পাহাড়ে ফের ব্রাশ ফায়ার, নিহত ৩ by আলমগীর মানিক
আধিপত্য
বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো রক্তাক্ত পাহাড়। এবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির
সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম করল্যাছড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে প্রাণ
হারালেন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের তিন কর্মী।
গতকাল সকাল ৭টার দিকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা একটি বাড়িতে অবস্থানরত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই স্মৃতি চাকমা (৫০), অতল চাকমা (৩০) ও সঞ্জীব চাকমা (৩০) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সঞ্জীব চাকমা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য। এই ঘটনায় কানন চাকমা নামে আরো এক ইউপিডিএফ কর্মী আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল সকালে উভয়পক্ষের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আনোয়ার জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূল ইউপিডিএফ এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ভোর রাত ৪টার দিকে উভয়পক্ষের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে সকালে গোলাগুলির ঘটনায় মূল ইউপিডিএফ’র তিন কর্মী নিহত হয় এবং কানন চাকমা গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরণ চাকমা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা এ ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থি (এমএন লারমা গ্রুপ) জেএসএস এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে (বর্মা গ্রুপ) দায়ী করেছে।
প্রসীদপন্থি ইউপিডিএফ’র মুখপাত্র মাইকেল চাকমা এ ঘটনার জন্য জেএসএস সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ইউপিডিএফ-কে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। গঠনলগ্ন থেকেই ইউপিডিএফ’র উপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো অপশক্তিই ইউপিডিএফ’র অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ’র (বর্মা গ্রুপ) মুখপাত্র লিটন চাকমা। তিনি বলেন, আমরা এই ধরনের নির্মম ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।
এদিকে জেএসএস সংস্কার’র (এমএন লারমা গ্রুপ) তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ইউপিডিএফ গত ছয় মাস ধরে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর যে নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আজকের ঘটনা তাদের কর্মের ফল। এটা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা কাউকে প্রত্যাঘাত করেনি। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আনোয়ার বলেন, এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যৌথবাহিনী এলাকা ঘিরে রেখেছে।
গতকাল সকাল ৭টার দিকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা একটি বাড়িতে অবস্থানরত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই স্মৃতি চাকমা (৫০), অতল চাকমা (৩০) ও সঞ্জীব চাকমা (৩০) নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সঞ্জীব চাকমা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য। এই ঘটনায় কানন চাকমা নামে আরো এক ইউপিডিএফ কর্মী আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল সকালে উভয়পক্ষের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আনোয়ার জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূল ইউপিডিএফ এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ভোর রাত ৪টার দিকে উভয়পক্ষের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয়। একপর্যায়ে সকালে গোলাগুলির ঘটনায় মূল ইউপিডিএফ’র তিন কর্মী নিহত হয় এবং কানন চাকমা গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউপিডিএফ’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরণ চাকমা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা এ ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থি (এমএন লারমা গ্রুপ) জেএসএস এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে (বর্মা গ্রুপ) দায়ী করেছে।
প্রসীদপন্থি ইউপিডিএফ’র মুখপাত্র মাইকেল চাকমা এ ঘটনার জন্য জেএসএস সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ইউপিডিএফ-কে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। গঠনলগ্ন থেকেই ইউপিডিএফ’র উপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো অপশক্তিই ইউপিডিএফ’র অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ইউপিডিএফ তার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ’র (বর্মা গ্রুপ) মুখপাত্র লিটন চাকমা। তিনি বলেন, আমরা এই ধরনের নির্মম ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই।
এদিকে জেএসএস সংস্কার’র (এমএন লারমা গ্রুপ) তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ইউপিডিএফ গত ছয় মাস ধরে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর যে নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আজকের ঘটনা তাদের কর্মের ফল। এটা তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা কাউকে প্রত্যাঘাত করেনি। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আনোয়ার বলেন, এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যৌথবাহিনী এলাকা ঘিরে রেখেছে।
No comments