বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় শিক্ষা হলো সহনশীলতা -সমাবর্তন বক্তব্যে আলী রীয়াজ
সোমবার রাজধানী পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবেশন সেন্টারে আয়োজিত গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর পঞ্চম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের। একই সঙ্গে গভীর সমাবেদনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রতি।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'প্রতিযোগিতা কেবল এই দেশে যারা আপনার সঙ্গে আছেন, শুধু তাদের সঙ্গে নয়, আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে সারাবিশ্বের মেধাবীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। সাইবার প্রযুক্তি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট ও রোবোটিক্স মানুষের সক্ষমতাকে অনবরত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরকার হবে শৃঙ্খলা। তার সঙ্গে দরকার হবে সৃষ্টিশীলতা। জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডারে আপনি কী নতুন কিছু যুক্ত করতে পারলেন এটাই বড় প্রশ্ন।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা দরকার, আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, সেই পৃথিবী আমাদের কাছে অর্পণ করা হয়েছে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। এই সুরক্ষার দায়িত্ব আমার, এই সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের, এই সুরক্ষার দায়িত্ব আপনার। এর যতটা ভোগ করবো, তার চেয়ে উন্নত বিশ্ব আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য তৈরি করতে পারছি কিনা সেটাই আমাদের বড় পরীক্ষা।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘জ্ঞান আলোর পথ দেখায়। সেই জ্ঞানকে যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করতে না পারলে, সেই জ্ঞানের আলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। সাহসিকতার সঙ্গে বিরূপ সময় মোকাবিলা করতে না পারলে আপনি পেছনে থাকবেন।’
এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যের জন্য আলোকবর্তিকা হওয়ার আহ্বান জানান এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
![]() |
অধ্যাপক আলী রীয়াজ। |
No comments