আফ্রিকার গোপন ক্ষুধা by রামাদানি আব্দাল্লাহ নূর
বছর বিশেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার আলোকচিত্রী কেভিন কার্টার একটি ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, একটি দুর্ভিক্ষপীড়িত সুদানি শিশু মাটিতে শুয়ে আছে আর তাকে চোখে চোখে রাখছে একটি শকুন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আফ্রিকা নিয়ে সব সময় একধরনের চাঞ্চল্য তৈরি করে, ছবিটিকে সে রকম একটি প্রয়াস হিসেবেই চিহ্নিত করা যায়।
কিন্তু আসলে ছবিটি বিরক্তির উদ্রেক করে না। দুই দশক পরেও সেই ছবিটির বাস্তবতা এখনো বজায় রয়েছে, সেটাই আসলে মাথাব্যথার কারণ। দুনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধায় মারা যায়।
আফ্রিকার একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি, পুষ্টিহীনতা ও ক্ষুধার ধ্বংসাত্মক প্রভাব সব সময় খালি চোখে দেখা যায় না। তানজানিয়ার হাসপাতালে যে হাড়-জিরজিরে ভুতুড়ে চেহারার শিশুদের আমি দেখেছি, তাদের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের পরিণাম যতটা পরিষ্কার, উল্লিখিত ক্ষেত্রে সেটা ততটা নয়। এই শিশুদের নাকে নল দিয়ে পুষ্টিবর্ধক খাবার দেওয়া হতো, সেই টিউবের সঙ্গে এরা লেপ্টে থাকত। দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি বা ‘গোপন ক্ষুধা’র পরিণাম অন্য রূপে দেখা যায়, কিন্তু সেটা এর মতোই ধ্বংসাত্মক ও মারাত্মক হতে পারে। এদিকে ক্ষুধাজনিত মৃত্যু ও তীব্র অপুষ্টির হার কমলেও গোপন ক্ষুধার প্রকোপ এখনো মারাত্মক।
গত দুই দশকে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নিরাময়ে আমরা যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছি। আফ্রিকায় নতুন করে এইচআইভির সংক্রমণ ৫০ শতাংশ কমে গেছে, এইডসজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৩০-৪৮ শতাংশ; যক্ষ্মাজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৪০ শতাংশ, ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর বিকাশ রুদ্ধ হওয়ার হার আগের মতোই উচ্চ, গত দুই দশকে এর পরিমাণ কমেছে মাত্র ১ শতাংশ। আফ্রিকায় শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ক্ষুধা। পাঁচ বছরের নিচে যত শিশু মারা যায়, তার অর্ধেক মারা যায় ক্ষুধার কারণে। এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ায় সম্মিলিতভাবে যত শিশু মারা যায়, তার চেয়ে বেশি শিশু মারা যায় ক্ষুধার কারণে।
অনেক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অপুষ্ট শিশুদের রোগ ও সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং এসব কারণে ভোগার পরিমাণও পুষ্ট শিশুদের চেয়ে বেশি। যেসব শিশুর ওজন মারাত্মকভাবে কম, তাদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি। অথচ এই ডায়রিয়া খুব সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব। একইভাবে, তাদের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হারও ৯ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের শৈশবের অপুষ্টিই হচ্ছে দুনিয়ার তাবৎ রোগের প্রধান কারণ। সংস্থাটির ২০১১ সালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, পাঁচ বছরের নিচে যে শিশুদের মৃত্যু হয়, তাদের ক্ষেত্রে শতকরা ৪৫ ভাগেরই মৃত্যু হয় অপুষ্টির কারণে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক থেকে পাওয়া খবরে দেখা যায়, সেখানে গুলির চেয়ে ক্ষুধায় বেশি শিশু মারা যাচ্ছে।
এসব তথ্য-উপাত্ত থেকে মনে হয়, অপুষ্টির বিষয়টি অলঙ্ঘ্য। কিন্তু কিসে এটা দূর হয়, তা মানুষের অজানা নয়: ভিটামিন এ, আয়োডিনযুক্ত লবণ ও বিশেষ খাদ্য। প্রতিবছর ভিটামিন এ-র অভাবে পাঁচ লাখ শিশু অন্ধ হয়, এদের অর্ধেক দৃষ্টি হারানোর ১২ মাসের মধ্যে মারা যায়। একইভাবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সন্তান ধারণে সক্ষম নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, আয়রনের অভাবে তাঁরা অ্যানেমিয়ায় ভুগছেন।
অপুষ্টির এই দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সংক্রামক, এতে শিক্ষার প্রসার বাধাগ্রস্ত হয়, যা শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের রাশ টেনে ধরে। এই সংকট মোকাবিলা করতে অর্থের প্রয়োজন, প্রতিবছর প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। ক্ষুধার কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়, সে বিবেচনায় এই অর্থ তেমন কিছু নয়। ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, আফ্রিকার শিশুদের অপুষ্টিজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়া ও স্বাস্থ্যসেবার পেছনে ব্যয়ের হিসাব ধরলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অপুষ্টিজনিত ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে বছরে ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জীবনরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে আফ্রিকার একটি সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
আফ্রিকা ইউনিয়ন ২০১৪ সালকে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার বছর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ বছর মহাদেশটির কৃষি খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ার কথা। তত্ত্বগতভাবে, এতে সামগ্রিক পুষ্টিমানের উন্নয়ন হতে পারে, কিন্তু কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ালেই সব রোগের নিরাময় হবে না। আমাদের পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষি কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, সেখানে ছোট কৃষক, নারী ও শিশু সবাইকে যুক্ত করতে হবে।
নারীদের ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে, তাঁদের কৃষিবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে। কৃষিঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের আশপাশে খাদ্য উৎপাদন, গরু পালন ও মুরগি পালনে ভর্তুকি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা অতিরিক্ত উপার্জন খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করে থাকেন। নারীদের কৃষিজাত আয় বৃদ্ধি পেলে তাঁরা শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবায় তা ব্যয় করবেন, সে কারণে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও বাড়ানো দরকার।
শিশুর জন্মের প্রথম এক হাজার দিনে পুষ্টির অভাব ঘটলে তার ফলাফল হয় খুব নিদারুণ, এতে শিশুর যে ক্ষতি হয় তা আর কোনো দিনই পূরণ করা যায় না। এই গোপন ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়তে বৈশ্বিক উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তায় আফ্রিকার সরকারগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আফ্রিকা মহাদেশে শিশুদের ক্ষুধা আর যেন সেই ছবির পর্যায়ে না থাকে, মানে কার্টাররা যেন সে রকম ছবি তোলার সুযোগ আর না পান।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
রামাদানি আব্দাল্লাহ নূর: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য স্কুলের গবেষণা সহযোগী।
কিন্তু আসলে ছবিটি বিরক্তির উদ্রেক করে না। দুই দশক পরেও সেই ছবিটির বাস্তবতা এখনো বজায় রয়েছে, সেটাই আসলে মাথাব্যথার কারণ। দুনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধায় মারা যায়।
আফ্রিকার একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি, পুষ্টিহীনতা ও ক্ষুধার ধ্বংসাত্মক প্রভাব সব সময় খালি চোখে দেখা যায় না। তানজানিয়ার হাসপাতালে যে হাড়-জিরজিরে ভুতুড়ে চেহারার শিশুদের আমি দেখেছি, তাদের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের পরিণাম যতটা পরিষ্কার, উল্লিখিত ক্ষেত্রে সেটা ততটা নয়। এই শিশুদের নাকে নল দিয়ে পুষ্টিবর্ধক খাবার দেওয়া হতো, সেই টিউবের সঙ্গে এরা লেপ্টে থাকত। দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি বা ‘গোপন ক্ষুধা’র পরিণাম অন্য রূপে দেখা যায়, কিন্তু সেটা এর মতোই ধ্বংসাত্মক ও মারাত্মক হতে পারে। এদিকে ক্ষুধাজনিত মৃত্যু ও তীব্র অপুষ্টির হার কমলেও গোপন ক্ষুধার প্রকোপ এখনো মারাত্মক।
গত দুই দশকে এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নিরাময়ে আমরা যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছি। আফ্রিকায় নতুন করে এইচআইভির সংক্রমণ ৫০ শতাংশ কমে গেছে, এইডসজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৩০-৪৮ শতাংশ; যক্ষ্মাজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৪০ শতাংশ, ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর হার কমেছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর বিকাশ রুদ্ধ হওয়ার হার আগের মতোই উচ্চ, গত দুই দশকে এর পরিমাণ কমেছে মাত্র ১ শতাংশ। আফ্রিকায় শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ক্ষুধা। পাঁচ বছরের নিচে যত শিশু মারা যায়, তার অর্ধেক মারা যায় ক্ষুধার কারণে। এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ায় সম্মিলিতভাবে যত শিশু মারা যায়, তার চেয়ে বেশি শিশু মারা যায় ক্ষুধার কারণে।
অনেক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অপুষ্ট শিশুদের রোগ ও সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং এসব কারণে ভোগার পরিমাণও পুষ্ট শিশুদের চেয়ে বেশি। যেসব শিশুর ওজন মারাত্মকভাবে কম, তাদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি। অথচ এই ডায়রিয়া খুব সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব। একইভাবে, তাদের ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার হারও ৯ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের শৈশবের অপুষ্টিই হচ্ছে দুনিয়ার তাবৎ রোগের প্রধান কারণ। সংস্থাটির ২০১১ সালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, পাঁচ বছরের নিচে যে শিশুদের মৃত্যু হয়, তাদের ক্ষেত্রে শতকরা ৪৫ ভাগেরই মৃত্যু হয় অপুষ্টির কারণে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক থেকে পাওয়া খবরে দেখা যায়, সেখানে গুলির চেয়ে ক্ষুধায় বেশি শিশু মারা যাচ্ছে।
এসব তথ্য-উপাত্ত থেকে মনে হয়, অপুষ্টির বিষয়টি অলঙ্ঘ্য। কিন্তু কিসে এটা দূর হয়, তা মানুষের অজানা নয়: ভিটামিন এ, আয়োডিনযুক্ত লবণ ও বিশেষ খাদ্য। প্রতিবছর ভিটামিন এ-র অভাবে পাঁচ লাখ শিশু অন্ধ হয়, এদের অর্ধেক দৃষ্টি হারানোর ১২ মাসের মধ্যে মারা যায়। একইভাবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সন্তান ধারণে সক্ষম নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, আয়রনের অভাবে তাঁরা অ্যানেমিয়ায় ভুগছেন।
অপুষ্টির এই দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সংক্রামক, এতে শিক্ষার প্রসার বাধাগ্রস্ত হয়, যা শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের রাশ টেনে ধরে। এই সংকট মোকাবিলা করতে অর্থের প্রয়োজন, প্রতিবছর প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। ক্ষুধার কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়, সে বিবেচনায় এই অর্থ তেমন কিছু নয়। ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, আফ্রিকার শিশুদের অপুষ্টিজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়া ও স্বাস্থ্যসেবার পেছনে ব্যয়ের হিসাব ধরলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অপুষ্টিজনিত ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে বছরে ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জীবনরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে আফ্রিকার একটি সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
আফ্রিকা ইউনিয়ন ২০১৪ সালকে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার বছর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এ বছর মহাদেশটির কৃষি খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ার কথা। তত্ত্বগতভাবে, এতে সামগ্রিক পুষ্টিমানের উন্নয়ন হতে পারে, কিন্তু কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ালেই সব রোগের নিরাময় হবে না। আমাদের পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষি কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, সেখানে ছোট কৃষক, নারী ও শিশু সবাইকে যুক্ত করতে হবে।
নারীদের ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে, তাঁদের কৃষিবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে। কৃষিঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের আশপাশে খাদ্য উৎপাদন, গরু পালন ও মুরগি পালনে ভর্তুকি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা অতিরিক্ত উপার্জন খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করে থাকেন। নারীদের কৃষিজাত আয় বৃদ্ধি পেলে তাঁরা শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবায় তা ব্যয় করবেন, সে কারণে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও বাড়ানো দরকার।
শিশুর জন্মের প্রথম এক হাজার দিনে পুষ্টির অভাব ঘটলে তার ফলাফল হয় খুব নিদারুণ, এতে শিশুর যে ক্ষতি হয় তা আর কোনো দিনই পূরণ করা যায় না। এই গোপন ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়তে বৈশ্বিক উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তায় আফ্রিকার সরকারগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আফ্রিকা মহাদেশে শিশুদের ক্ষুধা আর যেন সেই ছবির পর্যায়ে না থাকে, মানে কার্টাররা যেন সে রকম ছবি তোলার সুযোগ আর না পান।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
রামাদানি আব্দাল্লাহ নূর: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য স্কুলের গবেষণা সহযোগী।
No comments