যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ মোকাবিলায় ইরান একা নয়
যুক্তরাষ্ট্রের
আরোপ করা কঠোর অবরোধের মধ্যেও ইরান তার বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে
স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। ইরান বুঝাতে চায় যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায়
তার সর্বত্রই মিত্র রয়েছে। সমপ্রতি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়োং-হো’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার
অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকের উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের শিকার। এ সময়ে,
ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এ বৈঠক তাই কাকতালীয় কিছু নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর আরোপ করা নতুন অবরোধকে সব থেকে আগ্রাসী (মোস্ট বাইটিং এভার) বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গলবার ডনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ইরানের সঙ্গে যে দেশ বাণিজ্য করবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। আল-জাজিরা সাংবাদিক কিম্বার্লি হালকেট হোয়াইট হাউজ থেকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প মূলত তার মিত্র দেশগুলোকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে এ হুমকি দিয়েছেন। তবে এর বিপরীতে ইরানও বসে নেই। তারাও যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে একটা বার্তা দিতে চাচ্ছে যে ইরান একা নয়। মঙ্গলবার রাতে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ লেখেন, বিশ্ব এখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ও ক্লান্ত। কোনো দেশই আর ওই আবেগপ্রবণ টুইটকারীকে অনুসরণ করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন ও আমাদের সব বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের ইরান বিষয়ক পরিচালক আলি ভায়েজও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবরোধ আগের অবরোধগুলোর তুলনায় অনেক কম প্রভাব ফেলবে ইরানের ওপরে। অবরোধ তখনই কার্যকর হয় যখন আন্তর্জাতিকভাবে তা সবাই গ্রহণ করে। কিন্তু এবার সেরকম কিছু হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিশ্বকে তার সামনে মাথানত করতে তর্জন গর্জন করছে। বিশ্বে এখন চীন ও রাশিয়ার মতো অনেক দেশই আছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের কথায় উঠবস করবে না। এ কারণেই গতবারের অবরোধের মতো এটি তেমন কার্যকর হবে।
এছাড়া এ অবরোধ প্রকৃতপক্ষে ফলপ্রসূ হওয়ার পথে আরো কিছু বাধা রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের এখনো সমঝোতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কেউই ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেনি ও তাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের এরকম আচরণে ক্ষুব্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণী বিভাগের প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে ইরানের সঙ্গে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরান সমঝোতা অনুযায়ী তার পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করেছে। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন যাত্রাকালীন সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নেরই এখন ঠিক করা উচিত তারা কার সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। আমরা ইরানকে চুক্তিতে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইরানের অর্থনীতি ও মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনার মতো একটা চুক্তি এটি। ইরান শুধু এ অঞ্চলে না, সমগ্র বিশ্বজুড়েই নিরাপত্তাজনক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সঠিক কাজটি করছে না। ইরান চুক্তিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধু এ অঞ্চলের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যই। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পুনরায় ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা অত্যন্ত হতাশাজনক। রাশিয়া এ চুক্তি ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। চীনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো চলবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর আরোপ করা নতুন অবরোধকে সব থেকে আগ্রাসী (মোস্ট বাইটিং এভার) বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গলবার ডনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ইরানের সঙ্গে যে দেশ বাণিজ্য করবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। আল-জাজিরা সাংবাদিক কিম্বার্লি হালকেট হোয়াইট হাউজ থেকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প মূলত তার মিত্র দেশগুলোকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতে এ হুমকি দিয়েছেন। তবে এর বিপরীতে ইরানও বসে নেই। তারাও যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে একটা বার্তা দিতে চাচ্ছে যে ইরান একা নয়। মঙ্গলবার রাতে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ লেখেন, বিশ্ব এখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ও ক্লান্ত। কোনো দেশই আর ওই আবেগপ্রবণ টুইটকারীকে অনুসরণ করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন ও আমাদের সব বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের ইরান বিষয়ক পরিচালক আলি ভায়েজও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবরোধ আগের অবরোধগুলোর তুলনায় অনেক কম প্রভাব ফেলবে ইরানের ওপরে। অবরোধ তখনই কার্যকর হয় যখন আন্তর্জাতিকভাবে তা সবাই গ্রহণ করে। কিন্তু এবার সেরকম কিছু হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিশ্বকে তার সামনে মাথানত করতে তর্জন গর্জন করছে। বিশ্বে এখন চীন ও রাশিয়ার মতো অনেক দেশই আছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের কথায় উঠবস করবে না। এ কারণেই গতবারের অবরোধের মতো এটি তেমন কার্যকর হবে।
এছাড়া এ অবরোধ প্রকৃতপক্ষে ফলপ্রসূ হওয়ার পথে আরো কিছু বাধা রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের এখনো সমঝোতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কেউই ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেনি ও তাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের এরকম আচরণে ক্ষুব্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণী বিভাগের প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে ইরানের সঙ্গে আরো বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরান সমঝোতা অনুযায়ী তার পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করেছে। মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন যাত্রাকালীন সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নেরই এখন ঠিক করা উচিত তারা কার সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। আমরা ইরানকে চুক্তিতে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইরানের অর্থনীতি ও মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনার মতো একটা চুক্তি এটি। ইরান শুধু এ অঞ্চলে না, সমগ্র বিশ্বজুড়েই নিরাপত্তাজনক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সঠিক কাজটি করছে না। ইরান চুক্তিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুধু এ অঞ্চলের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যই। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পুনরায় ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করা অত্যন্ত হতাশাজনক। রাশিয়া এ চুক্তি ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। চীনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো চলবে না।
No comments