হাঙ্গেরি–ক্রোয়েশিয়া তীব্র বাদানুবাদ
হাজারো
শরণার্থীকে জায়গা দেওয়ার প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে
মতভেদ ও পারস্পরিক অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবেশী দুই দেশ হাঙ্গেরি ও
ক্রোয়েশিয়া এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। আর আশ্রয়ের খোঁজে
ইউরোপমুখী জনস্রোত থামেনি এখনো। খবর বিবিসির।
সীমান্তে শরণার্থীদের পাঠানো অব্যাহত রেখে তাদের জায়গা দিতে হাঙ্গেরিকে বাধ্য করা হবে বলে গতকাল শনিবার মন্তব্য করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ। তাঁর এ বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটির ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ করেছে ক্রোয়েশিয়া—এমন অভিযোগ করেছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেতার সিয়েইয়ার্তো। তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়ার সরকার নিজ জনগণ ও হাঙ্গেরীয় নাগরিক এবং ইইউর প্রতি অনবরত মিথ্যাচার করে চলেছে। এটা কী ধরনের ইউরোপীয় সংহতি?’
ক্রোয়েশিয়ায় গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি শরণার্থী প্রবেশ করেছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। আর হাঙ্গেরি বলছে, গত শুক্রবার দেশটিতে প্রায় আট হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে। ক্রোয়েশিয়া থেকে একের পর এক বাসভর্তি হয়ে এসব শরণার্থী হাঙ্গেরির সীমান্তে পৌঁছায়। ক্রোয়েশিয়ার উদ্যোগে কয়েকটি বাস এসব শরণার্থীকে হাঙ্গেরির ভেতরে নিয়ে যায়। গতকালও এ জনস্রোত অব্যাহত ছিল। বুদাপেস্টের অভিযোগ, শরণার্থীদের নিবন্ধন না করে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে ক্রোয়েশিয়া। দেশটির আচরণে স্লোভেনিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাঙ্গেরির মারমুখী আচরণের পর শরণার্থীদের দায় এড়াতে ক্রোয়েশিয়া যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে চলমান সংকট মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণের ব্যাপারে ইইউর নীতিনির্ধারকেরা আবারও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। ক্রোয়েশিয়া প্রথমে সীমান্ত খুলে দিয়ে শরণার্থীদের তাদের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু একপর্যায়ে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে যুক্তি দেখায়, এত বেশি মানুষকে ঢুকতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
হাঙ্গেরির পুলিশ শরণার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, মরিচের গুঁড়া ও পানি ছুড়ে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। স্লোভেনিয়ার পুলিশও একদল শরণার্থীকে লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করেছে। ইতিমধ্যে হাঙ্গেরিতে প্রবেশকারী শরণার্থীরা দলে দলে অস্ট্রিয়ার দিকে যাচ্ছে। এপির খবরে বলা হয়, গতকাল কয়েক হাজার শরণার্থী অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করেছে। দেশটিও এখন সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। অস্ট্রিয়ার পুলিশ জানায়, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৭০০ মানুষ দেশটিতে ঢুকেছে।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপে প্রবেশকারী শরণার্থীদের অনেকে জার্মানি বা সুইডেনে যেতে চায়। কিন্তু তুলনামূলক সমৃদ্ধ অর্থনীতির এ দুই দেশ চায়, ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ‘সংহতি’ দেখিয়ে শরণার্থীদের জায়গা দেওয়ার দায় ভাগ করে নিক।
প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে কীভাবে বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট সংখ্যায় ভাগ করে জায়গা দেওয়া যায়—তা নির্ধারণের লক্ষ্যে ইইউর নেতারা আগামী বুধবার ব্রাসেলসে আলোচনায় বসবেন। তার আগের দিন দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবে।
এএফপি জানায়, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা ইউরোপে যাওয়ার পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করার পরিকল্পনার কথা গতকাল জানিয়েছেন ইইউর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জোহানেস হানস।
এদিকে ইতালির কোস্টগার্ড জানায়, লিবিয়া উপকূলের কাছে আটটি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ জনকে সাগর থেকে তুলে আনা হয়েছে। আরও ১০টি নৌযানের খোঁজে ভূমধ্যসাগরে গতকাল তল্লাশি করা হয়।
সীমান্তে শরণার্থীদের পাঠানো অব্যাহত রেখে তাদের জায়গা দিতে হাঙ্গেরিকে বাধ্য করা হবে বলে গতকাল শনিবার মন্তব্য করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ। তাঁর এ বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটির ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’ করেছে ক্রোয়েশিয়া—এমন অভিযোগ করেছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেতার সিয়েইয়ার্তো। তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়ার সরকার নিজ জনগণ ও হাঙ্গেরীয় নাগরিক এবং ইইউর প্রতি অনবরত মিথ্যাচার করে চলেছে। এটা কী ধরনের ইউরোপীয় সংহতি?’
ক্রোয়েশিয়ায় গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি শরণার্থী প্রবেশ করেছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। আর হাঙ্গেরি বলছে, গত শুক্রবার দেশটিতে প্রায় আট হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে। ক্রোয়েশিয়া থেকে একের পর এক বাসভর্তি হয়ে এসব শরণার্থী হাঙ্গেরির সীমান্তে পৌঁছায়। ক্রোয়েশিয়ার উদ্যোগে কয়েকটি বাস এসব শরণার্থীকে হাঙ্গেরির ভেতরে নিয়ে যায়। গতকালও এ জনস্রোত অব্যাহত ছিল। বুদাপেস্টের অভিযোগ, শরণার্থীদের নিবন্ধন না করে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে ক্রোয়েশিয়া। দেশটির আচরণে স্লোভেনিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
হাঙ্গেরির মারমুখী আচরণের পর শরণার্থীদের দায় এড়াতে ক্রোয়েশিয়া যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে চলমান সংকট মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণের ব্যাপারে ইইউর নীতিনির্ধারকেরা আবারও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। ক্রোয়েশিয়া প্রথমে সীমান্ত খুলে দিয়ে শরণার্থীদের তাদের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে যাওয়ার জন্য স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু একপর্যায়ে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে যুক্তি দেখায়, এত বেশি মানুষকে ঢুকতে দেওয়ার সুযোগ নেই।
হাঙ্গেরির পুলিশ শরণার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, মরিচের গুঁড়া ও পানি ছুড়ে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। স্লোভেনিয়ার পুলিশও একদল শরণার্থীকে লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করেছে। ইতিমধ্যে হাঙ্গেরিতে প্রবেশকারী শরণার্থীরা দলে দলে অস্ট্রিয়ার দিকে যাচ্ছে। এপির খবরে বলা হয়, গতকাল কয়েক হাজার শরণার্থী অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করেছে। দেশটিও এখন সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। অস্ট্রিয়ার পুলিশ জানায়, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৭০০ মানুষ দেশটিতে ঢুকেছে।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপে প্রবেশকারী শরণার্থীদের অনেকে জার্মানি বা সুইডেনে যেতে চায়। কিন্তু তুলনামূলক সমৃদ্ধ অর্থনীতির এ দুই দেশ চায়, ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ‘সংহতি’ দেখিয়ে শরণার্থীদের জায়গা দেওয়ার দায় ভাগ করে নিক।
প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে কীভাবে বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট সংখ্যায় ভাগ করে জায়গা দেওয়া যায়—তা নির্ধারণের লক্ষ্যে ইইউর নেতারা আগামী বুধবার ব্রাসেলসে আলোচনায় বসবেন। তার আগের দিন দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবে।
এএফপি জানায়, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা ইউরোপে যাওয়ার পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করার পরিকল্পনার কথা গতকাল জানিয়েছেন ইইউর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জোহানেস হানস।
এদিকে ইতালির কোস্টগার্ড জানায়, লিবিয়া উপকূলের কাছে আটটি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ জনকে সাগর থেকে তুলে আনা হয়েছে। আরও ১০টি নৌযানের খোঁজে ভূমধ্যসাগরে গতকাল তল্লাশি করা হয়।
No comments