গাজা ইস্যুতে ব্যারনেস ওয়ারসির পদত্যাগ
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাইয়েদা
ওয়ারসি গাজা সংকটে ব্রিটেনের অবস্থানকে ‘নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য’ আখ্যা
দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। খবর বিবিসির।এক টুইটার বার্তায় ওয়ারসি লিখেছেন, তিনি
‘গভীর দুঃখ’ নিয়ে পদত্যাগ করছেন।
ডেভিড ক্যামেরনের মন্ত্রিসভায় ওয়ারসি প্রথম মুসলিম নারী সদস্য। তিনি ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে ওয়ারসি আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
আজ এক টুইটার বার্তায় ওয়ারসি লেখেন, ‘গভীর দুঃখ নিয়ে আজ আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গাজায় সরকারের যে নীতি, সেটি আমি আর সমর্থন করতে পারছি না।’
মন্ত্রিসভার সদস্য নন, কনজারভেটিভ পার্টির এমন বেশ কয়েকজন সাংসদ ডেভিড ক্যামেরনকে ইসরায়েলের প্রতি আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যে কর্মকাণ্ড, তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
অস্বস্তি: লেডি ওয়ারসি পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘সরকারের নীতি নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য, ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের যে সুনাম, তার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।’
লেডি ওয়ারসি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য ‘এত সহজ’ ছিল না। কিন্তু গাজা ইস্যুতে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল, তাতে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দারুণ অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
লেডি ওয়ারসি আরও বলেছেন, ‘এর আগে যে সিদ্ধান্তগুলো আমি নিয়েছি বা সমর্থন করেছি, সেগুলোর সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু এ দফায় আমি একমত ছিলাম বলে মনে করি না।’
লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন লেডি ওয়ারসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, ‘এখানে গোপনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। গাজা ইস্যুতে সরকারের ভেতরেই ভিন্নমত রয়েছে। এ বিষয়ে লেডি ওয়ারসির জোরালো মতামত রয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ছুটিতে থাকায় এখনো পর্যন্ত তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেডি ওয়ারসি গাজাসংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এর আগেই। গত ২১ জুলাই এক টুইটার-বার্তায় তিনি লেখেন, নির্দোষ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার। দুপক্ষের নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিন দিন পর তিনি লেখেন, ‘শিশুহত্যা সমর্থন করা থেকে কি মানুষ বিরত থাকতে পারে না? আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যা-ই হোক না কেন, এটাকে ন্যায্য বলা যায় না। এটা নিশ্চিতভাবেই খুবই দুঃখজনক।’
গতকালই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলের সামনে বোমা হামলার ঘটনার নিন্দা করে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন যা বলেছেন, তা ঠিক। তবে বান ওই হামলাকে ‘নৈতিকভাবে চূড়ান্ত অবমাননাকর এবং অপরাধ’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে ডেভিড ক্যামেরন একমত কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
ডেভিড ক্যামেরনের মন্ত্রিসভায় ওয়ারসি প্রথম মুসলিম নারী সদস্য। তিনি ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে ওয়ারসি আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
আজ এক টুইটার বার্তায় ওয়ারসি লেখেন, ‘গভীর দুঃখ নিয়ে আজ আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গাজায় সরকারের যে নীতি, সেটি আমি আর সমর্থন করতে পারছি না।’
মন্ত্রিসভার সদস্য নন, কনজারভেটিভ পার্টির এমন বেশ কয়েকজন সাংসদ ডেভিড ক্যামেরনকে ইসরায়েলের প্রতি আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যে কর্মকাণ্ড, তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
অস্বস্তি: লেডি ওয়ারসি পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘সরকারের নীতি নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য, ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের যে সুনাম, তার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।’
লেডি ওয়ারসি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার জন্য ‘এত সহজ’ ছিল না। কিন্তু গাজা ইস্যুতে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল, তাতে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দারুণ অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
লেডি ওয়ারসি আরও বলেছেন, ‘এর আগে যে সিদ্ধান্তগুলো আমি নিয়েছি বা সমর্থন করেছি, সেগুলোর সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু এ দফায় আমি একমত ছিলাম বলে মনে করি না।’
লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন লেডি ওয়ারসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, ‘এখানে গোপনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। গাজা ইস্যুতে সরকারের ভেতরেই ভিন্নমত রয়েছে। এ বিষয়ে লেডি ওয়ারসির জোরালো মতামত রয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ছুটিতে থাকায় এখনো পর্যন্ত তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেডি ওয়ারসি গাজাসংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এর আগেই। গত ২১ জুলাই এক টুইটার-বার্তায় তিনি লেখেন, নির্দোষ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার। দুপক্ষের নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিন দিন পর তিনি লেখেন, ‘শিশুহত্যা সমর্থন করা থেকে কি মানুষ বিরত থাকতে পারে না? আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যা-ই হোক না কেন, এটাকে ন্যায্য বলা যায় না। এটা নিশ্চিতভাবেই খুবই দুঃখজনক।’
গতকালই প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলের সামনে বোমা হামলার ঘটনার নিন্দা করে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন যা বলেছেন, তা ঠিক। তবে বান ওই হামলাকে ‘নৈতিকভাবে চূড়ান্ত অবমাননাকর এবং অপরাধ’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে ডেভিড ক্যামেরন একমত কি না, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
No comments