নয়মাসের অন্তঃসত্ত্বার সাঁতরে নদী পার!
পেটে নয় মাসের সন্তান। কদিন বাদেই ভূমিষ্ঠ
হবে। অজো পাড়াগাঁয়ে হাসপাতাল দূরে থাক, ডাক্তারও নেই। হাসপাতালে যেতে হলে
পাড়ি দিতে হবে খরস্রোতা নদী। অথচ খেয়া নেই। তাই প্রসূতি নিজেই জীবন বাজি
রেখে এক কিলোমিটার সাঁতরে পার হয়েছেন সেই নদী।
>>নয় মাসের গর্ভবতী অবস্থায় এক কিলোমিটার নদী পার হন এই নারী। তাঁকে সাঁতরাতে সহায়তা করেন তাঁর বাবা ও ভাইয়েরা: ছবি বিবিসি হিন্দির সৌজন্যে
>>নয় মাসের গর্ভবতী অবস্থায় এক কিলোমিটার নদী পার হন এই নারী। তাঁকে সাঁতরাতে সহায়তা করেন তাঁর বাবা ও ভাইয়েরা: ছবি বিবিসি হিন্দির সৌজন্যে
ভারতের
কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত জাদগির
জেলায় গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ
খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণ নদীবেষ্টিত দ্বীপগ্রাম নীলাকান্তরায়াঙ্গাড়ে গ্রামের ওই প্রসূতির নাম জেল্লাবা। বয়স ২২ বছর।
ওই গ্রাম থেকে শহরে আসতে কৃষ্ণ নামের একটি নদী পার হতে হয়। নদী পারাপারের জন্য একটি মাত্র ভেলা ছিল। তা-ও খরস্রোতের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
এ অবস্থায় বাবা, ভাই ও চাচাতো ভাইদের সহায়তায় সাঁতরে নদী পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেল্লাবা। ভেসে থাকার জন্য তাঁরা বোতল, পাতিল ও লাউ-কুমড়ার শুকনো খোলের সাহায্য নেন।
নদী পার হওয়ার পর জেল্লাবা বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চার নিরাপদ প্রসব চেয়েছিলাম।’ জেল্লাবার এই দুঃসাহসকে স্থানীয় চিকিত্সক ও গ্রামবাসী বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেছেন।
গত বুধবার যখন জেল্লাবা পার হচ্ছিলেন, তখন নদীতে ১২-১৪ ফুট উঁচু ঢেউ ছিল। এ সময় একজন অভিজ্ঞ সাঁতারুও নদীতে সাঁতার কাটতে ভয় পায়। তিনি বলেন, ‘আমি ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সন্তানের জন্য নদী পাড়ি দিতে প্রতিজ্ঞ ছিলাম।’ জেল্লাবা যখন সাঁতার কাটছিলেন তখন তাঁর বাবা, ভাই ও চাচাতো ভাইয়েরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জেল্লাবা বলছিলেন, ‘আমার ভাই আমার সামনে ছিল, তার পরে আমি। আমার ভাই এবং চাচাতো ভাইয়েরা আমার চারপাশে শুকনো ফাঁপা কুমড়ো এবং বোতল দিয়ে গার্ড তৈরি করে দেয়। এ জন্য আমি ভেসে ছিলাম।’
জেল্লাবার ভাই লক্ষ্মণ বলেন, কুমড়ো এবং বোতলগুলোকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রেখেছিলাম। নদীটির এপাড় থেকে ওপাড়ের দূরত্ব আধা কিলোমিটারের কিছু বেশি। কিন্তু মাঝনদীতে ছিল প্রলয়ংকরী ঢেউ। বিশাল ঢেউ আমাদের ছিটকে সরিয়ে দিচ্ছিল। এ জন্য আমাদের প্রায় এক কিলোমিটার সাঁতরাতে হয়েছে।’
জেল্লাবা যখন কাছের কেক্কারা নামের একটি গ্রামের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছান, তখন চিকিত্সকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এখন তিনি তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সক বীণা বলেছেন, তিনি খুব ভালো আছেন। তিনি সাহসিকতা ও সংকল্পের উদাহরণ হয়ে থাকবেন। ২০-২৫ দিন পর তাঁর সন্তান প্রসব হবে বলে চিকিত্সকেরা মনে করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণ নদীবেষ্টিত দ্বীপগ্রাম নীলাকান্তরায়াঙ্গাড়ে গ্রামের ওই প্রসূতির নাম জেল্লাবা। বয়স ২২ বছর।
ওই গ্রাম থেকে শহরে আসতে কৃষ্ণ নামের একটি নদী পার হতে হয়। নদী পারাপারের জন্য একটি মাত্র ভেলা ছিল। তা-ও খরস্রোতের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।
এ অবস্থায় বাবা, ভাই ও চাচাতো ভাইদের সহায়তায় সাঁতরে নদী পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেল্লাবা। ভেসে থাকার জন্য তাঁরা বোতল, পাতিল ও লাউ-কুমড়ার শুকনো খোলের সাহায্য নেন।
নদী পার হওয়ার পর জেল্লাবা বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাচ্চার নিরাপদ প্রসব চেয়েছিলাম।’ জেল্লাবার এই দুঃসাহসকে স্থানীয় চিকিত্সক ও গ্রামবাসী বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেছেন।
গত বুধবার যখন জেল্লাবা পার হচ্ছিলেন, তখন নদীতে ১২-১৪ ফুট উঁচু ঢেউ ছিল। এ সময় একজন অভিজ্ঞ সাঁতারুও নদীতে সাঁতার কাটতে ভয় পায়। তিনি বলেন, ‘আমি ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সন্তানের জন্য নদী পাড়ি দিতে প্রতিজ্ঞ ছিলাম।’ জেল্লাবা যখন সাঁতার কাটছিলেন তখন তাঁর বাবা, ভাই ও চাচাতো ভাইয়েরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জেল্লাবা বলছিলেন, ‘আমার ভাই আমার সামনে ছিল, তার পরে আমি। আমার ভাই এবং চাচাতো ভাইয়েরা আমার চারপাশে শুকনো ফাঁপা কুমড়ো এবং বোতল দিয়ে গার্ড তৈরি করে দেয়। এ জন্য আমি ভেসে ছিলাম।’
জেল্লাবার ভাই লক্ষ্মণ বলেন, কুমড়ো এবং বোতলগুলোকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রেখেছিলাম। নদীটির এপাড় থেকে ওপাড়ের দূরত্ব আধা কিলোমিটারের কিছু বেশি। কিন্তু মাঝনদীতে ছিল প্রলয়ংকরী ঢেউ। বিশাল ঢেউ আমাদের ছিটকে সরিয়ে দিচ্ছিল। এ জন্য আমাদের প্রায় এক কিলোমিটার সাঁতরাতে হয়েছে।’
জেল্লাবা যখন কাছের কেক্কারা নামের একটি গ্রামের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছান, তখন চিকিত্সকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এখন তিনি তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সক বীণা বলেছেন, তিনি খুব ভালো আছেন। তিনি সাহসিকতা ও সংকল্পের উদাহরণ হয়ে থাকবেন। ২০-২৫ দিন পর তাঁর সন্তান প্রসব হবে বলে চিকিত্সকেরা মনে করছেন।
No comments