হাইড্রোজেন বোমার চেয়েও ভয়ংকর কিম জং উন!
কিম জং উন। বিশ্বের সবচেয়ে অভবিতব্য খামখেয়ালি নেতা। উত্তর কোরিয়ার এই অপরিণামদর্শী একনায়কতার স্বৈরশাসক পূর্ব পুরুষদের চেয়েও একগুঁয়ে। বুধবার দেশটি প্রথমবারের মতো হাইড্রোজেন বোমার সফল বিস্ফোরণের দাবি করেছে। বিশেষজ্ঞদের যদিও সন্দেহ রয়েছে সেটা হাইড্রোজেন বোমা নাকি পারমাণবিক বোমা। কিন্তু যে বোমাই হোক না কেন, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমন বোমা ফাটানো স্বৈরশাসককে পুরো কোরীয় উপদ্বীপ ও বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল কিংবা দাদা কিম ইল সাংয়ের নীতি-কৌশলে এক ধরনের ধারাবাহিকতা ছিল।
কিন্তু কিম জং উন একেবারেই আলাদা ও ঘাড়ত্যাড়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় একঘরে হয়ে থাকা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই নেতার মতিগতির কোনো ঠিক নেই। অতীতে পরমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের আগে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে রাখত উত্তর কোরিয়া। কিন্তু ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো একেবারে আকস্মিকভাবে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বকে দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড ইউনিফিকেশন স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র গবেষক চাং ওয়াং সিউক বলেন, ‘ধারণার বাইরে গিয়ে সাহসী কিন্তু অশুভ পদক্ষেপ নিয়েছেন উন। তাই তার পরিকল্পনা আঁচ করা কঠিন। অতীতের সব আচরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ প্রয়োজন।’
উনকে থামাতে পারবে বেইজিং?
উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণে সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছে ‘আজন্ম মিত্র’ বলে পরিচিত চীন। বেইজিংকে না জানিয়ে এমন কাণ্ড করায় তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনেকে মনে করেন, উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করতে হলে একমাত্র বেইজিংই ভূমিকা রাখতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীন একটু ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কোরীয় যুদ্ধের সময় চীনের নেতা মাও সে তুং কিম ইল সাংকে সহায়তায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দরকষাকষিতে চীনকে বাফার স্টেট হিসেবে নেয় উত্তর কোরিয়া। আবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে টক্কর দিতে বেইজিংয়ের দাবার গুটি পিয়ং ইয়ং। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-কোরিয়া সম্পর্ক এখন আর আগের অবস্থায় নেই। ২০১১ সালে কিম জং ইলের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি বদলে গেছে।
উনকে থামাতে পারবে বেইজিং?
উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণে সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছে ‘আজন্ম মিত্র’ বলে পরিচিত চীন। বেইজিংকে না জানিয়ে এমন কাণ্ড করায় তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনেকে মনে করেন, উত্তর কোরিয়াকে শান্ত করতে হলে একমাত্র বেইজিংই ভূমিকা রাখতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীন একটু ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কোরীয় যুদ্ধের সময় চীনের নেতা মাও সে তুং কিম ইল সাংকে সহায়তায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দরকষাকষিতে চীনকে বাফার স্টেট হিসেবে নেয় উত্তর কোরিয়া। আবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে টক্কর দিতে বেইজিংয়ের দাবার গুটি পিয়ং ইয়ং। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন-কোরিয়া সম্পর্ক এখন আর আগের অবস্থায় নেই। ২০১১ সালে কিম জং ইলের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি বদলে গেছে।
রগচটা কিম জং উন কারও কথাই শোনেন না। তিনি তার নিজের চাচা জাং সং থায়েকসহ চীনের ঘনিষ্ঠ অনেক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। কিম জং উন কখনোই চীন সফরে আসেননি, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গেও কখনও দেখা করেননি। যদিও দুই নেতার বৈঠকের জন্য কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করা হয়েছিল। ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লি জাং হুমের বলেন, ‘চীনের দৃষ্টিতে কিম জং উন একজন খচ্চর, দায়িত্বজ্ঞানহীন, বেপরোয়া নেতা।’ বিপজ্জনক এই ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সঙ্গে চীন সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ, চীনা আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বেইজিং। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামষ্টিক প্রজ্ঞা ও স্থির সংকল্প নিয়ে এগুতে হবে।
No comments