স্যারের কথা সত্যি নয় -সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গা
‘আমাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না, বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না’। বৃহস্পতিবার হঠাৎ জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে এরশাদ পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গাড়ির মধ্যে বসেই জানিয়েছিলেন তার বর্তমান অবস্থার কথা। তিনি হাসপাতালের পোশাকেই বাসায় যাচ্ছিলেন, এ সময় পার্টির নেতাকর্মীদের দেখতে এসে ক্ষুব্ধ হয়ে এ বার্তা দেন। তাকে কেন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না, বাইরে যেতে কেন এবং কারা বাধা দিচ্ছে এমন প্রশ্নের মুখে গতকাল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেছেন, স্যারের চিকিৎসায় বাধা-এর কোনো কথাই কিন্তু সত্যি নয়। আমি ওনার পাশেই ছিলাম। সঙ্গেই ছিলাম। নির্বাচন চলে আসছে। আমি বলেছি নির্বাচনের দু-একটা দিন থেকে আপনি চলে যান।
বয়স হলে ব্লাডের সমস্যা অ্যারাইজ করে। জাপা চেয়ারম্যানের জন্য সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা হলে ভালো হবে, সে কারণে তাকে যেতে হবে। মনোনয়ন জমা নেয়া হয়ে যাক। তারপরেই যাবেন। গতকাল দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রাঙা বলেন, মহাজোটের শরিক সবার সঙ্গে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ থেকে চেয়েছিলাম ৫৪টি আসন, আমরা ৪৫টি পেতে পারি। এজন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে।
রাঙা বলেন, আমরা জোট ছাড়া যদি থাকতাম, তাহলে এখনই বলে দিতাম আমাদের আসন সংখ্যা কত। যেহেতু আমাদের একটা জোট আছে, এ কারণে তাদের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। আওয়ামী লীগও বলতে পারবে না তাদের আসন সংখ্যা কত। যদিও তারা বলে ২৩০, আমরা এখনো এভাবে বলতে পারি না। তাদের সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত আলোচনা সম্পন্ন হয়নি। আজকে বা কালকের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
জাপার সদ্য বিদায়ী মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো আপিল করার সুযোগ রয়েছে। কোর্ট তো শেষ হয়নি। কোর্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বলতে পারি না ওনি বাতিল হয়েছে কি না। আইনের মাধ্যমে তিনি আবার নির্বাচন করতে পারেন।
জাপার ইশতেহার প্রসঙ্গে মশিউর রহমান রাঙা বলেন, প্রত্যেক দলের ইশতেহার আলাদা হবে। মার্কাও আলাদা। ইশতেহার তৈরি হচ্ছে, দুই একদিনের মধ্যে দিতে পারব বলে আশা করি। আমরা যে প্রাদেশিক সরকারের কথা বলছি। উন্নয়নের কথা বলেছি। গতবারের ইশতেহারের সঙ্গে এবারো অনেকটা মিল থাকবে।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মজিবুর রহমান সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন ভূইয়া এমপি, এসএম ইয়াসির, যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ মোহিববুল্লাহ, ফজলে এলাহী সোহাগ, মো. নেওয়াজ আলী ভূইয়া, আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
No comments