বর্ষপূর্তি বিশেষ: উইকিলিকস-এর আলোচিত ফাঁসগুলো by মিছবাহ পাটওয়ারী
বাগদাদে মার্কিন হেলিকপ্টার হামলা
২০১০ সালের ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, ওই হামলায় কীভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এক ব্যক্তি সবাইকে জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ করে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা একটি গাড়িতেও গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় নিজ সহকারীসহ নিহত হন রয়টার্সের একজন ফটোগ্রাফার। ওই হামলায় মোট ১৮ জনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। এই ভিডিও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের একটি প্রামাণ্য দলিল।
আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের ৭৫ হাজার নথি
২০১০ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের ৭৫ হাজার গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার নথি ফাঁস করে দেওয়া হয়। এছাড়া তালেবানের ক্রমবর্ধমান হামলা ও দেশটির অস্থিরতার নেপথ্যে পাকিস্তান ও ইরানের যোগসাজশের কথাও উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ লাখ কূটনৈতিক নথি ফাঁস
২০১০ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৮টি কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস। প্রতিষ্ঠানটি এর নাম দেয় ক্যাবলগেট। দুনিয়া কাঁপানো ওইসব তথ্য ছিল মূলত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের। আকারের দিক থেকে এটি ছিল ১ দশমিক ৭৩ গিগাবাইট। এর আগের সবচেয়ে বড় ফাঁসের চেয়ে এর ডাটার পরিমাণ ছিল প্রায় শতগুণ বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ২৭৪টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে এসব সংগ্রহ করা হয়।
গুয়ানতানামো বে কারাগার
২০১১ সালের এপ্রিলে উইকিলিকসের ফাঁস করা গোয়েন্দা নথিতে উঠে আসে কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে মার্কিন বাহিনীর হাতে জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের বিষয়টি। সেখানে ১৪ থেকে ৮৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের ৮০০ বন্দির ওপর মার্কিন নিপীড়নের নথি ফাঁস করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
সৌদি-যুক্তরাজ্য যোগসাজশ
২০১৫ সালের জুনে প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ পেতে গোপন ভোটবাণিজ্যে মেতেছিল সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া নথি থেকে ওই তথ্য পায় উইকিলিকস।
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ই-মেইল
২০১৬ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ১৯ হাজার ২৫২টি ই-মেইল এবং আট হাজার ৩৪টি অ্যাটাচমেন্ট ফাঁস করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ওই ঘটনার জেরে এর সঙ্গে যুক্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতা পদত্যাগ করেন।
দুনিয়াজুড়ে সিআইএ’র নজরদারি
২০১৭ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএ’র হ্যাকিং কৌশল নিয়ে ‘ভল্ট সেভেন’ নামে বেশ কিছু নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, দুনিয়াজুড়ে লোকজনের গাড়ি, স্মার্টফোন, স্মার্ট টেলিভিশন, ওয়েব ব্রাউজার ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নজরদারি চালায় সিআইএ। আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ, স্যামসাং টেলিভিশন কিছুই এ নজরদারি তালিকার বাইরে নয়। এর মধ্য দিয়ে সিআইএ এসব ডিভাইস হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নেয়। গোয়েন্দা সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় আকারের নথি ফাঁসের ঘটনা।
সূত্র: উইকিলিকস-এর ওয়েবসাইট।
২০১০ সালের ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, ওই হামলায় কীভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এক ব্যক্তি সবাইকে জ্বালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ করে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা একটি গাড়িতেও গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় নিজ সহকারীসহ নিহত হন রয়টার্সের একজন ফটোগ্রাফার। ওই হামলায় মোট ১৮ জনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। এই ভিডিও আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের একটি প্রামাণ্য দলিল।
আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের ৭৫ হাজার নথি
২০১০ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের ৭৫ হাজার গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দেয় উইকিলিকস। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার নথি ফাঁস করে দেওয়া হয়। এছাড়া তালেবানের ক্রমবর্ধমান হামলা ও দেশটির অস্থিরতার নেপথ্যে পাকিস্তান ও ইরানের যোগসাজশের কথাও উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ লাখ কূটনৈতিক নথি ফাঁস
২০১০ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৮টি কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দেয় উইকিলিকস। প্রতিষ্ঠানটি এর নাম দেয় ক্যাবলগেট। দুনিয়া কাঁপানো ওইসব তথ্য ছিল মূলত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের। আকারের দিক থেকে এটি ছিল ১ দশমিক ৭৩ গিগাবাইট। এর আগের সবচেয়ে বড় ফাঁসের চেয়ে এর ডাটার পরিমাণ ছিল প্রায় শতগুণ বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ২৭৪টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে এসব সংগ্রহ করা হয়।
গুয়ানতানামো বে কারাগার
২০১১ সালের এপ্রিলে উইকিলিকসের ফাঁস করা গোয়েন্দা নথিতে উঠে আসে কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে মার্কিন বাহিনীর হাতে জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের বিষয়টি। সেখানে ১৪ থেকে ৮৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের ৮০০ বন্দির ওপর মার্কিন নিপীড়নের নথি ফাঁস করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
সৌদি-যুক্তরাজ্য যোগসাজশ
২০১৫ সালের জুনে প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ পেতে গোপন ভোটবাণিজ্যে মেতেছিল সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া নথি থেকে ওই তথ্য পায় উইকিলিকস।
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ই-মেইল
২০১৬ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ১৯ হাজার ২৫২টি ই-মেইল এবং আট হাজার ৩৪টি অ্যাটাচমেন্ট ফাঁস করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটনের প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ওই ঘটনার জেরে এর সঙ্গে যুক্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতা পদত্যাগ করেন।
দুনিয়াজুড়ে সিআইএ’র নজরদারি
২০১৭ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএ’র হ্যাকিং কৌশল নিয়ে ‘ভল্ট সেভেন’ নামে বেশ কিছু নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস। এতে দেখা যায়, দুনিয়াজুড়ে লোকজনের গাড়ি, স্মার্টফোন, স্মার্ট টেলিভিশন, ওয়েব ব্রাউজার ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে নজরদারি চালায় সিআইএ। আইফোন, অ্যান্ড্রয়েড, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ, স্যামসাং টেলিভিশন কিছুই এ নজরদারি তালিকার বাইরে নয়। এর মধ্য দিয়ে সিআইএ এসব ডিভাইস হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নেয়। গোয়েন্দা সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় আকারের নথি ফাঁসের ঘটনা।
সূত্র: উইকিলিকস-এর ওয়েবসাইট।
No comments