ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজই ছিল স্বাধীনতার লক্ষ্য by কুলদীপ নায়ার
ভারতের
ক্ষমতাসীন দল বিজেপি যে হিন্দুত্ববাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে, সেটা সত্যিই
দুর্ভাগ্যজনক, কম করে বললেও অন্তত এটুকু বলতেই হয়। কিন্তু তার মানে এই নয়,
যাঁরা সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ
চেতনাকে ঊর্ধ্বে তোলার চেষ্টা করছেন, তাঁরা যেন ভুল না বোঝেন।
স্বাধীনতার পর সংবিধান সভা-শাসনের নানা পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু সমাজের সব পক্ষই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষাবলম্বন করেছে। সেটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া মানে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনে যাঁরা অনেক ত্যাগ করেছেন, তাঁদের সেই ত্যাগের সঙ্গে মশকরা করা।
অভিযোগ আছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যে দাঙ্গায় কয়েক হাজার মুসলমান মারা যায়। তিনি নিজেও ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে ভাগের অসারতা বুঝতে পেরেছেন। এটা খুবই ইতিবাচক অগ্রগতি যে মোদি নিজেই এখন জনসমক্ষে বলেন: সবার সরকার, সবার উন্নয়ন।
আবার এটাও দুর্ভাগ্যজনক, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এনজিওগুলোকে হয়রানি করছে, তাদের ডালকুত্তা দিয়ে তাড়া করছে। জনসংঘ ইন্দিরা গান্ধীর কর্তৃত্বপরায়ণ জামানাকে সফল রুখে দিয়ে জনতা পার্টির সঙ্গে একত্র হয়, তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার সংগ্রামের অংশ ছিল। তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সে সময় মানবতা পায়ে মাড়ানো শুরু করেছিল। আর সেই লোকগুলোই কীভাবে এখন এনজিওবিরোধী হয়ে উঠল?
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর হিসাব অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়মিত নিরীক্ষা করে। সব সরকারি তহবিল সরকারি চ্যানেলে আসত। ফলে তা নয়–ছয় করার সুযোগ ছিল খুবই কম। প্রক্রিয়া বদলানো মানে হয়রানি করা। প্রাক-সরকারি অনুমোদন মানে তহবিলের জন্য অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা, যেখানে সেই টাকাটা হয়তো কর্মীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল।
আমার বিস্ময় লাগে, বিজেপি কীভাবে ভুলে গেল যে গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত-প্রক্রিয়াকে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিরস্কার করেছিলেন? তৎকালীন জনসংঘের কর্মীদের কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি হচ্ছে জনসংঘের নতুন অবতার, যারা ব্যক্তির বাক ও স্বাধীনতার দাবির আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।
বিজেপির কিছু সদস্য আগ-পিছ না ভেবেই এবং আরএসএসের প্রভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলে পড়ছে, ঘরে ফেরার নামে গির্জার ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে। মোদিকে কোনো না কোনো সময় রাশ টেনে ধরতেই হবে, তা না হলে ভারতের খুব বদনাম হয়ে যাবে। কারণ, বহির্বিশ্বে ভারত তার সহনশীলতা ও সহাবস্থানের জন্য খ্যাত।
আমার মনে আছে, লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনার থাকাকালে এক ইহুদি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তারা ভারতের সহনশীলতার জন্য ধন্যবাদ জানাতে এসেছিল। তারা বলেছিল, ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে ইহুদিরা কোনো রকম বৈষম্যের শিকার হয়নি। সে সময় পর্যন্ত নয়াদিল্লি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে কথাই বলেনি।
অস্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে, রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষতা এত দিনে অনেক গভীরে প্রোথিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে গত ৬৮ বছরে অর্থনৈতিকভাবে ভারতের যেমন উন্নতি লাভ করার কথা ছিল, তেমন উন্নতি সে অর্জন করেছে। সম্ভবত দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যেই এর উত্তর নিহিত রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের পশ্চাৎপদতা আমাদের ব্যর্থতার পরিচায়ক। কিন্তু গ্রামগুলোই সবচেয়ে বেশি ভুগছে। দেশের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের আত্মহত্যার খবর দেখে বোঝা যায়, উৎপাদন তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি নিরাপদ পানির মতো মৌলিক সুবিধাও তাঁদের কাছে গোলকধাঁধার মতো।
মহারাষ্ট্রের মতো সচ্ছল প্রদেশেও কৃষকেরা আত্মহত্যা করেছেন। গত মার্চ থেকে তিনিসহ নয়জন কৃষক আত্মহত্যা করলেন। অন্যান্য প্রদেশের খবর আরও নিদারুণ যন্ত্রণাকর। রাজস্থানের একজন কৃষক নয়াদিল্লির জনসভায় আত্মহত্যা করলে আমি ভেবেছিলাম, সবার টনক নড়বে, জাতি কৃষকের অবস্থার উন্নতিতে মনোযোগ দেবে। আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি ভুল করেছিলাম।
ঠিক আছে, সংসদে এ নিয়ে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাঁর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর যে লাউ, সেই কদু। কৃষকদের সবাই ভুলে গেল। কৃষকদের অবস্থা উন্নতিতে কোনো নীল নকশা প্রণয়ন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। বস্তুত, ভূমি অধিগ্রহণ বিল সংসদে পেশ হওয়ার মাজেজা হচ্ছে, করপোরেট খাত তার পথেই হাঁটছে।
কৃষকদের ব্যাপারে চিন্তা করা অপরিহার্য হলেও তা এখন বাদ পড়ে গেছে। সেটা এখন দৃশ্যপটের বাইরে চলে গেছে। এমনকি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধীদের মিছিলও সুদূর অতীতের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এটা বোধ হয় মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার হবে না যে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভূমির ওপর নির্ভরশীল, যে ভূমি ক্রমেই খুনে জমিতে পরিণত হচ্ছে।
করপোরেট খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল্যবোধের বিরোধী, যদিও তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামের মানুষকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ব্যস্ত শহর ছেড়ে ওয়ার্দার মতো নির্জন ছোট জায়গায় চলে গিয়েছিলেন, যেটা পরবর্তীকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হয়।
এনজিওগুলো মহাত্মা গান্ধীর শেষ না হওয়া কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগে যে ৯০০ এনজিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের আয় নিরীক্ষা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা দেখা যে তাদের তহবিল তছরুপ হচ্ছে না। তারা তাদের হিসাব সংরক্ষণ করবে, এটা আশা করা ভুল নয়। কিন্তু একদম পইপই করে হিসাব চাওয়াটা একটু বেশি হয়ে যায়, কারণ এদের কর্মীরা তৃণমূলে দৈনন্দিন কাজে নিয়োজিত।
মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজের লক্ষ্যে, আর সমাজকেও তা ধরে রাখতে হবে।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
কুলদীপ নায়ার: ভারতের সাংবাদিক।
স্বাধীনতার পর সংবিধান সভা-শাসনের নানা পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু সমাজের সব পক্ষই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষাবলম্বন করেছে। সেটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া মানে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনে যাঁরা অনেক ত্যাগ করেছেন, তাঁদের সেই ত্যাগের সঙ্গে মশকরা করা।
অভিযোগ আছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যে দাঙ্গায় কয়েক হাজার মুসলমান মারা যায়। তিনি নিজেও ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে ভাগের অসারতা বুঝতে পেরেছেন। এটা খুবই ইতিবাচক অগ্রগতি যে মোদি নিজেই এখন জনসমক্ষে বলেন: সবার সরকার, সবার উন্নয়ন।
আবার এটাও দুর্ভাগ্যজনক, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এনজিওগুলোকে হয়রানি করছে, তাদের ডালকুত্তা দিয়ে তাড়া করছে। জনসংঘ ইন্দিরা গান্ধীর কর্তৃত্বপরায়ণ জামানাকে সফল রুখে দিয়ে জনতা পার্টির সঙ্গে একত্র হয়, তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার সংগ্রামের অংশ ছিল। তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সে সময় মানবতা পায়ে মাড়ানো শুরু করেছিল। আর সেই লোকগুলোই কীভাবে এখন এনজিওবিরোধী হয়ে উঠল?
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর হিসাব অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়মিত নিরীক্ষা করে। সব সরকারি তহবিল সরকারি চ্যানেলে আসত। ফলে তা নয়–ছয় করার সুযোগ ছিল খুবই কম। প্রক্রিয়া বদলানো মানে হয়রানি করা। প্রাক-সরকারি অনুমোদন মানে তহবিলের জন্য অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা, যেখানে সেই টাকাটা হয়তো কর্মীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল।
আমার বিস্ময় লাগে, বিজেপি কীভাবে ভুলে গেল যে গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত-প্রক্রিয়াকে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিরস্কার করেছিলেন? তৎকালীন জনসংঘের কর্মীদের কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি হচ্ছে জনসংঘের নতুন অবতার, যারা ব্যক্তির বাক ও স্বাধীনতার দাবির আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।
বিজেপির কিছু সদস্য আগ-পিছ না ভেবেই এবং আরএসএসের প্রভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলে পড়ছে, ঘরে ফেরার নামে গির্জার ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে। মোদিকে কোনো না কোনো সময় রাশ টেনে ধরতেই হবে, তা না হলে ভারতের খুব বদনাম হয়ে যাবে। কারণ, বহির্বিশ্বে ভারত তার সহনশীলতা ও সহাবস্থানের জন্য খ্যাত।
আমার মনে আছে, লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনার থাকাকালে এক ইহুদি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তারা ভারতের সহনশীলতার জন্য ধন্যবাদ জানাতে এসেছিল। তারা বলেছিল, ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে ইহুদিরা কোনো রকম বৈষম্যের শিকার হয়নি। সে সময় পর্যন্ত নয়াদিল্লি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে কথাই বলেনি।
অস্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে, রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষতা এত দিনে অনেক গভীরে প্রোথিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে গত ৬৮ বছরে অর্থনৈতিকভাবে ভারতের যেমন উন্নতি লাভ করার কথা ছিল, তেমন উন্নতি সে অর্জন করেছে। সম্ভবত দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যেই এর উত্তর নিহিত রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের পশ্চাৎপদতা আমাদের ব্যর্থতার পরিচায়ক। কিন্তু গ্রামগুলোই সবচেয়ে বেশি ভুগছে। দেশের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের আত্মহত্যার খবর দেখে বোঝা যায়, উৎপাদন তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি নিরাপদ পানির মতো মৌলিক সুবিধাও তাঁদের কাছে গোলকধাঁধার মতো।
মহারাষ্ট্রের মতো সচ্ছল প্রদেশেও কৃষকেরা আত্মহত্যা করেছেন। গত মার্চ থেকে তিনিসহ নয়জন কৃষক আত্মহত্যা করলেন। অন্যান্য প্রদেশের খবর আরও নিদারুণ যন্ত্রণাকর। রাজস্থানের একজন কৃষক নয়াদিল্লির জনসভায় আত্মহত্যা করলে আমি ভেবেছিলাম, সবার টনক নড়বে, জাতি কৃষকের অবস্থার উন্নতিতে মনোযোগ দেবে। আমাকে স্বীকার করতেই হবে, আমি ভুল করেছিলাম।
ঠিক আছে, সংসদে এ নিয়ে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদিও তাঁর দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর যে লাউ, সেই কদু। কৃষকদের সবাই ভুলে গেল। কৃষকদের অবস্থা উন্নতিতে কোনো নীল নকশা প্রণয়ন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। বস্তুত, ভূমি অধিগ্রহণ বিল সংসদে পেশ হওয়ার মাজেজা হচ্ছে, করপোরেট খাত তার পথেই হাঁটছে।
কৃষকদের ব্যাপারে চিন্তা করা অপরিহার্য হলেও তা এখন বাদ পড়ে গেছে। সেটা এখন দৃশ্যপটের বাইরে চলে গেছে। এমনকি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধীদের মিছিলও সুদূর অতীতের ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এটা বোধ হয় মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার হবে না যে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভূমির ওপর নির্ভরশীল, যে ভূমি ক্রমেই খুনে জমিতে পরিণত হচ্ছে।
করপোরেট খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের মূল্যবোধের বিরোধী, যদিও তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামের মানুষকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ব্যস্ত শহর ছেড়ে ওয়ার্দার মতো নির্জন ছোট জায়গায় চলে গিয়েছিলেন, যেটা পরবর্তীকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হয়।
এনজিওগুলো মহাত্মা গান্ধীর শেষ না হওয়া কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগে যে ৯০০ এনজিওর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাদের আয় নিরীক্ষা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা দেখা যে তাদের তহবিল তছরুপ হচ্ছে না। তারা তাদের হিসাব সংরক্ষণ করবে, এটা আশা করা ভুল নয়। কিন্তু একদম পইপই করে হিসাব চাওয়াটা একটু বেশি হয়ে যায়, কারণ এদের কর্মীরা তৃণমূলে দৈনন্দিন কাজে নিয়োজিত।
মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজের লক্ষ্যে, আর সমাজকেও তা ধরে রাখতে হবে।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
কুলদীপ নায়ার: ভারতের সাংবাদিক।
No comments