মোদির সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে ক্রমশ কৌতূহল বাড়ছে
১৫ মিনিটের একান্ত বৈঠক। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। কৌতূহল ক্রমশই বাড়ছে। বিএনপি নেতারাও রয়েছেন অন্ধকারে। খালেদা জিয়া এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কোন কথা বলেননি। তবে তারা বলছেন, বিএনপি নেত্রীকে বৈঠকের পর বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। যদিও একই দিনে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর পরিষ্কার করেন, বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক হবে। অবশ্য সাউথ ব্লকে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নরেন্দ্র মোদি তার দুই দিনের সফরে কোন বক্তব্যে গণতন্ত্রের কথা বলেননি। তবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে গণতন্ত্রের কথা উঠেছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদির মনোভাব পরে পরিষ্কার করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ভারত গণতন্ত্রের পক্ষে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের আধিপত্য ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। একসময়কার ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান এখন রেস থেকে পুরোপুরিই ছিটকে পড়েছে। এক্ষেত্রে এখন ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হচ্ছে চীনকে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। যদিও চীন ও ভারতের মধ্যেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরালো হচ্ছে। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে মোদির বাংলাদেশ সফরকে নেতিবাচকভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ সফরকে স্বাগতই জানিয়েছে। যদিও দেশটির পক্ষ থেকে এটাও পরিষ্কার করা হয়েছে, ভারতের চোখে নয়, নিজস্ব চোখেই বাংলাদেশকে দেখে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। অতীতে বিএনপিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। যদিও পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রতি ভারতের সমর্থন ছিল। তবে পরে ওই অবস্থান পুরোপুরি উল্টে যায়। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারই ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রকাশ্য সমর্থক ছিল। বিএনপির একটি অংশের আশা ছিল, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ ব্যাপারে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু তেমন পরিবর্তন না আসায় তাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তবে তারপরও এখনকার বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর অবস্থান এখনও দিল্লির কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। দৃশ্যত ভারত সরকারের ইচ্ছা পূরণে বাংলাদেশের সবপক্ষই এখন প্রস্তুত রয়েছে। এ অবস্থায় নরেন্দ্র মোদি চলে যাওয়ার পরও তার সফর নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি।
নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কোন বার্তা ছিল কিনা অথবা খালেদা জিয়াকে মোদি আসলে কী বলেছেন তা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হওয়া শুরু করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। যদিও একই দিনে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর পরিষ্কার করেন, বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক হবে। অবশ্য সাউথ ব্লকে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নরেন্দ্র মোদি তার দুই দিনের সফরে কোন বক্তব্যে গণতন্ত্রের কথা বলেননি। তবে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে গণতন্ত্রের কথা উঠেছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদির মনোভাব পরে পরিষ্কার করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ভারত গণতন্ত্রের পক্ষে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের আধিপত্য ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। একসময়কার ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান এখন রেস থেকে পুরোপুরিই ছিটকে পড়েছে। এক্ষেত্রে এখন ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হচ্ছে চীনকে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। যদিও চীন ও ভারতের মধ্যেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরালো হচ্ছে। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে মোদির বাংলাদেশ সফরকে নেতিবাচকভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ সফরকে স্বাগতই জানিয়েছে। যদিও দেশটির পক্ষ থেকে এটাও পরিষ্কার করা হয়েছে, ভারতের চোখে নয়, নিজস্ব চোখেই বাংলাদেশকে দেখে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। অতীতে বিএনপিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। যদিও পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রতি ভারতের সমর্থন ছিল। তবে পরে ওই অবস্থান পুরোপুরি উল্টে যায়। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারই ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রকাশ্য সমর্থক ছিল। বিএনপির একটি অংশের আশা ছিল, নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ ব্যাপারে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু তেমন পরিবর্তন না আসায় তাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তবে তারপরও এখনকার বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির এক ধরনের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর অবস্থান এখনও দিল্লির কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। দৃশ্যত ভারত সরকারের ইচ্ছা পূরণে বাংলাদেশের সবপক্ষই এখন প্রস্তুত রয়েছে। এ অবস্থায় নরেন্দ্র মোদি চলে যাওয়ার পরও তার সফর নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি।
নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কোন বার্তা ছিল কিনা অথবা খালেদা জিয়াকে মোদি আসলে কী বলেছেন তা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হওয়া শুরু করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
No comments