জমে উঠেনি মিরপুর বেনারসি পল্লী
বাঙালি
রমণীদের কাছে শাড়ির জগতে একটি বিশেষ নাম বেনারসি। আর সেটি যদি হয় মিরপুরের
বেনারসি পল্লীর তৈরি, তাহলে তো কথাই নেই। ঈদ উপলক্ষে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য
ফিরে এসেছে রাজধানীর মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বেনারসি পল্লীতে। তবে, অভিযোগেরও
শেষ নেই কিছু কিছু দোকানির। মেট্রোরেলের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে
এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কাস্টমার আসছেন না। তবে, খুচরা ক্রেতা এবং পাইকারদের
আনাগোনায় মুখর এই পল্লীর কিছু কিছু দোকান। দিন-রাত একটানা কাজ চলছে
প্রতিটি দোকানের নিজস্ব কারখানায়। পাশাপাশি শো-রুমগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের
কমবেশি ভিড়। ঈদ উপলক্ষে নানান রং এবং নকশার শাড়ি, উঠানো হয়েছে প্রতিটি
শোরুমে।
বেনারসি পল্লীতে ঢুকতেই বেনারসি কুঠিরের সত্বাধিকারী রেজওয়ানা বলেন, রাস্তা খোড়াখুড়ি, মেট্রোরেলের কাজ ও বৃষ্টির কারণে দোকানে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম। প্রতিবছর এই সময়টাতে যেখানে পিক আওয়ার থাকে সেখানে আজ আপনাকে সাক্ষাৎকার দেয়ার কোনো সময়ই থাকতো না। সাধারণত শবে বরাতের পর থেকে বিক্রি শুরু হয়ে চাঁদ রাত পর্যন্ত চলে। ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু হওয়া বেনারসি কুঠির মিরপুরের সবচেয়ে আদি ও পুরাতন প্রতিষ্ঠান। প্রথম দিকে এখানে মাত্র ২-৩টা দোকান থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬টিতে। বর্তমানে ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে পণ্যের ডিজাইন ও কারুকার্যের অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া বেনারসি কুঠিরের কিছু নিজস্বতার জায়গা থেকে এটার ডিজাইন ও কারুকার্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য থেকে অনেক আলাদা। কারণ আমাদের এই ডিজাইনগুলো নিজস্ব তাতে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইনার ও অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি ডিজাইনার দিয়ে কারানো হয়। ফলে এটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। যদিও বর্তমানে অনেক বড় বড় শপিংমল ও কিছু নামকরা ব্রান্ড আমাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে বিক্রি করে থাকে।
রেজওয়ানা আরো বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব হচ্ছে উন্নত মানের নিজস্ব তাঁত ও কারিগর রয়েছে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি পিওর সিল্কের উপর সোনালী জরির যে ডিজাইন বা নকশা করা হয় তার রং কখনো কালো হয় না। এ ছাড়া ভারতের তৈরি শাড়ির মধ্যে আমাদের শাড়ির পার্থক্য হচ্ছে তাদের শাড়ি অনেক বেশি ওজন হয়। আর আমাদেরটা অনেক হালকা। যেটা দেখতে অনেক ভাড়ি মনে হলেও ওজনে খুবই হালকা বলা চলে এবং সহজেই ক্যারি করা যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি পিওর সিল্কের উপর কাতান শাড়ি সারা বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। এরমধ্যে রয়েছে পিওর সিল্ক, জরজেট, বিয়ের কাতান, কাতান, বেনারসি সিল্ক, কাঞ্জিবরন, ক্যাটালগ, মেঘদূতসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। এগুলোর দাম ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে কাতান শাড়িটাই বেশি চলছে। বিয়ের শপিং ও ঈদের কেনাকাটায় এক কথায় ‘মিরপুরি কাতান চাই’। বেনারসি পল্লীতে ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় প্রতিটি দোকানে একই চিত্র। বুটিক, স্টোন, জরির বাহারি কাজের দেশীয় বস্ত্রের বিপুল সরবরাহ রয়েছে এই পল্লীতে। ঈদ উপলক্ষে সব শ্রেণির ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি কারখানাতে বিভিন্ন দামের ও মানের শাড়ি প্রস্তুত করা হয়। বিক্রেতারা জানান, ঈদে কাতান শাড়ির চাহিদা একটু বেশি। তাদের মতে, প্রায় শতাধিক’ ধরনের পণ্য আছে তাদের দোকানে। এগুলো সবই দেশি তাঁতের তৈরি। তবে, ক্রেতাদেরকে দেশীয় পণ্যে ও ইন্ডিয়ান পণ্যের পার্থক্য বুঝাতে কিছু ইন্ডিয়ান শাড়িও রাখা আছে দোকানে বলে জানান বেনারসি রুপসিঙ্গারের ম্যানেজার মো. সাব্বির আহমেদ।
সাব্বির মানবজমিনকে বলেন, এ বছর দোকানে বিক্রি কিছুটা কম হলেও খুব শিগগিরই এটা ফিলআপ হয়ে যাবে। এখানে কাতান, বেনারসি, জামদানি, কাড়িয়াল, খাড্ডি, কাটিয়াল, বেলগাও, ন্যানো কাতান, ফুলকলি, সামার, রিভারসিভার, ওতাদ জামদানি, ইটকাট, কানিআচল, দেবদারু, সামু সিল্কসহ একাধিক শাড়ি কালেকশান রয়েছে। এগুলোর নাম শুনলে ইন্ডিয়ান পণ্য মনে হলেও এগুলো আমাদের দেশেই নিজেস্ব তাঁতের তৈরি। শুধুমাত্র কিছু নাম কপি করা হয়েছে। ভারতের কিছু কিছু পণ্যের নাম যেমন আমরা কপি করি একইভাবে তারাও আমাদের দেশীয় পণ্যের অনেক নাম কপি বা নকল করেন। তিনি আরো বলেন, ভারত যতোই ভালো পণ্য তৈরি করুক না কেন, আমাদের দেশি ঢাকাই জামদানি তারা কোনোদিনই ১০০% মানসম্পন্ন তৈরি করতে পারবে না।
বেনারসি পল্লী ঘুরে দেখা যায়, এখানে তৈরি হয় প্রিন্স কাতান, রিমঝিম কাতান, টিস্যু কাতান, মিরপুরী গিনি গোল্ড কাতান, জর্জেট গিনি গোল্ড কাতান, ফুলকলি কাতান, দুলহান কাতান, মিরপুরী রেশমি কাতান, মিলেনিয়াম কাতান, বেনারসি কসমস, অরগন্ডি কাতান, ব্রকেট কাতান, রেশমি কাতান, কাঞ্চিকূনন, গাদোয়াল, চুনরি কাতানের মতো শাড়ি।
বিগবাজারের সত্বাধীকার জিয়াউল হক বলেন, দোকনের বিক্রিবাট্টা ভালোই হচ্ছে। এটা ২৫ রোজা পর্যন্ত চলবে। আমাদের দোকানে দেশীয় শাড়ি, টাঙ্গাইল, সুতি, মসলিন, সোনারগাঁওয়ের জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে গিফটের শাড়ি হিসেবে টাঙ্গাইল ও সুতি শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সাধারণত ১৫শ’ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
একই ধরনের কাপড় রয়েছে নীলআঁচল শাড়ি হাউজ, বেনারসি অলংকার, রানা সিল্ক প্লাজা, আরিফ বেনারসি কুঠির, রোখসানা জরি সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, তানিয়া বেনারসি কর্নার, ঢাকাই শাড়ি, রিভার সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, খুরশীদ সিল্ক, নাহিদ আক্তার সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, আমানত সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিতে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে মিরপুর ১০, ১১, ১২ ও ১৩- সেকশন-এর বেনারসি পল্লীর দেড়শতাধিক দোকানে ক্রেতারা আসছেন।
যশোর থেকে জামদানি ও সিল্কের শাড়ি কিনতে এসেছেন ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে পরিবারের সদস্যদের জন্য এখান থেকেই শাড়ি কিনে থাকি। অন্যান্য স্থানের চেয়ে এখানকার শাড়ির মানও যেমন ভালো, তেমনি দামও কিছুটা কম। একই কথা জানালেন আরেক ক্রেতা তাসলিমা রহমান। তিনি বলেন, বড় মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে বেনারসি শাড়ি কিনতে এসেছি। প্রথম সন্তানের বিয়েতে একটা ভালো শাড়ি না হলে কি চলে।
বলতে গেলে সারা বছরজুড়েই শাড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন মিরপুর বেনারসি পল্লীর শাড়ির কারিগররা। ঈদ আসলে তাদের ব্যস্ততা যেন আরো বেড়ে যায়। গত ২০ বছর ধরে শাড়ি তৈরির কাজে নিয়জিত মো. নাসিমুল হাসান জানান, ঈদ উপলক্ষে উন্নত মানের একটি শাড়ি তৈরি করতে বুনন এবং পুথি জরি লাগানোসহ সময় লাগে ১ সপ্তাহ। একটু কম মান সম্পন্ন শাড়ি তৈরিতে ঈদের আগে সময় লাগে ২-৩ দিন। যদিও ঈদের দু-এক মাস আগ থেকে কাজ করতে হয় সকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে মাসে ৪টি শাড়ি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে শাড়ি তৈরি করতে হয় মাসে ৬ থেকে ৮টি।
বেনারসি পল্লীতে ঢুকতেই বেনারসি কুঠিরের সত্বাধিকারী রেজওয়ানা বলেন, রাস্তা খোড়াখুড়ি, মেট্রোরেলের কাজ ও বৃষ্টির কারণে দোকানে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম। প্রতিবছর এই সময়টাতে যেখানে পিক আওয়ার থাকে সেখানে আজ আপনাকে সাক্ষাৎকার দেয়ার কোনো সময়ই থাকতো না। সাধারণত শবে বরাতের পর থেকে বিক্রি শুরু হয়ে চাঁদ রাত পর্যন্ত চলে। ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু হওয়া বেনারসি কুঠির মিরপুরের সবচেয়ে আদি ও পুরাতন প্রতিষ্ঠান। প্রথম দিকে এখানে মাত্র ২-৩টা দোকান থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬টিতে। বর্তমানে ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে পণ্যের ডিজাইন ও কারুকার্যের অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া বেনারসি কুঠিরের কিছু নিজস্বতার জায়গা থেকে এটার ডিজাইন ও কারুকার্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য থেকে অনেক আলাদা। কারণ আমাদের এই ডিজাইনগুলো নিজস্ব তাতে নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইনার ও অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি ডিজাইনার দিয়ে কারানো হয়। ফলে এটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। যদিও বর্তমানে অনেক বড় বড় শপিংমল ও কিছু নামকরা ব্রান্ড আমাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে বিক্রি করে থাকে।
রেজওয়ানা আরো বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব হচ্ছে উন্নত মানের নিজস্ব তাঁত ও কারিগর রয়েছে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি পিওর সিল্কের উপর সোনালী জরির যে ডিজাইন বা নকশা করা হয় তার রং কখনো কালো হয় না। এ ছাড়া ভারতের তৈরি শাড়ির মধ্যে আমাদের শাড়ির পার্থক্য হচ্ছে তাদের শাড়ি অনেক বেশি ওজন হয়। আর আমাদেরটা অনেক হালকা। যেটা দেখতে অনেক ভাড়ি মনে হলেও ওজনে খুবই হালকা বলা চলে এবং সহজেই ক্যারি করা যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের তৈরি পিওর সিল্কের উপর কাতান শাড়ি সারা বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। এরমধ্যে রয়েছে পিওর সিল্ক, জরজেট, বিয়ের কাতান, কাতান, বেনারসি সিল্ক, কাঞ্জিবরন, ক্যাটালগ, মেঘদূতসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি। এগুলোর দাম ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে কাতান শাড়িটাই বেশি চলছে। বিয়ের শপিং ও ঈদের কেনাকাটায় এক কথায় ‘মিরপুরি কাতান চাই’। বেনারসি পল্লীতে ঘুরে দেখা যায়, ছোট বড় প্রতিটি দোকানে একই চিত্র। বুটিক, স্টোন, জরির বাহারি কাজের দেশীয় বস্ত্রের বিপুল সরবরাহ রয়েছে এই পল্লীতে। ঈদ উপলক্ষে সব শ্রেণির ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি কারখানাতে বিভিন্ন দামের ও মানের শাড়ি প্রস্তুত করা হয়। বিক্রেতারা জানান, ঈদে কাতান শাড়ির চাহিদা একটু বেশি। তাদের মতে, প্রায় শতাধিক’ ধরনের পণ্য আছে তাদের দোকানে। এগুলো সবই দেশি তাঁতের তৈরি। তবে, ক্রেতাদেরকে দেশীয় পণ্যে ও ইন্ডিয়ান পণ্যের পার্থক্য বুঝাতে কিছু ইন্ডিয়ান শাড়িও রাখা আছে দোকানে বলে জানান বেনারসি রুপসিঙ্গারের ম্যানেজার মো. সাব্বির আহমেদ।
সাব্বির মানবজমিনকে বলেন, এ বছর দোকানে বিক্রি কিছুটা কম হলেও খুব শিগগিরই এটা ফিলআপ হয়ে যাবে। এখানে কাতান, বেনারসি, জামদানি, কাড়িয়াল, খাড্ডি, কাটিয়াল, বেলগাও, ন্যানো কাতান, ফুলকলি, সামার, রিভারসিভার, ওতাদ জামদানি, ইটকাট, কানিআচল, দেবদারু, সামু সিল্কসহ একাধিক শাড়ি কালেকশান রয়েছে। এগুলোর নাম শুনলে ইন্ডিয়ান পণ্য মনে হলেও এগুলো আমাদের দেশেই নিজেস্ব তাঁতের তৈরি। শুধুমাত্র কিছু নাম কপি করা হয়েছে। ভারতের কিছু কিছু পণ্যের নাম যেমন আমরা কপি করি একইভাবে তারাও আমাদের দেশীয় পণ্যের অনেক নাম কপি বা নকল করেন। তিনি আরো বলেন, ভারত যতোই ভালো পণ্য তৈরি করুক না কেন, আমাদের দেশি ঢাকাই জামদানি তারা কোনোদিনই ১০০% মানসম্পন্ন তৈরি করতে পারবে না।
বেনারসি পল্লী ঘুরে দেখা যায়, এখানে তৈরি হয় প্রিন্স কাতান, রিমঝিম কাতান, টিস্যু কাতান, মিরপুরী গিনি গোল্ড কাতান, জর্জেট গিনি গোল্ড কাতান, ফুলকলি কাতান, দুলহান কাতান, মিরপুরী রেশমি কাতান, মিলেনিয়াম কাতান, বেনারসি কসমস, অরগন্ডি কাতান, ব্রকেট কাতান, রেশমি কাতান, কাঞ্চিকূনন, গাদোয়াল, চুনরি কাতানের মতো শাড়ি।
বিগবাজারের সত্বাধীকার জিয়াউল হক বলেন, দোকনের বিক্রিবাট্টা ভালোই হচ্ছে। এটা ২৫ রোজা পর্যন্ত চলবে। আমাদের দোকানে দেশীয় শাড়ি, টাঙ্গাইল, সুতি, মসলিন, সোনারগাঁওয়ের জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে গিফটের শাড়ি হিসেবে টাঙ্গাইল ও সুতি শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম সাধারণত ১৫শ’ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
একই ধরনের কাপড় রয়েছে নীলআঁচল শাড়ি হাউজ, বেনারসি অলংকার, রানা সিল্ক প্লাজা, আরিফ বেনারসি কুঠির, রোখসানা জরি সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, তানিয়া বেনারসি কর্নার, ঢাকাই শাড়ি, রিভার সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, খুরশীদ সিল্ক, নাহিদ আক্তার সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি, আমানত সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিতে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে মিরপুর ১০, ১১, ১২ ও ১৩- সেকশন-এর বেনারসি পল্লীর দেড়শতাধিক দোকানে ক্রেতারা আসছেন।
যশোর থেকে জামদানি ও সিল্কের শাড়ি কিনতে এসেছেন ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদ বা অন্যান্য অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে পরিবারের সদস্যদের জন্য এখান থেকেই শাড়ি কিনে থাকি। অন্যান্য স্থানের চেয়ে এখানকার শাড়ির মানও যেমন ভালো, তেমনি দামও কিছুটা কম। একই কথা জানালেন আরেক ক্রেতা তাসলিমা রহমান। তিনি বলেন, বড় মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে বেনারসি শাড়ি কিনতে এসেছি। প্রথম সন্তানের বিয়েতে একটা ভালো শাড়ি না হলে কি চলে।
বলতে গেলে সারা বছরজুড়েই শাড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন মিরপুর বেনারসি পল্লীর শাড়ির কারিগররা। ঈদ আসলে তাদের ব্যস্ততা যেন আরো বেড়ে যায়। গত ২০ বছর ধরে শাড়ি তৈরির কাজে নিয়জিত মো. নাসিমুল হাসান জানান, ঈদ উপলক্ষে উন্নত মানের একটি শাড়ি তৈরি করতে বুনন এবং পুথি জরি লাগানোসহ সময় লাগে ১ সপ্তাহ। একটু কম মান সম্পন্ন শাড়ি তৈরিতে ঈদের আগে সময় লাগে ২-৩ দিন। যদিও ঈদের দু-এক মাস আগ থেকে কাজ করতে হয় সকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে মাসে ৪টি শাড়ি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে শাড়ি তৈরি করতে হয় মাসে ৬ থেকে ৮টি।
No comments