চালু হচ্ছে ডিজিটাল কাবিননামা by দীন ইসলাম
বাল্যবিবাহ
রোধ করতে ডিজিটাল কাবিননামা বা ইলেকট্রনিক বিবাহ নিবন্ধন চালু করতে যাচ্ছে
সরকার। এ জন্য ‘কাজী পোর্টাল’ তৈরি করা হবে। এটা হবে অনেকটা ইমাম
পোর্টালের আদলে। কাজী পোর্টালে থাকবে বিবাহ সংক্রান্ত সব তথ্য। দেশের সব
নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজী) এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে
কুড়িগ্রাম, খুলনা ও ঠাকুরগাঁও জেলায় পাইলট আকারে ডিজিটাল কাবিননামার কাজ
শুরু হয়েছে। সারা দেশে বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এনিয়ে যাচাই
বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
এটুআই প্রোগ্রাম। প্রথম অবস্থায় ধাপে ধাপে বিভিন্ন জেলায় বয়স যাচাই করার
সিস্টেমসহ ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের ডাটাবেজ, বিবাহ নিবন্ধন, জেলা
রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, ঘটক, ইমাম, পুরোহিত, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিনিধিদের
ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এরই মধ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি এনজিও
সারা দেশে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগ
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম প্রথম এ
ধারণা নিয়ে কাজ করতে শুরু করে। এরপর গেল বছরের শেষে আইন ও বিচার বিভাগের
সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয়
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে ইলেকট্রনিক বিবাহ নিবন্ধন কীভাবে করা যায় ওই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিবাহ নিবন্ধনের আগে এসএমএস সিস্টেম’ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে সরকার। এ প্রকল্পে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিবাহ নিবন্ধনের আগে প্রকৃত বয়স যাচাই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধককে বয়স প্রমাণের সার্টিফিকেট যাচাই করে বিবাহ নিবন্ধন করতে হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সহায়তা পেতে জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কুড়িগ্রামের প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে শেষ হয়েছে। সব কাজীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রনিক বিবাহ সিস্টেম চালু হলে হাতে লেখার প্রয়োজন পড়বে না। ডাটাবেজ নির্ভরশীল শর্টকোড ব্যবহারের মাধ্যমে এসএসসি, এইচএসসি সনদ, জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে বর ও কনের বয়স নিরূপণ করা যাবে। এরপরই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করা সম্ভব হবে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক মানবজমিনকে বলেন, ইলেকট্রনিক বিবাহ নিবন্ধন সারা দেশে চালু হলে এটা হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরেক ধাপ অগ্রগতি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সহসাই চালু করতে পারবো।
ওই বৈঠকে ইলেকট্রনিক বিবাহ নিবন্ধন কীভাবে করা যায় ওই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিবাহ নিবন্ধনের আগে এসএমএস সিস্টেম’ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে সরকার। এ প্রকল্পে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিবাহ নিবন্ধনের আগে প্রকৃত বয়স যাচাই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন বিধিমালা এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন নীতিমালা অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধককে বয়স প্রমাণের সার্টিফিকেট যাচাই করে বিবাহ নিবন্ধন করতে হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সহায়তা পেতে জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কুড়িগ্রামের প্রকল্পের কাজ ঠিকভাবে শেষ হয়েছে। সব কাজীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রনিক বিবাহ সিস্টেম চালু হলে হাতে লেখার প্রয়োজন পড়বে না। ডাটাবেজ নির্ভরশীল শর্টকোড ব্যবহারের মাধ্যমে এসএসসি, এইচএসসি সনদ, জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে বর ও কনের বয়স নিরূপণ করা যাবে। এরপরই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করা সম্ভব হবে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক মানবজমিনকে বলেন, ইলেকট্রনিক বিবাহ নিবন্ধন সারা দেশে চালু হলে এটা হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরেক ধাপ অগ্রগতি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সহসাই চালু করতে পারবো।
No comments