ইন্টারনেটে ব্ল্যাকমেইল by রুদ্র মিজান
রাজধানীর
ফুটপাথ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক, ইমো, বিগো লাইভ। সবকিছুতেই
তাদের উপস্থিতি। নিজের সুন্দর চেহারাই পুঁজি। নানাভাবে চেহারা প্রদর্শন করে
পুরুষদের আকৃষ্ট করে তারা। অল্প সময়েই ঘনিষ্ঠ হয়ে মিশন সম্পন্ন করা। এই
চক্রটি ছড়িয়ে আছে ঢাকার বিভিন্নস্থানে। তাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পেয়েছে গোয়েন্দারা।
সূত্রমতে, এই চক্রে জড়িতরা নিজেদের নানাভাবে পরিচয় দেয়।
তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলাও রয়েছে। চক্রটির বেশির ভাড় সদস্য সুন্দরী। তাদের সঙ্গে এক শ্রেণির পুরুষও জড়িত। চক্রটি নানা কৌশলে বিত্তশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। তারপর নির্জনে বা বাসায় ডেকে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। তাদের একজন বর্ষা আহমেদ। ফেসবুকে এই নামেই পরিচিত তিনি। নিজেকে মিডিয়া জগতের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। কখনো কখনো খ্যাতনামা পরিচালক, অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে ছবি তোলে তা আপলোড করেন। বর্ষার প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন থেকেই ওই তরুণী তার বন্ধু তালিকায় ছিলেন। প্রায়ই নিজের বিভিন্ন ছবি আপলোড করেন। মাঝে-মধ্যে হাই-হ্যালো হতো। হঠাৎ একদিন ওই তরুণী ক্ষুদেবার্তা দিয়ে জানায়, বাড়িতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছে। তার টাকার দরকার। কয়েক হাজার টাকা হলেই চলবে। ঢাকায় এসে টাকাটা ফেরত দেবে।
বর্ষার কথাগুলো বিশ্বাস হচ্ছিল না। মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য ভার্চুয়াল এক ফ্রেন্ডকে এভাবে বলা যেতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে। তাই বললেন, ভিডিও কল দেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিও কল দিয়ে নিজের চেহারা প্রদর্শন করলো বর্ষা। অল্প কথা বলেই জানালো পরে কথা হবে। তারপর বর্ষার কথামতো এক হাজার টাকা বিকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই বর্ষার ফোন বন্ধ। ফেসবুকে ব্লক। একইভাবে আরেক মধ্য বয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বর্ষা।
এই চক্রের আরেক সদস্য নাজমা। থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকায়। নিজেকে মডেল হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন পঁয়ত্রিশ ঊর্ধ্ব এই নারী। সূত্রমতে, এই নাজমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকে, ফোনে এমনকি রাস্তায় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়ে সখ্য গড়ে তোলেন। তারপর বাসায় ডেকে নেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকার বাসায় সন্ধ্যার দিকে ডেকে নেন নাজমা। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক যুবক নাজমাসহ তাকে ঘিরে ধরে। তারা ছবি তোলে। হুমকি দেয় পুলিশে ধরিয়ে দেবে। অভিযোগ করা হয় অনৈতিক সম্পর্কের। বাধ্য হয়েই সর্বস্ব দিয়ে মুক্তি পান তিনি। তবে এ বিষয়ে সামাজিক কারণে কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি।
এই নাজমা, বর্ষা এখন আশ্রয় নিয়েছেন বিগো লাইভে। রাত ১১টার পর সেজেগুজে বিগোতে উপস্থিত হন। রাত বাড়তে থাকে। জমতে থাকে আড্ডা। গানে-আড্ডায় গভীর রাত। দর্শক অনেকেই থাকলেও ভিডিও কলে নেন মূলত প্রবাসীদের। তারপর তাদের সঙ্গে পার্সনাল ফোন নম্বর আদান প্রাদান। পরবর্তীতে ইমোতে ভিডিও কলে কথা বলেন। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রদর্শন করেন প্রবাসীদের সামনে। এজন্য বিকাশে টাকা নেন তারা। ঘণ্টা হিসেবে টাকা দিতে হয় প্রবাসীদের। সূত্রমতে নাজমা, বর্ষা, শান্তা, মনিসহ অন্তত দুই শতাধিক সুন্দরী নারী রয়েছে যারা বিগো থেকে প্রতি রাতে হাজার-হাজার টাকায় হাতিয়ে নেয়।
এই চক্রের আরেক সদস্য শান্তা। মূলত অনৈতিক কাজের মাধ্যমে টাকা রুজিই তার পেশা। সন্ধ্যার পরপর সেজেগুজে উপস্থিত হতেন ফটুপাথে। ফার্মগেট, পান্তকুঞ্জ, জাতীয় নাট্যমঞ্চ এলাকায় দেখা যায় তাকে। ছিনতাইকারীদের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতা। খদ্দের সংগ্রহ করে নির্জন এলাকায় বা হোটেলে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা গতিরোধ করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এতে সহযোগিতা করে শান্তা নিজেই। পরবর্তীতে ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি হয়। এই শান্তাও এখন বিগো লাইভে নিয়মিত থাকেন। কথা বলে, ইমোতে শরীর প্রদর্শন করে টাকা রুজি করেন। এ ছাড়াও রাজধানীর অন্তত অর্ধশত তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারীরাও নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রাখে বিগো। তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ইমোতে তাদের দেখে এক শ্রেণির বিকৃত রুচির পুরুষরা অর্থ দিয়ে থাকেন।
এই চক্রটিকে নিয়ে কাজ করছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে যারা অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। তরুণ-কিশোরদের বিপদগামী করছে। ব্ল্যাকমেইল করছে। ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্রমতে, এই চক্রে জড়িতরা নিজেদের নানাভাবে পরিচয় দেয়।
তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলাও রয়েছে। চক্রটির বেশির ভাড় সদস্য সুন্দরী। তাদের সঙ্গে এক শ্রেণির পুরুষও জড়িত। চক্রটি নানা কৌশলে বিত্তশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। তারপর নির্জনে বা বাসায় ডেকে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। তাদের একজন বর্ষা আহমেদ। ফেসবুকে এই নামেই পরিচিত তিনি। নিজেকে মিডিয়া জগতের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। কখনো কখনো খ্যাতনামা পরিচালক, অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে ছবি তোলে তা আপলোড করেন। বর্ষার প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন থেকেই ওই তরুণী তার বন্ধু তালিকায় ছিলেন। প্রায়ই নিজের বিভিন্ন ছবি আপলোড করেন। মাঝে-মধ্যে হাই-হ্যালো হতো। হঠাৎ একদিন ওই তরুণী ক্ষুদেবার্তা দিয়ে জানায়, বাড়িতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছে। তার টাকার দরকার। কয়েক হাজার টাকা হলেই চলবে। ঢাকায় এসে টাকাটা ফেরত দেবে।
বর্ষার কথাগুলো বিশ্বাস হচ্ছিল না। মাত্র কয়েক হাজার টাকার জন্য ভার্চুয়াল এক ফ্রেন্ডকে এভাবে বলা যেতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে। তাই বললেন, ভিডিও কল দেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিও কল দিয়ে নিজের চেহারা প্রদর্শন করলো বর্ষা। অল্প কথা বলেই জানালো পরে কথা হবে। তারপর বর্ষার কথামতো এক হাজার টাকা বিকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই বর্ষার ফোন বন্ধ। ফেসবুকে ব্লক। একইভাবে আরেক মধ্য বয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বর্ষা।
এই চক্রের আরেক সদস্য নাজমা। থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকায়। নিজেকে মডেল হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন পঁয়ত্রিশ ঊর্ধ্ব এই নারী। সূত্রমতে, এই নাজমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকে, ফোনে এমনকি রাস্তায় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়ে সখ্য গড়ে তোলেন। তারপর বাসায় ডেকে নেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকার বাসায় সন্ধ্যার দিকে ডেকে নেন নাজমা। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক যুবক নাজমাসহ তাকে ঘিরে ধরে। তারা ছবি তোলে। হুমকি দেয় পুলিশে ধরিয়ে দেবে। অভিযোগ করা হয় অনৈতিক সম্পর্কের। বাধ্য হয়েই সর্বস্ব দিয়ে মুক্তি পান তিনি। তবে এ বিষয়ে সামাজিক কারণে কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি।
এই নাজমা, বর্ষা এখন আশ্রয় নিয়েছেন বিগো লাইভে। রাত ১১টার পর সেজেগুজে বিগোতে উপস্থিত হন। রাত বাড়তে থাকে। জমতে থাকে আড্ডা। গানে-আড্ডায় গভীর রাত। দর্শক অনেকেই থাকলেও ভিডিও কলে নেন মূলত প্রবাসীদের। তারপর তাদের সঙ্গে পার্সনাল ফোন নম্বর আদান প্রাদান। পরবর্তীতে ইমোতে ভিডিও কলে কথা বলেন। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রদর্শন করেন প্রবাসীদের সামনে। এজন্য বিকাশে টাকা নেন তারা। ঘণ্টা হিসেবে টাকা দিতে হয় প্রবাসীদের। সূত্রমতে নাজমা, বর্ষা, শান্তা, মনিসহ অন্তত দুই শতাধিক সুন্দরী নারী রয়েছে যারা বিগো থেকে প্রতি রাতে হাজার-হাজার টাকায় হাতিয়ে নেয়।
এই চক্রের আরেক সদস্য শান্তা। মূলত অনৈতিক কাজের মাধ্যমে টাকা রুজিই তার পেশা। সন্ধ্যার পরপর সেজেগুজে উপস্থিত হতেন ফটুপাথে। ফার্মগেট, পান্তকুঞ্জ, জাতীয় নাট্যমঞ্চ এলাকায় দেখা যায় তাকে। ছিনতাইকারীদের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতা। খদ্দের সংগ্রহ করে নির্জন এলাকায় বা হোটেলে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা গতিরোধ করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এতে সহযোগিতা করে শান্তা নিজেই। পরবর্তীতে ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি হয়। এই শান্তাও এখন বিগো লাইভে নিয়মিত থাকেন। কথা বলে, ইমোতে শরীর প্রদর্শন করে টাকা রুজি করেন। এ ছাড়াও রাজধানীর অন্তত অর্ধশত তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারীরাও নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রাখে বিগো। তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ইমোতে তাদের দেখে এক শ্রেণির বিকৃত রুচির পুরুষরা অর্থ দিয়ে থাকেন।
এই চক্রটিকে নিয়ে কাজ করছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে যারা অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। তরুণ-কিশোরদের বিপদগামী করছে। ব্ল্যাকমেইল করছে। ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments