবচেয়ে বড় আশা।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আফগানিস্তান আক্রমণ করার পর থেকে পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিদের তত্পরতা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময় সেদেশে আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি বড় আত্মঘাতী হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। মার্কিন সরকার আগে থেকেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।
No comments