যারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে -মির্জা ফখরুল
যারা
ন্যূনতম ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, তারা গণতন্ত্রের কথা কেন বলে- এমন
প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন ,
কিছুদিন আগে পৃথিবীর একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও ভিন্নমতের লেখক অরুন্ধতী রায়
একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য ঢাকা এসেছিলেন। তার যে ভেন্যুতে
বক্তব্য রাখার কথা ছিল সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপর যেখানে গিয়েছিল
সেখানেও বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি বক্তব্য দিয়েছেন
কিন্তু কিছুটা ভয় পেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। আমার প্রশ্নটা এখানেই- যারা এতটুকু
ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, যাদের মধ্যে ন্যূনতম সহনশীলতাটুকুও নেই; তারা
গণতন্ত্রের কথা বলবে কেন? তাদের সরাসরি নর্থ কোরিয়ার কিমের মতো বলা উচিত
যে, আমি একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি, আমি যা বলব সেটাই আইন।
সেটা বললেই তো হয়ে যায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস আয়োজিত প্রয়াত কবি আল মাহমুদের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, একটা ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে পুরোপুরি। সরকার আজকে বাংলাদেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। পুরো বাংলাদেশের মানুষের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে। আজকে সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিককে কারাগার পাঠায়। কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমাদের শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে এবং তাদেরকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। আমাদের আবদুস সালাম পিন্টু (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) ১০ বছর ধরে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন।
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল একবছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। অথচ জামিন দেয়া হয় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, আবদুর রহমান বদিকে- যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা ক্ষমতা দখল করে আছে বেআইনিভাবে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে এবং করেও ফেলেছে। উদ্দেশ্য- বাংলাদেশকে একটা নতজানু পরনির্ভরশীল দেশে পরিণত করা। বর্তমান সরকার আজকে পরাশক্তিগুলোর কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা কঠিন সময় পার করছি। তবে বিশ্বাস রেখে কাজ করে গেলে কঠিন সময়ও সহজ হয়ে যাবে মনে করছি। কঠিন সময় সহজ হয়ে আসবে যদি আমরা সবাই মনে করি, ‘হ্যাঁ, আমরা পারবো।’ তাহলে আমরা অবশ্যই পারব, আমরা জয়ী হবো- এই বোধ আনতে হবে। এই বোধ না আনতে পারলে আমরা সফল হতে পারবো না। আমাদের বুকের ওপর যে পাথর আছে, সে পাথর সরাতে পারব।
তাই কখনও হতাশ হবেন না। হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। যে রাজনীতি মানুষের কথা বলে, সে রাজনীতি কখনও পরাজিত হবে না। কবি আল মাহমুদের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল মাহমুদকে শহীদ মিনারে সম্মান দেখানো হয়নি। এরা সম্মান দেখাবে কোথা থেকে। আমার তো সন্দেহ হয়, তারা কি একুশ ও একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাস করে? করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাটাকে তারা কতটুকু বিশ্বাস করে- এ প্রশ্ন করেন মির্জা আলমগীর। সাহিত্য ও সংগীতের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আন্দোলনের বোধ জাগ্রত করতে জাসাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের সহসভাপতি বাবুল আহমেদের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যদের মধ্যে গীতিকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কবি আবদুল হাই শিকদার ও জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান বক্তব্য দেন।
সেটা বললেই তো হয়ে যায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস আয়োজিত প্রয়াত কবি আল মাহমুদের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, একটা ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষকে বিভ্রান্ত ও প্রতারণা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে পুরোপুরি। সরকার আজকে বাংলাদেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। পুরো বাংলাদেশের মানুষের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে। আজকে সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিককে কারাগার পাঠায়। কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমাদের শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে এবং তাদেরকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। আমাদের আবদুস সালাম পিন্টু (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) ১০ বছর ধরে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন।
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল একবছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। অথচ জামিন দেয়া হয় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দীন খান আলমগীর, আবদুর রহমান বদিকে- যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা ক্ষমতা দখল করে আছে বেআইনিভাবে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে এবং করেও ফেলেছে। উদ্দেশ্য- বাংলাদেশকে একটা নতজানু পরনির্ভরশীল দেশে পরিণত করা। বর্তমান সরকার আজকে পরাশক্তিগুলোর কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা কঠিন সময় পার করছি। তবে বিশ্বাস রেখে কাজ করে গেলে কঠিন সময়ও সহজ হয়ে যাবে মনে করছি। কঠিন সময় সহজ হয়ে আসবে যদি আমরা সবাই মনে করি, ‘হ্যাঁ, আমরা পারবো।’ তাহলে আমরা অবশ্যই পারব, আমরা জয়ী হবো- এই বোধ আনতে হবে। এই বোধ না আনতে পারলে আমরা সফল হতে পারবো না। আমাদের বুকের ওপর যে পাথর আছে, সে পাথর সরাতে পারব।
তাই কখনও হতাশ হবেন না। হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। যে রাজনীতি মানুষের কথা বলে, সে রাজনীতি কখনও পরাজিত হবে না। কবি আল মাহমুদের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল মাহমুদকে শহীদ মিনারে সম্মান দেখানো হয়নি। এরা সম্মান দেখাবে কোথা থেকে। আমার তো সন্দেহ হয়, তারা কি একুশ ও একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাস করে? করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাটাকে তারা কতটুকু বিশ্বাস করে- এ প্রশ্ন করেন মির্জা আলমগীর। সাহিত্য ও সংগীতের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আন্দোলনের বোধ জাগ্রত করতে জাসাসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের সহসভাপতি বাবুল আহমেদের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যদের মধ্যে গীতিকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কবি আবদুল হাই শিকদার ও জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান বক্তব্য দেন।
No comments