কাতার বিশ্বের ধনীতম দেশ...
বাংলাদেশী
মুদ্রায় দিনে ২০ হাজার টাকার বেশি রোজগার করেন একজন কাতারবাসী। সারা মাসে
যে আয় বেশিরভাগ বাংলাদেশী করে উঠতে পারেন না, একদিনে সেই টাকা রোজগার করেন
কাতারের মানুষ। ফোর্বস পত্রিকার হিসেবে বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় এখন এক
নম্বরে কাতার। মাথা পিছু আয়কে সূচক ধরে এই হিসেব করা হয়েছে। সাধারণভাবে মনে
করা হয়, যে দেশের মাথা পিছু আয় যত বেশি, সে দেশের স্বচ্ছ্বলতাও তত বেশি।
জনসংখ্যা ও দেশের আয়-ব্যয়ের পরিমাণ হিসেব করে বিশ্বের ১০টি ধনী দেশের
তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস।
বর্তমানে বিশ্বের প্রথম ১০টি ধনী দেশ হল -
১. কাতার: জনসংখ্যা ২০ লক্ষের সামান্য বেশি। এই দেশটিই বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী। জিডিপি ২০০ বিলিয়ন ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের উপদ্বীপ কাতারের অর্থনীতি জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির রপ্তানি থেকে আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে।
২ লুক্সেমবুর্গ: ইউরোপের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর অন্যতম লুক্সেমবুর্গকে বলা হয় 'tax heaven' বা 'করের স্বর্গ'। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধনকুবের ব্যবসায়ীরা নিজে দেশের উচ্চ কর হার এড়াতে তাই বসবাসের জন্য বেছে নেন লুক্সেমবুর্গকে। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ৫৩,৬৬,২০২ টাকা।
৩ সিঙ্গাপুর: ৬৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা মাত্র ৫৫ লাখ আর মাথাপিছু আয় ৩৭,৩৪,৪৫৯ টাকা। এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সিঙ্গাপুর। তেমন কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য করেই বর্তমানে এই অবস্থানে এসেছে দেশটি।
৪ নরওয়ে: মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার নরওয়ের আয়ের অন্যতম উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিশাল তেল ভাণ্ডার। বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ ব্যবসাতেও নরওয়ে বেশ সফল। বিপুল প্রাচুর্যের পাশাপাশি বসবাসের জন্য সারা বিশ্বে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৪,২২,৫৬২ টাকা।
৫. ব্রুনেই: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ ব্রুনেই দার এস সালামের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৩১,৮৩,৭১৬ টাকা। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। দেশটির জিডিপি-র ৯০ শতাংশের জোগান দেয় পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে আয়। পাঁচ লাখের কম জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে কম জনবহুল দেশগুলোর একটি।
৬. সংযুক্ত আরব আমিরশাহী: সাতটি স্বাধীন প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৩১,২৪,৮২৮ টাকা। প্রাকৃতিক গ্যাস, জ্বালানি তেল ও খেজুরের মতো প্রচলিত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণেও ভালো অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
৭. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক নানা কারণে অর্থনীতি এখন কিছুটা বিপর্যস্ত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির আয়ের সিংহভাগ আসে উচ্চ প্রযুক্তি, অস্ত্র রপ্তানি থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদক রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় ৩০,৮৬,৬৮৯ টাকা।
৮. হংকং: জিডিপির হিসাবে বিশ্বের পঞ্চম ধনী দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে হংকং। এশিয়া সহ সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছেই পছন্দের দেশ হংকং। এশিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ হংকংয়ের মাথাপিছু আয় ৩০,২৬,৩৫১ টাকা।
৯. সুইজারল্যান্ড: ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ সুইজারল্যান্ডের আয়ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ২৭,৬৩,২৬৫ টাকা। কৃষি, পর্যটন, ব্যাংকিং, ঘড়ি, চকলেট—আয়ের উৎসের অভাব নেই সুইজারল্যান্ডের। সারা বিশ্বের ধনীদের টাকা জমানোর জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দেশ হলো সুইজারল্যান্ড।
১০. নেদারল্যান্ড: প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এই দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করে। নেদারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় ২৬,৯৮,৯০৯ টাকা।
বর্তমানে বিশ্বের প্রথম ১০টি ধনী দেশ হল -
১. কাতার: জনসংখ্যা ২০ লক্ষের সামান্য বেশি। এই দেশটিই বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী। জিডিপি ২০০ বিলিয়ন ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের উপদ্বীপ কাতারের অর্থনীতি জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির রপ্তানি থেকে আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে।
২ লুক্সেমবুর্গ: ইউরোপের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর অন্যতম লুক্সেমবুর্গকে বলা হয় 'tax heaven' বা 'করের স্বর্গ'। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধনকুবের ব্যবসায়ীরা নিজে দেশের উচ্চ কর হার এড়াতে তাই বসবাসের জন্য বেছে নেন লুক্সেমবুর্গকে। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ৫৩,৬৬,২০২ টাকা।
৩ সিঙ্গাপুর: ৬৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা মাত্র ৫৫ লাখ আর মাথাপিছু আয় ৩৭,৩৪,৪৫৯ টাকা। এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সিঙ্গাপুর। তেমন কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য করেই বর্তমানে এই অবস্থানে এসেছে দেশটি।
৪ নরওয়ে: মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার নরওয়ের আয়ের অন্যতম উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিশাল তেল ভাণ্ডার। বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ ব্যবসাতেও নরওয়ে বেশ সফল। বিপুল প্রাচুর্যের পাশাপাশি বসবাসের জন্য সারা বিশ্বে সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। দেশটির মাথাপিছু আয় ৩৪,২২,৫৬২ টাকা।
৫. ব্রুনেই: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ ব্রুনেই দার এস সালামের মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৩১,৮৩,৭১৬ টাকা। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। দেশটির জিডিপি-র ৯০ শতাংশের জোগান দেয় পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে আয়। পাঁচ লাখের কম জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বে সবচেয়ে কম জনবহুল দেশগুলোর একটি।
৬. সংযুক্ত আরব আমিরশাহী: সাতটি স্বাধীন প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৩১,২৪,৮২৮ টাকা। প্রাকৃতিক গ্যাস, জ্বালানি তেল ও খেজুরের মতো প্রচলিত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণেও ভালো অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
৭. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক নানা কারণে অর্থনীতি এখন কিছুটা বিপর্যস্ত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির আয়ের সিংহভাগ আসে উচ্চ প্রযুক্তি, অস্ত্র রপ্তানি থেকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদক রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু আয় ৩০,৮৬,৬৮৯ টাকা।
৮. হংকং: জিডিপির হিসাবে বিশ্বের পঞ্চম ধনী দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে হংকং। এশিয়া সহ সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছেই পছন্দের দেশ হংকং। এশিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ হংকংয়ের মাথাপিছু আয় ৩০,২৬,৩৫১ টাকা।
৯. সুইজারল্যান্ড: ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ সুইজারল্যান্ডের আয়ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ। দেশটির বর্তমান মাথাপিছু আয় ২৭,৬৩,২৬৫ টাকা। কৃষি, পর্যটন, ব্যাংকিং, ঘড়ি, চকলেট—আয়ের উৎসের অভাব নেই সুইজারল্যান্ডের। সারা বিশ্বের ধনীদের টাকা জমানোর জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত দেশ হলো সুইজারল্যান্ড।
১০. নেদারল্যান্ড: প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ এই দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করে। নেদারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় ২৬,৯৮,৯০৯ টাকা।
No comments