টাকা নিয়ে বিজেপি’র হিন্দুত্ব এজেন্ডা প্রচারে রাজি শীর্ষ ২৫ মিডিয়া গোষ্ঠী?
ভারতে
একটি অনুসন্ধানী নিউজ পোর্টাল তাদের চালানো স্টিং অপারেশনেরভিডিও অনলাইনে
প্রকাশ করে দাবি করেছে, দেশের অন্তত ২৫টি প্রথম সারির মিডিয়া গোষ্ঠী কোটি
কোটি টাকার বিজ্ঞাপনের বিনিময়ে তথাকথিত হিন্দুত্ব এজেন্ডার প্রসারে ও
বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টাতে শামিল হতে রাজি হয়ে গিয়েছিল।
‘কোবরাপোস্টে’র রিপোর্টারের গোপন ক্যামেরার সামনে দেশের বহু নামীদামি মিডিয়া হাউসের কর্মকর্তাদের এই ‘ডিল’ নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে বিবিসি’র পক্ষে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভারতে বেশির ভাগ মিডিয়া হাউসকে যে ‘কেনা যায়’, এ ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে বলে অনেকেই বলছেন। তবে টাইমস গ্রুপের মতো অভিযুক্ত অনেক মিডিয়া গোষ্ঠীই আবার দাবি করছে এই স্টিং মিথ্যায় ভরা। কোবরাপোস্ট জানাচ্ছে, তাদের রিপোর্টার পুষ্প শর্মা একটি হিন্দু ধনী ধর্মীয় আশ্রমের প্রধান সেজে বিভিন্ন মিডিয়া গোষ্ঠীর কাছে একটি লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রস্তাবটি ছিল, বিজেপিকে ২০১৯-এ ক্ষমতায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে ওই পত্রিকা বা চ্যানেলগুলোতে প্রথমে শ্রীকৃষ্ণ ও ভগবত গীতার প্রচার করতে হবে, তারপর বিজেপির প্রতিপক্ষ রাহুল গান্ধী-মায়াবতী-অখিলেশ যাদবের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে হবে এবং ভোটের ঠিক আগে চলবে খোলাখুলি হিন্দুত্বের প্রচার। ওই আন্ডারকভার রিপোর্টার নিজের ছদ্মনাম নিয়েছিলেন ‘আচার্য অটল’, আর বলা হয়েছিল তিনি আরএসএসের হয়েই এ কাজ করছেন। ভিডিওগুলো বলছে, ২৭টির মধ্যে ২৫টি মিডিয়া হাউসই কোটি কোটি টাকার ওই প্রস্তাব একরকম লুফে নেয়।
দিল্লির সাংবাদিক-অ্যাক্টিভিস্ট আরফা খানুম শেরওয়ানি বলছেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে ভারতে মিডিয়া পয়সার জন্য যা খুশি করতে রাজি, তাদের অতি সহজেই কিনে নেয়া সম্ভব- তবে এই প্রথম সেই অভিযোগের সমর্থনে কোনো অকাট্য সাক্ষ্যপ্রমাণ মিললো। সকলে না হোক, ভারতে মিডিয়ার একটা বিরাট অংশ যে সত্যিই পয়সার জন্য যা খুশি করতে পারে সেটা তো এখন দেখাই যাচ্ছে!’, বলছিলেন তিনি। যাচাই না করা ওই ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, টাইমস গ্রুপ পাঁচশ’ কোটি রুপির বিনিময়ে আচার্য অটলের দেয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজি, যার বেশিটাই আবার নগদ বা কালো টাকাতে নিতেও তাদের আপত্তি নেই। টাইমস গ্রুপ এদিন অবশ্য দাবি করেছে ওই ভিডিও মিথ্যায় ভরা ও বিকৃত- তারা ওরকম কোনো চুক্তিতেও সই করেনি। তবে ‘দ্য ওয়ার’ পোর্টালের কর্ণধার ও দ্য হিন্দুর সাবেক সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন এই সাফাইতে বিশ্বাস করছেন না। মি বরদারাজন বলছেন, ‘ভারতে অধিকাংশ মিডিয়া হাউসের কাছে মুনাফাই যে শেষ কথা, এই স্টিং অপারেশন সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। যে এজেন্ডা দেশকে ভাগ করে দেবে, ভোটের আগে দেশকে পোলারাইজ করবে- সেটা জেনেবুঝেও লাভের জন্য তা রূপায়ণ করতে তাদের এতটুকুও দ্বিধা হয় না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
‘কোবরাপোস্টে’র রিপোর্টারের গোপন ক্যামেরার সামনে দেশের বহু নামীদামি মিডিয়া হাউসের কর্মকর্তাদের এই ‘ডিল’ নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে বিবিসি’র পক্ষে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভারতে বেশির ভাগ মিডিয়া হাউসকে যে ‘কেনা যায়’, এ ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে বলে অনেকেই বলছেন। তবে টাইমস গ্রুপের মতো অভিযুক্ত অনেক মিডিয়া গোষ্ঠীই আবার দাবি করছে এই স্টিং মিথ্যায় ভরা। কোবরাপোস্ট জানাচ্ছে, তাদের রিপোর্টার পুষ্প শর্মা একটি হিন্দু ধনী ধর্মীয় আশ্রমের প্রধান সেজে বিভিন্ন মিডিয়া গোষ্ঠীর কাছে একটি লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রস্তাবটি ছিল, বিজেপিকে ২০১৯-এ ক্ষমতায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে ওই পত্রিকা বা চ্যানেলগুলোতে প্রথমে শ্রীকৃষ্ণ ও ভগবত গীতার প্রচার করতে হবে, তারপর বিজেপির প্রতিপক্ষ রাহুল গান্ধী-মায়াবতী-অখিলেশ যাদবের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে হবে এবং ভোটের ঠিক আগে চলবে খোলাখুলি হিন্দুত্বের প্রচার। ওই আন্ডারকভার রিপোর্টার নিজের ছদ্মনাম নিয়েছিলেন ‘আচার্য অটল’, আর বলা হয়েছিল তিনি আরএসএসের হয়েই এ কাজ করছেন। ভিডিওগুলো বলছে, ২৭টির মধ্যে ২৫টি মিডিয়া হাউসই কোটি কোটি টাকার ওই প্রস্তাব একরকম লুফে নেয়।
দিল্লির সাংবাদিক-অ্যাক্টিভিস্ট আরফা খানুম শেরওয়ানি বলছেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে ভারতে মিডিয়া পয়সার জন্য যা খুশি করতে রাজি, তাদের অতি সহজেই কিনে নেয়া সম্ভব- তবে এই প্রথম সেই অভিযোগের সমর্থনে কোনো অকাট্য সাক্ষ্যপ্রমাণ মিললো। সকলে না হোক, ভারতে মিডিয়ার একটা বিরাট অংশ যে সত্যিই পয়সার জন্য যা খুশি করতে পারে সেটা তো এখন দেখাই যাচ্ছে!’, বলছিলেন তিনি। যাচাই না করা ওই ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, টাইমস গ্রুপ পাঁচশ’ কোটি রুপির বিনিময়ে আচার্য অটলের দেয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজি, যার বেশিটাই আবার নগদ বা কালো টাকাতে নিতেও তাদের আপত্তি নেই। টাইমস গ্রুপ এদিন অবশ্য দাবি করেছে ওই ভিডিও মিথ্যায় ভরা ও বিকৃত- তারা ওরকম কোনো চুক্তিতেও সই করেনি। তবে ‘দ্য ওয়ার’ পোর্টালের কর্ণধার ও দ্য হিন্দুর সাবেক সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন এই সাফাইতে বিশ্বাস করছেন না। মি বরদারাজন বলছেন, ‘ভারতে অধিকাংশ মিডিয়া হাউসের কাছে মুনাফাই যে শেষ কথা, এই স্টিং অপারেশন সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। যে এজেন্ডা দেশকে ভাগ করে দেবে, ভোটের আগে দেশকে পোলারাইজ করবে- সেটা জেনেবুঝেও লাভের জন্য তা রূপায়ণ করতে তাদের এতটুকুও দ্বিধা হয় না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
No comments