কালো টাকা বাইরে গেলে করার কিছু নাই: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কি করবো।
কালো টাকা সাদা করা কখনো সুফল হয় না। আর এতে আমার করার কিছু নাই। গতকাল
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা
‘স্বপ্ন পূরণের বাজেট’ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির রূপরেখা শীর্ষক এক গোলটেবিল
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করা সমাধান নয়। যাদের কালো টাকা বিদেশে নেয়ার তারা নিয়ে যাবেই। সাদা করার সুযোগ দিলেও কোনো কাজ হবে না। কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমার করার কিছু নেই। ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে আগামী বাজেটে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কিনা আলোচকদের প্রশ্নে মুহিত বলেন, ব্যাংক কেলেঙ্কারি একটি গুরুতর বিষয়। ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের গোলামাল রয়েছে। সেটা বাজাটে জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
বাজেট বক্তৃতা ইতিমধ্যে লেখা শুরু হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেষ সময়ে বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করা হয়। অথচ প্রথম দিকে বাজেটের পয়সা ব্যবহার করা হয় না। আমি বলবো এবার প্রথমদিন থেকেই সরাসরি খরচ করতে পারবে। অর্থাৎ, আগামী ১লা জুলাই থেকে খরচ করতে পারবে। প্রতিবার যে ভুল ধারণা হয় এবার আর তা থাকবে না।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, কুষ্টিয়া ও বান্দরবান জেলায় তামাক চাষ হচ্ছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার। এজন্য আমরা মতামত চেয়েছি। এর কিছু ইঙ্গিত এবারের বাজেটে দিতে পারবো। দেশে ২০১১ সাল থেকেই দক্ষ জনবল তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘আম্ব্রেলা প্রজেক্টের’ মাধ্যমে অনেক মন্ত্রণালয় এতে কাজ করছে। দেশে যথেষ্ট এমবিএ বের হয়, অথচ গার্মেন্ট ব্যবস্থাপনা সেক্টর পরিচালনা করে শ্রীলঙ্কাসহ বা অন্যান্য দেশ। তারা প্রতি বছর পাঁচ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায়। সেখানে একটি দক্ষ গ্রুপ তৈরি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্র্যাক একটি কাজ করছে, এটি আরো প্রসারিত করা দরকার। আমাদের বেশি দরকার দক্ষতা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের উন্নয়নে ২০৫০ সাল নাগাদ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগাতে হবে। ‘গ্রোথ অব ট্যাক্স ও ইকোনমির’ এখানে সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে ট্যাক্স আদায়যোগ্য এবং আদায় হচ্ছে না এসব ভুলগুলো বের করতে হবে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নে কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। অনগ্রসরদের সামনে আনতে হবে। এজন্য প্রথমে কৃষিতে জোর দিতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা এবং কৃষক ও কৃষি শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষিতে যান্ত্রিককরণের প্রয়োজন রয়েছে। কোনো সময় কর্মসংস্থান বাদ গেলে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. একেএম আবদুল মোমেন গোলটেবিল বৈঠকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং কয়েকটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. শামসুল আলম, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি সিএম তোফায়েল সামী, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টেও সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করা সমাধান নয়। যাদের কালো টাকা বিদেশে নেয়ার তারা নিয়ে যাবেই। সাদা করার সুযোগ দিলেও কোনো কাজ হবে না। কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমার করার কিছু নেই। ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে আগামী বাজেটে কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কিনা আলোচকদের প্রশ্নে মুহিত বলেন, ব্যাংক কেলেঙ্কারি একটি গুরুতর বিষয়। ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের গোলামাল রয়েছে। সেটা বাজাটে জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
বাজেট বক্তৃতা ইতিমধ্যে লেখা শুরু হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেষ সময়ে বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করা হয়। অথচ প্রথম দিকে বাজেটের পয়সা ব্যবহার করা হয় না। আমি বলবো এবার প্রথমদিন থেকেই সরাসরি খরচ করতে পারবে। অর্থাৎ, আগামী ১লা জুলাই থেকে খরচ করতে পারবে। প্রতিবার যে ভুল ধারণা হয় এবার আর তা থাকবে না।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, কুষ্টিয়া ও বান্দরবান জেলায় তামাক চাষ হচ্ছে। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার। এজন্য আমরা মতামত চেয়েছি। এর কিছু ইঙ্গিত এবারের বাজেটে দিতে পারবো। দেশে ২০১১ সাল থেকেই দক্ষ জনবল তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘আম্ব্রেলা প্রজেক্টের’ মাধ্যমে অনেক মন্ত্রণালয় এতে কাজ করছে। দেশে যথেষ্ট এমবিএ বের হয়, অথচ গার্মেন্ট ব্যবস্থাপনা সেক্টর পরিচালনা করে শ্রীলঙ্কাসহ বা অন্যান্য দেশ। তারা প্রতি বছর পাঁচ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায়। সেখানে একটি দক্ষ গ্রুপ তৈরি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্র্যাক একটি কাজ করছে, এটি আরো প্রসারিত করা দরকার। আমাদের বেশি দরকার দক্ষতা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের উন্নয়নে ২০৫০ সাল নাগাদ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগাতে হবে। ‘গ্রোথ অব ট্যাক্স ও ইকোনমির’ এখানে সম্পর্ক রয়েছে। যেখানে ট্যাক্স আদায়যোগ্য এবং আদায় হচ্ছে না এসব ভুলগুলো বের করতে হবে।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নে কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। অনগ্রসরদের সামনে আনতে হবে। এজন্য প্রথমে কৃষিতে জোর দিতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা এবং কৃষক ও কৃষি শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষিতে যান্ত্রিককরণের প্রয়োজন রয়েছে। কোনো সময় কর্মসংস্থান বাদ গেলে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. একেএম আবদুল মোমেন গোলটেবিল বৈঠকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং কয়েকটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. শামসুল আলম, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি সিএম তোফায়েল সামী, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টেও সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
No comments