ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে আপত্তি থাকলেও আড়াই কোটি শিশুকে খাওয়ানো হয়
মঙ্গলবার ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী দেশের প্রায়
আড়াই কোটি শিশু বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিটামিন “এ” টিকা খাওয়ানো হবে।
কিন্তু গুণগত মান নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও
তিনবার সময় পরিবর্তন করে ১২ মার্চ এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
ভারতের বিতর্কিত
প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা এসব ক্যাপসুল ‘ক্ষতিকর নয়’ প্রমাণ করতে তিনবার তারিখ
পরিবর্তন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তি জানানো এসব ক্যাপসুল
সম্পর্কে পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি ভারতীয় অপর এক প্রতিষ্ঠান। ভিটামিন
‘এ’ ক্যাপসুলের সঙ্গে কৃমিনাশক অ্যালবেন্ডাজল ট্যাবলেটও খাওয়ানো হবে। এ
বিষয়ে আজ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
‘ভিটামিন
এ ক্যাম্পেইন’ এর আওতায় বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ অলিভ হেলথ কেয়ারের কাছ
থেকে ১০ কোটি পিস ক্যাপসুল কেনে সরকার। কিন্তু এসব ক্যাপসুল শিশু
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে আপত্তি জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর
এসজিএস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এসব ক্যাপসুল পরীক্ষা করে। তারা মান
আপত্তি না জানালেও তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওটায় মন্ত্রণালয়ের
পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এরপর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের নির্দেশে পরীক্ষার জন্য
দ্বিতীয় দফায় সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এসব ক্যাপসুল।
ভিটামিন এ ক্যাস্পসুল কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও। কোন অভিজ্ঞতা নেই এমন একটি ভারতীয় কোম্পানীকে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার কর্তৃপক্ষ গত অর্থ বছরের শেষ কার্যদিবসে ২৮ জুন তড়িঘড়ি করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিটির কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে এসএস সাইন্টিফিট করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দরপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকার পরও অলিভ হেলথ কেয়ার নামে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অলিভ হেলথ নিজের দেশেই যাদের ভিটামিন-এ সররবাহের অভিজ্ঞতা নেই ।
গত ১১ জুলাই হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হলে অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভিটামিন-এ কেনার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সংস্লিষ্ট সিনিয়র সহকারি সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দরপত্র জমা দেয় তিনটি প্রতিষ্ঠান। দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড মেনুফেকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) সার্টিফিকেট এবং সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট (সিওপিপি) এর কপি বাধ্যতামুলক করা হলেও অলিভ হেলথ কেয়ার তা জমা দেয়নি। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এই প্রয়োজনীয কাগজপত্র চাইলে দরপত্র জমা দেওয়ার কয়েক মাস পরে জুন মাসে তা জমা দেয়। ডব্লিউএইচও এর জিএমপি তালিকায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অলিভ ফার্মাকে প্রায় পনের কোটি টাকায় ভিটামিন এ সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন অন্য কোন দেশে এমনকি ভারতেই সরবরাহ করা হয়নি। তাদের কোন অভিজ্ঞতার কাগজপত্র দরপত্রের সঙ্গে দেখাতে পারেনি।
অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষে বাংলাদেশে কাজ করে মেসার্স জনতা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়, এ কাজের জন্য যেসব যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া দরকার তার সবগুলো অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়নি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস থেকে গত ৩১ মে সিএমএসডির পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের আপত্তিমূলক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে গত ২ এপ্রিল এক চিঠিতে তাদের প্রাক-যোগ্যতার কাগজপত্র নাইজেরিয়া থেকে নিয়ে আসার জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়েছিল।
কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে তারা তা জমা দিতে পারেনি। ফলে গত ৫ জুন সিএমএসডি তাদেরকে একটি চিঠি দিয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য সর্বশেষ সুযোগ দেয়। কিন্তু তা না করে অলিভ হেলথ কেয়ার গত ৮ জুন সিএমএসডির পরিচালক বরাবরে এক চিঠি পাঠিয়ে আরো দুই-তিন সপ্তাহ সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।
এদিকে সোমবার একটি দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ. ম রুহুল হক বলেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল সিঙ্গাপুরে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান বজায় আছে। একই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে করা মান পরীক্ষায় ক্যাপসুলগুলো পুরোপুরি জীবানুমুক্ত নয়।
প্রসঙ্গত, শিশু মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সরকারিভাবে দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউট (সারাদেশে শুধুমাত্র ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার আর সর্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকে মন্ত্রণালয়। অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশু স্বাস্থ্য কতটা নিরাপদ হবে কিংবা ক্যাপসুল খাওয়ান কর্মসূচিই বা কতটা সফল হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ভিটামিন এ ক্যাস্পসুল কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও। কোন অভিজ্ঞতা নেই এমন একটি ভারতীয় কোম্পানীকে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার কর্তৃপক্ষ গত অর্থ বছরের শেষ কার্যদিবসে ২৮ জুন তড়িঘড়ি করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিটির কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে এসএস সাইন্টিফিট করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দরপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র না থাকার পরও অলিভ হেলথ কেয়ার নামে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অলিভ হেলথ নিজের দেশেই যাদের ভিটামিন-এ সররবাহের অভিজ্ঞতা নেই ।
গত ১১ জুলাই হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হলে অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভিটামিন-এ কেনার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সংস্লিষ্ট সিনিয়র সহকারি সচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দরপত্র জমা দেয় তিনটি প্রতিষ্ঠান। দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড মেনুফেকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) সার্টিফিকেট এবং সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট (সিওপিপি) এর কপি বাধ্যতামুলক করা হলেও অলিভ হেলথ কেয়ার তা জমা দেয়নি। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এই প্রয়োজনীয কাগজপত্র চাইলে দরপত্র জমা দেওয়ার কয়েক মাস পরে জুন মাসে তা জমা দেয়। ডব্লিউএইচও এর জিএমপি তালিকায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অলিভ ফার্মাকে প্রায় পনের কোটি টাকায় ভিটামিন এ সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন অন্য কোন দেশে এমনকি ভারতেই সরবরাহ করা হয়নি। তাদের কোন অভিজ্ঞতার কাগজপত্র দরপত্রের সঙ্গে দেখাতে পারেনি।
অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষে বাংলাদেশে কাজ করে মেসার্স জনতা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়, এ কাজের জন্য যেসব যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া দরকার তার সবগুলো অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়নি।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস থেকে গত ৩১ মে সিএমএসডির পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের আপত্তিমূলক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে গত ২ এপ্রিল এক চিঠিতে তাদের প্রাক-যোগ্যতার কাগজপত্র নাইজেরিয়া থেকে নিয়ে আসার জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়েছিল।
কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে তারা তা জমা দিতে পারেনি। ফলে গত ৫ জুন সিএমএসডি তাদেরকে একটি চিঠি দিয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য সর্বশেষ সুযোগ দেয়। কিন্তু তা না করে অলিভ হেলথ কেয়ার গত ৮ জুন সিএমএসডির পরিচালক বরাবরে এক চিঠি পাঠিয়ে আরো দুই-তিন সপ্তাহ সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।
এদিকে সোমবার একটি দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ. ম রুহুল হক বলেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল সিঙ্গাপুরে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান বজায় আছে। একই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে করা মান পরীক্ষায় ক্যাপসুলগুলো পুরোপুরি জীবানুমুক্ত নয়।
প্রসঙ্গত, শিশু মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে সরকারিভাবে দেশের ২ কোটি ৫০ লাখ শিশুকে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউট (সারাদেশে শুধুমাত্র ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
ওষুধ সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার আর সর্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকে মন্ত্রণালয়। অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশু স্বাস্থ্য কতটা নিরাপদ হবে কিংবা ক্যাপসুল খাওয়ান কর্মসূচিই বা কতটা সফল হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
No comments