সাত বছরে মাদকের মামলা ৭২ হাজার, নিষ্পত্তি ২০ হাজার by আমানুর রহমান রনি
২০১১
সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ৭২
হাজার ৫৩০টি মামলা করেছে। একই সময় আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ২০
হাজার ৩৪৯টি। মামলা তদন্তে ধীরগতি, মাদক শনাক্তের পরীক্ষা নিরীক্ষায় বিলম্ব
এবং সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে মামলার বিচারিক কার্যক্রমে এই ধীরগতি
হচ্ছে। এমনকি সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে নিষ্পত্তি হওয়া বেশিরভাগ মামলা থেকে
অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছে আসামিরা। এ কারণে মাদকসংক্রান্ত মামলা দ্রুত
নিষ্পত্তির জন্য আলাদা আদালতের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে সারাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি ৮ হাজার ৭৪৯টি মামলা দায়ের করে। একই বছর আদালতের মাধ্যমে অধিদফতরের দায়ের করা মামলার মাত্র ২ হাজার ৩৩৫টি নিষ্পত্তি হয়। ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি মামলা দায়ের করে ১০ হাজার ১৪টি, ওই বছর আদালতে তাদের মামলা নিষ্পত্তি হয় ৩ হাজার ৪৯৪টি। একইভাবে ২০১৩ সালে তারা মামলা করে ১০ হাজার ১১১টি আর আদালতে তাদের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয় ২ হাজার ৬৬টি। ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া ১১ হাজার ৭২৩টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৬৮৯টির। ২০১৫ সালে দায়ের করা মামলার সংখ্যা হচ্ছে ১০ হাজার ৫৪৮টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৭৩টির। ২০১৬ সালে মামলা হয় ৯ হাজার ৭৭৩টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ৫ হাজার ৩৪৮টি। ২০১৭ সালে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে মোট ১১ হাজার ৬১২টি এবং গত বছর তাদের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয় ২ হাজার ৫৩৯টি।
অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ৭২ হাজার ৫৩০টি মাদকসংক্রান্ত মামলা করেছে। তবে এই সাত বছরে দেশের আদালতে এই প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৩৪৯টি। আবার নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৯ হাজার ৯৫২টি মামলার ১১ হাজার ৬৩৪ জন আসামি খালাস পেয়েছে, যা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মোট মামলার ৫২ ভাগ আসামি।
গত বছরের ডিসেম্বরে পুলিশ সদর দফতরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে পুলিশের দায়ের করা মাদকসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়েছে।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণ বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন উপপরিচালক বলেন, ‘মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় নির্দিষ্ট সময়েই। তবে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় মামলার কার্যক্রমে ধীরগতি আসে।’
তিনি বলেন, ‘মাদক মামলার জন্য স্পেশাল কোর্ট না হলে মাদক মামলা কমবে না, বাড়তেই থাকবে। দ্রুত আলাদা কোর্ট করে মামলা নিষ্পত্তি করা গেলে এই হাজার হাজার মামলা কমে আসবে।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। প্রতিবছরই মাদকের মামলা বাড়ছে। নিষ্পত্তিও হচ্ছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, তদন্ত, সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করা এবং মাদকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব কারণে হয়তো মামলাগুলোর রায় হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে নিষ্পত্তি হচ্ছে।’
মামলার বিচারের দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘মামলার বিচারিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে হতে হলে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তাহলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমাদের আদালতে সবক্ষেত্রে এই সহযোগিতা থাকে না। কখনও কখনও অকারণেই সময় চেয়ে আবেদন, নিয়মিত সাক্ষী না আসা, প্রতিবেদন দাখিলে দেরি ইত্যাদি কারণে মামলা বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আদালতে মামলার জটের কারণেও একেকটি মামলার তারিখ ধার্য হয় অনেক দিন পরপর। এতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে সারাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি ৮ হাজার ৭৪৯টি মামলা দায়ের করে। একই বছর আদালতের মাধ্যমে অধিদফতরের দায়ের করা মামলার মাত্র ২ হাজার ৩৩৫টি নিষ্পত্তি হয়। ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি মামলা দায়ের করে ১০ হাজার ১৪টি, ওই বছর আদালতে তাদের মামলা নিষ্পত্তি হয় ৩ হাজার ৪৯৪টি। একইভাবে ২০১৩ সালে তারা মামলা করে ১০ হাজার ১১১টি আর আদালতে তাদের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয় ২ হাজার ৬৬টি। ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া ১১ হাজার ৭২৩টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৬৮৯টির। ২০১৫ সালে দায়ের করা মামলার সংখ্যা হচ্ছে ১০ হাজার ৫৪৮টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৮৭৩টির। ২০১৬ সালে মামলা হয় ৯ হাজার ৭৭৩টি, এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয় ৫ হাজার ৩৪৮টি। ২০১৭ সালে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে মোট ১১ হাজার ৬১২টি এবং গত বছর তাদের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয় ২ হাজার ৫৩৯টি।
অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ৭২ হাজার ৫৩০টি মাদকসংক্রান্ত মামলা করেছে। তবে এই সাত বছরে দেশের আদালতে এই প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা পুরনো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ হাজার ৩৪৯টি। আবার নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ৯ হাজার ৯৫২টি মামলার ১১ হাজার ৬৩৪ জন আসামি খালাস পেয়েছে, যা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মোট মামলার ৫২ ভাগ আসামি।
গত বছরের ডিসেম্বরে পুলিশ সদর দফতরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে পুলিশের দায়ের করা মাদকসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়েছে।
বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণ বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন উপপরিচালক বলেন, ‘মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় নির্দিষ্ট সময়েই। তবে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় মামলার কার্যক্রমে ধীরগতি আসে।’
তিনি বলেন, ‘মাদক মামলার জন্য স্পেশাল কোর্ট না হলে মাদক মামলা কমবে না, বাড়তেই থাকবে। দ্রুত আলাদা কোর্ট করে মামলা নিষ্পত্তি করা গেলে এই হাজার হাজার মামলা কমে আসবে।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। প্রতিবছরই মাদকের মামলা বাড়ছে। নিষ্পত্তিও হচ্ছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, তদন্ত, সাক্ষী-প্রমাণ হাজির করা এবং মাদকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব কারণে হয়তো মামলাগুলোর রায় হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে নিষ্পত্তি হচ্ছে।’
মামলার বিচারের দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘মামলার বিচারিক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে হতে হলে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তাহলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমাদের আদালতে সবক্ষেত্রে এই সহযোগিতা থাকে না। কখনও কখনও অকারণেই সময় চেয়ে আবেদন, নিয়মিত সাক্ষী না আসা, প্রতিবেদন দাখিলে দেরি ইত্যাদি কারণে মামলা বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আদালতে মামলার জটের কারণেও একেকটি মামলার তারিখ ধার্য হয় অনেক দিন পরপর। এতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
No comments