নয় রাজ্যে মোদির পরীক্ষা আজ
মোদি-হাওয়ার বেগ কতটা বজায় আছে, ভারতের নয় রাজ্যের ৩৩টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে আজ শনিবার তা বোঝা যাবে। চলতি বছরের শেষে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে এটাই শেষ শক্তি পরীক্ষা। এই উপনির্বাচনে এও বোঝা যাবে, উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সমাজবাদী পার্টি ফেলতে পারবে কি না। মোট ৩৩টি বিধানসভা উপনির্বাচনের মধ্যে উত্তর প্রদেশে ভোট হবে ১১টি ও গুজরাটে নয়টি আসনে। এগুলোর প্রত্যেকটিই ছিল বিজেপির দখলে। এই দুই রাজ্য ছাড়া ভোট হচ্ছে রাজস্থানে চারটি, আসামে তিনটি, পশ্চিমবঙ্গে দুটি এবং তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা ও সিকিমে একটি করে আসনে। লোকসভা উপনির্বাচনে মূল আগ্রহ উত্তর প্রদেশের মৈনপুরি আসনকে ঘিরে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিং যাদব আজমগড় রেখে মৈনপুরি ত্যাগ করেছেন। নরেন্দ্র মোদিও দুই আসনে জিতে বারানসি রেখে ভদোদরা ছেড়ে দেন। ভোট হচ্ছে সেখানেও। তৃতীয় আসনটি মেডাক। এই আসন ছেড়ে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চন্দ্রশেখর রাও।
বিজেপির চিন্তার জায়গা অবশ্যই উত্তর প্রদেশ। লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও তার সহযোগী আপনা দল ৭৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। মোদি-হাওয়ায় খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি একটি আসনও জিততে পারেনি। উপনির্বাচনে তারা এবার লড়ছে না। ফলে ১১টি আসনে লড়াই প্রধানত বিজেপির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন গোরক্ষপুরের বিতর্কিত সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের ওপর। শাহ ও আদিত্যনাথ দুজনেই সাম্প্রদায়িক প্রচারের দায়ে অভিযুক্ত। ‘লাভ জিহাদ’কে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি রীতিমতো সরগরম। গুজরাট আর রাজস্থানে হবে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটে বিজেপির ফল ভালো হয়েছিল। আসামে ১৪টির মধ্যে বিজেপি পায় সাতটি। আর পশ্চিমবঙ্গে মাত্র দুটি আসন পেলেও ভোটের হার বেড়ে হয়েছিল ১৭ শতাংশের বেশি। বিজেপি এই দুই রাজ্যে প্রভাব বিস্তারে বিশেষ নজর দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে বিজেপি প্রাসঙ্গিক। সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে কোণঠাসা তৃণমূল এই দুই আসনে জিততে মরিয়া। তেমনি বসিরহাট কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নিতে বিজেপিও চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না।
No comments