কাবা শরিফের গিলাফ : এক মহান ঐতিহ্য by আসিফ হাসান
গিলাফে
কাবা হলো আল্লাহর ঘরের প্রতি আন্তরিক সম্মান প্রদর্শনের একটি উজ্জ্বল
নিদর্শন। আল্লাহর বান্দারা তাঁর ঘরকে সাজানোর ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করবে,
এটাই স্বাভাবিক।
আরবিতে এই গিলাফকে বলা হয় কিসওয়া। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখে নতুন গিলাফ পরানো হয়। এটাও একটা বড় ধরনের অনুষ্ঠান।
কাবা শরিফের গিলাফের ইতিহাস খোদ কাবা শরিফের ইতিহাস থেকেই শুরু। অনেক আলেমের মতে, স্বয়ং হজরত ইসমাইল (আ.) নিজেই কাবা শরিফের গিলাফ পরিয়েছেন। কারো মতে, মহানবি হজরত মোহাম্মদের (সা.) পূর্বপুরুষ আদনানা বিন উদ প্রথম কাবা শরিফের গায়ে গিলাফ পরান। আবার অনেকে দাবি করেন, প্রাক-ইসলামি যুগে ইয়েমেনের শাসক তৃতীয় তুব্বা এই ঐতিহ্যের সূচনা করেন।
বেশির ভাগ ইতিহাসবিদ তৃতীয় তুব্বাকেই এই সম্মান দেন। তিনি কেন এ কাজ করলেন? এটাও একটা দারুণ মজার ঘটনা।
আরবিতে এই গিলাফকে বলা হয় কিসওয়া। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখে নতুন গিলাফ পরানো হয়। এটাও একটা বড় ধরনের অনুষ্ঠান।
কাবা শরিফের গিলাফের ইতিহাস খোদ কাবা শরিফের ইতিহাস থেকেই শুরু। অনেক আলেমের মতে, স্বয়ং হজরত ইসমাইল (আ.) নিজেই কাবা শরিফের গিলাফ পরিয়েছেন। কারো মতে, মহানবি হজরত মোহাম্মদের (সা.) পূর্বপুরুষ আদনানা বিন উদ প্রথম কাবা শরিফের গায়ে গিলাফ পরান। আবার অনেকে দাবি করেন, প্রাক-ইসলামি যুগে ইয়েমেনের শাসক তৃতীয় তুব্বা এই ঐতিহ্যের সূচনা করেন।
বেশির ভাগ ইতিহাসবিদ তৃতীয় তুব্বাকেই এই সম্মান দেন। তিনি কেন এ কাজ করলেন? এটাও একটা দারুণ মজার ঘটনা।
কাবাঘরকে
ধ্বংস করে এর ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করার চেষ্টা অনেক ইয়েমেনি শাসকই করেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় তুব্বারাও পিছিয়ে ছিলেন না। প্রথম তুব্বা সৈন্যসামন্ত
নিয়ে কাবাঘর ধ্বংস করতে গিয়ে নিজেই শেষ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর দ্বিতীয়
তুব্বাও একই পরিণতির মুখে পড়েন।
তাদের পর আসেন তৃতীয় তুব্বা। তাকে তুব্বা আসআদ আবু কারাব আল হোমায়রিও বলা হয়। তিনি কাবাঘরকে ধ্বংস করতে গিয়ে প্রচ- ঝড়ের মুখে পড়েন। তারপরও অভিযান অব্যাহত রাখতে চান। কিন্তু তখনই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। তার সাথে থাকা যাজক এবং অন্যরা এটাকে আল্লাহর গজব হিসেবে অভিহিত করে। তারা অভিযান থেকে সরে যাওয়া এবং কাবাঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে তাদের শাসকের প্রতি আবেদন জানান। তুব্বাও তা মেনে নেন। তিনিও সুস্থ হন। এতে কাবাঘরের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। তিনি কাবাঘর সম্মানের সাথে তাওয়াফ এবং ঐতিহ্য মেনে মাথা পর্যন্ত মু-ন করেন। ওই সময় তিনি সবচেয়ে উন্নতমানের ও মূল্যবান কাপড় সংগ্রহ করে কাবাঘরের গিলাফ তৈরি করেন।
তাদের পর আসেন তৃতীয় তুব্বা। তাকে তুব্বা আসআদ আবু কারাব আল হোমায়রিও বলা হয়। তিনি কাবাঘরকে ধ্বংস করতে গিয়ে প্রচ- ঝড়ের মুখে পড়েন। তারপরও অভিযান অব্যাহত রাখতে চান। কিন্তু তখনই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। তার সাথে থাকা যাজক এবং অন্যরা এটাকে আল্লাহর গজব হিসেবে অভিহিত করে। তারা অভিযান থেকে সরে যাওয়া এবং কাবাঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে তাদের শাসকের প্রতি আবেদন জানান। তুব্বাও তা মেনে নেন। তিনিও সুস্থ হন। এতে কাবাঘরের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। তিনি কাবাঘর সম্মানের সাথে তাওয়াফ এবং ঐতিহ্য মেনে মাথা পর্যন্ত মু-ন করেন। ওই সময় তিনি সবচেয়ে উন্নতমানের ও মূল্যবান কাপড় সংগ্রহ করে কাবাঘরের গিলাফ তৈরি করেন।
এর
মাধ্যমেই কাবাঘরের গিলাফ তৈরির সূচনা হয় বলে বেশির ভাগ গবেষক মনে করেন।
অবশ্য গিলাফ তৈরি ও পরানোর কাজটি নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।
বর্তমানে এ জন্য আলাদা একটা বিভাগও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
মক্কা শরীফের ইতিকথা : এন এম সিরাজুল ইসলাম
উইকিপিডিয়া।
ওয়েবসাইটস।
তথ্যসূত্র
মক্কা শরীফের ইতিকথা : এন এম সিরাজুল ইসলাম
উইকিপিডিয়া।
ওয়েবসাইটস।
No comments