মমতা চান সাপ মরুক লাঠি না ভাঙুক -কলকাতার জার্নাল by সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের
বঙ্গেশ্বরী মমতা ঢাকায় গেছেন। আজ (শনিবার) তার কলকাতায় ফেরার কথা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে ‘সাপও মরে, আর লাঠিও যেন না ভাঙে’ এ পন্থাই নিয়েছেন
তিনি। শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছানের পর
মাত্র কয়েক ঘণ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে তার নাকি চুক্তি হয়েছে, তিস্তা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি সেখানে থাকবেন
না। তিস্তা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার
ব্যাপারে ভারত সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি
অনুযায়ী ভারতে উৎস সমস্ত নদীর ব্যাপারে উভয় দেশকে আলোচনা করে পানি ভাগাভাগি
করতে হবে। সরকার হলো পরম্পরা। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি
কোনো একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জেদের সামনে আত্মসমর্পণ করতে পারেন
না। কিন্তু কার্যত তাই হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল কিন্তু তা মেনে নিচ্ছে না। তারা চায় নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করুন। এ রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর তাতে সমর্থন থাকবে। কিন্তু মমতার জেদের কাছে তার এ আত্মসমর্পণের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা রাজ্য বিজেপি নেতারাও জানেন না। তারাও চাইছেন তিস্তা চুক্তি হোক।
তৃণমূল সূত্রে আকার-ইঙ্গিতে বলা হয়, যেহেতু তিস্তার উৎস সিকিমে, উত্তরবঙ্গে শুষ্ক মওসুমে পানি কম থাকে। তাতে উত্তরবঙ্গের চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে জন্য কয়েক মাইল তিস্তা ড্রেজিং করা দরকার। আর এই ড্রেজিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারত সরকারের কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে। কিন্তু ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী নদীগুলোর পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো অঙ্গরাজ্যকে টাকা দেয়া যায় না। এ কাজ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। এখানেই নাকি দিদির গোস্যা।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর স্থির হবে ছিটমহল পেরিয়ে কত লোক এপার বাংলায় আসবেন। কিন্তু তার আগেই মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৩৮০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
কিন্তু এ রাজ্যের অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, কত লোক এপারে আসবেন তা স্থির না হওয়া পর্যন্ত টাকা মঞ্জুর করা উচিত হয়নি। হয়তো এত টাকা লাগবেও না। কিন্তু বিজেপি-তৃণমূলের যাই বোঝাপড়া হোক না কেন, যে টাকা মমতার হাতে দেয়া হবে সেটা ভারতের জনগণের করের টাকা। গত চার বছরের রেকর্ড আছে কেন্দ্র থেকে পাঠানো টাকা খরচের কোনো হিসাব মমতা দেননি। এই প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব।
মোদি-মমতার মধ্যে কী বোঝাপড়া হয়েছে তা নিয়ে নবান্ন এবং সাউথ ব্লকে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন চ্যানেলে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, সঠিক কত লোক বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসবেন তার হিসাব কে করেছে? শোনা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এরকম একটি হিসাব প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। সঠিক তথ্য তখনই প্রকাশ পাবে যখন এদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। মোদি যখন ঢাকায় পৌঁছবেন, ঠিক তখনই কলকাতায় পৌঁছবেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল কিন্তু তা মেনে নিচ্ছে না। তারা চায় নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করুন। এ রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর তাতে সমর্থন থাকবে। কিন্তু মমতার জেদের কাছে তার এ আত্মসমর্পণের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা রাজ্য বিজেপি নেতারাও জানেন না। তারাও চাইছেন তিস্তা চুক্তি হোক।
তৃণমূল সূত্রে আকার-ইঙ্গিতে বলা হয়, যেহেতু তিস্তার উৎস সিকিমে, উত্তরবঙ্গে শুষ্ক মওসুমে পানি কম থাকে। তাতে উত্তরবঙ্গের চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে জন্য কয়েক মাইল তিস্তা ড্রেজিং করা দরকার। আর এই ড্রেজিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারত সরকারের কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে। কিন্তু ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী নদীগুলোর পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো অঙ্গরাজ্যকে টাকা দেয়া যায় না। এ কাজ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। এখানেই নাকি দিদির গোস্যা।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর স্থির হবে ছিটমহল পেরিয়ে কত লোক এপার বাংলায় আসবেন। কিন্তু তার আগেই মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৩৮০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
কিন্তু এ রাজ্যের অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, কত লোক এপারে আসবেন তা স্থির না হওয়া পর্যন্ত টাকা মঞ্জুর করা উচিত হয়নি। হয়তো এত টাকা লাগবেও না। কিন্তু বিজেপি-তৃণমূলের যাই বোঝাপড়া হোক না কেন, যে টাকা মমতার হাতে দেয়া হবে সেটা ভারতের জনগণের করের টাকা। গত চার বছরের রেকর্ড আছে কেন্দ্র থেকে পাঠানো টাকা খরচের কোনো হিসাব মমতা দেননি। এই প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব।
মোদি-মমতার মধ্যে কী বোঝাপড়া হয়েছে তা নিয়ে নবান্ন এবং সাউথ ব্লকে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন চ্যানেলে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, সঠিক কত লোক বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসবেন তার হিসাব কে করেছে? শোনা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এরকম একটি হিসাব প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। সঠিক তথ্য তখনই প্রকাশ পাবে যখন এদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। মোদি যখন ঢাকায় পৌঁছবেন, ঠিক তখনই কলকাতায় পৌঁছবেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।
No comments