একজন এরশাদ সাহেব by বিভাংশু কুমার মল্লিক
সাবেক সেনানায়ক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। জীবনের
প্রায় আশিটি বসন্ত পেরিয়ে এসেও ষোড়শী নববধূর মতো এখনও যার বায়নার শেষ নেই।
কখনও বলেন – আমাকে যদি রাষ্ট্রপতি বানানোর প্রতিশ্রুতি দাও তবে আমি
আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দিয়ে নির্বাচনে ব্যালটের সুনামি বইয়ে দেবো। সারা
বাংলায় কায়েম করবো রাম রাজত্ব। জাতিও পার্টির বটবৃক্ষের ছায়ায় ঢেকে দেবো
বাংলার দুপুর রোদের তপ্ত সূর্যালোক। যে হাসিনা আমার কোমরের বাতের বাথাকে
উপেক্ষা করে কোমরে দড়ি বেঁধে নামিয়ে ছিল একনায়কের গদি থেকে সেই হাসিনাই
আমাকে আবার রাষ্ট্রপতি বানাবে। সারা বিশ্ব দেখবে এরশাদের কেরামতি।
কিন্তু হল না।
এরশাদকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাপার সাথে জোট বেঁধে আওয়ামীলীগ ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় গেলেও রাষ্ট্রপতি তো দূরে থাক একটা মন্ত্রীর পদও জুটল না এরশাদের কপালে।
তবে তিনি তো থামবার পাত্র নন। তার নাম এরশাদ। সাবেক সেনানায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, তিনি তো থামতে পারেন না। দুই- তিন বছর বিরতি নিয়ে আবার এসে হাজির হলেন মিডিয়ার লাইম লাইেট । এবার বি এন পির জোটের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিশিষ্ট শুভাকাঙ্ক্ষী গায়ক হিসেবে গণ্য হন খালেদা ম্যাডামের কাছে। স্বপ্ন দেখতে থাকেন নতুন জোটের সাথে একই বৈতরণীতে চেপে জনগণ নামক গাধাগুলোকে বোকা বানিয়ে বসবেন ক্ষমতার নরম মখমলের গদিতে । আলাদিনের মতো চেরাগ ঘষে বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে বসিয়ে দেবেন জাপার ট্যাটু। সত্যজিৎ রায়ের মতো যন্তর মন্তর তৈরি করবেন , যার থেকে বেরিয়ে অষ্টাদশী তরুণীরা সব “এরশাদ, এরশাদ “ বলে আবেগে কেঁপে কেঁপে উঠবে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধগামিতায় বহুদিন নতুন বিবাহ করা হয়নি। এবার রাষ্ট্রপতি হলে প্রথম দিনই শুভ কাজটা সেরে ফেলবেন।
কিন্তু এবারও হল না।
রওশন এরশাদের চাপে আর উথাল পাথাল মনের খেলায় যোগ দেওয়া হল না বি এন পির সাথে । তবুও ২০১৩ সালের নির্বাচন তাকে করে দিল কিংবদন্তি। একই সাথে সরকার ও বিরোধী দলে থেকে গিনেজ বুকে নাম লেখানো (কাল্পনিক) দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম লেখা হয়ে গেলো এতিহাসের পাতায়।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি তো হওয়া গেল না।
তবে হাল ছাড়লে তো চলবে না । বয়স মাত্র আশি, এখন না পারলে আর কখন। ক্যাটরিনার মতো ঘূর্ণিঝড় আটকানো যাবে, আইলার মতো জলোচ্ছ্বাস থামানো যাবে কিন্তু এরশাদের বায়নার ফিরিস্তি থামানো যে অসম্ভব। তার সর্বশেষ বায়নাটা জানা গেলো এই সেদিন। উদাত্ত কণ্ঠে আবেগ মাখা বাণীতে তিনি খালেদা জিয়াকে জাপায় যোগ দেওয়ার কথা বলেন। এবার বি এন পিকে অধিনস্ত করে রাষ্ট্রপতি হবার নতুন স্বপ্নে এরশাদ সাহেব। কথায় বলে- অভাগা যে দিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়। আপাত দৃষ্টিতে এরশাদ সাহেব এই ধরাধামে সবচেয়ে অভাগা। তবে কি ভাগ্যদেবী এবারও ছলনা করবেন তার সাথে, নাকি রচনা হবে নতুন ইতিহাস?
এরশাদকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাপার সাথে জোট বেঁধে আওয়ামীলীগ ২০০৭ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে ক্ষমতায় গেলেও রাষ্ট্রপতি তো দূরে থাক একটা মন্ত্রীর পদও জুটল না এরশাদের কপালে।
তবে তিনি তো থামবার পাত্র নন। তার নাম এরশাদ। সাবেক সেনানায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, তিনি তো থামতে পারেন না। দুই- তিন বছর বিরতি নিয়ে আবার এসে হাজির হলেন মিডিয়ার লাইম লাইেট । এবার বি এন পির জোটের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিশিষ্ট শুভাকাঙ্ক্ষী গায়ক হিসেবে গণ্য হন খালেদা ম্যাডামের কাছে। স্বপ্ন দেখতে থাকেন নতুন জোটের সাথে একই বৈতরণীতে চেপে জনগণ নামক গাধাগুলোকে বোকা বানিয়ে বসবেন ক্ষমতার নরম মখমলের গদিতে । আলাদিনের মতো চেরাগ ঘষে বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে বসিয়ে দেবেন জাপার ট্যাটু। সত্যজিৎ রায়ের মতো যন্তর মন্তর তৈরি করবেন , যার থেকে বেরিয়ে অষ্টাদশী তরুণীরা সব “এরশাদ, এরশাদ “ বলে আবেগে কেঁপে কেঁপে উঠবে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধগামিতায় বহুদিন নতুন বিবাহ করা হয়নি। এবার রাষ্ট্রপতি হলে প্রথম দিনই শুভ কাজটা সেরে ফেলবেন।
কিন্তু এবারও হল না।
রওশন এরশাদের চাপে আর উথাল পাথাল মনের খেলায় যোগ দেওয়া হল না বি এন পির সাথে । তবুও ২০১৩ সালের নির্বাচন তাকে করে দিল কিংবদন্তি। একই সাথে সরকার ও বিরোধী দলে থেকে গিনেজ বুকে নাম লেখানো (কাল্পনিক) দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম লেখা হয়ে গেলো এতিহাসের পাতায়।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি তো হওয়া গেল না।
তবে হাল ছাড়লে তো চলবে না । বয়স মাত্র আশি, এখন না পারলে আর কখন। ক্যাটরিনার মতো ঘূর্ণিঝড় আটকানো যাবে, আইলার মতো জলোচ্ছ্বাস থামানো যাবে কিন্তু এরশাদের বায়নার ফিরিস্তি থামানো যে অসম্ভব। তার সর্বশেষ বায়নাটা জানা গেলো এই সেদিন। উদাত্ত কণ্ঠে আবেগ মাখা বাণীতে তিনি খালেদা জিয়াকে জাপায় যোগ দেওয়ার কথা বলেন। এবার বি এন পিকে অধিনস্ত করে রাষ্ট্রপতি হবার নতুন স্বপ্নে এরশাদ সাহেব। কথায় বলে- অভাগা যে দিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়। আপাত দৃষ্টিতে এরশাদ সাহেব এই ধরাধামে সবচেয়ে অভাগা। তবে কি ভাগ্যদেবী এবারও ছলনা করবেন তার সাথে, নাকি রচনা হবে নতুন ইতিহাস?
No comments