পাচার হওয়া কিশোরী ফিরলো দুই সন্তান নিয়ে! by আসিফ ইকবাল কাজল
সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া ১৩ বছরের কিশোরী
রুমা। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়া, খেলাধুলা আর হৈহুল্লোড় করে ভালই কাটছিল
তার সময়। কিন্তু হঠাৎ করে তার সাজানো পৃথিবী এলোমেলো হয়ে যায়।
সেটা ২০০৪ সালের কথা। রুমা তখন ঝিনাইদহের সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়তেন।
রুমাকে
তার দুঃসম্পর্কের মামা আব্দুল মোমিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে
নিয়ে যায়। পরে তাকে ভারতের কাশ্মীরে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘ ৯ বছর পর তার পরিবার প্রশাসনের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে, রুমা দেশে ফিরেছেন দু’টি সন্তান সঙ্গে নিয়ে।
রুমা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
দীর্ঘদিন কাশ্মীরে থাকার ফলে রুমা এখন বাংলা প্রায় ভুলেই গিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের ভাষায় রুমা বাংলানিউজকে তার জীবনের কঠিন ও দুঃসহ দিনগুলির কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, তার দুঃসম্পর্কের মামা মোমিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে মোনিনের স্ত্রীর বড় বোন আয়েশা খাতুনের হাতে তুলে দেন।
আয়েশার মেয়ে ইতি কাশ্মীরে থাকে। আয়েশা তাকে কাশ্মীরে নিয়ে ইতির মাধ্যমে কাশ্মীরের জনৈক আ. রশিদের কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ পরে রুমাকে বিয়ে করেন।
রুমা জানান, কাশ্মীরে পুরুষদের বিয়ে করা ব্যয়বহুল। তাই তারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা মেয়েদের অল্প টাকায় কিনে বিয়ে করেন।
সেখানে রুমার ২টি মেয়ে হয়। রুমার বড় মেয়ে ফুরকানের বয়স ৮ বছর আর ছোট মেয়ে মুশকানের বয়স ৪ বছর।
৩ মাস আগে রুমার স্বামী দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যায়। এরপর ভারতীয় দূতাবাস ও বাংলাদেশের দূতাবাসের সহায়তায় রুমা ও তার মেয়েদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
তার মতো আরও অনেক বাংলাদেশি মেয়ে কাশ্মীরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুমা।
এ ব্যাপারে রুমার বাবা মান্নান জানান, মেয়েকে ফিরিয়ে দেবে এই আশ্বাস দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ঘুরাতে থাকে মোমিন ও আয়েশা।
মেয়ের ক্ষতি করবে এই ভয়ে এতদিন তিনি কোনো মামলাও করেন নি।
পরে, মেয়েকে ফিরে না পেয়ে তিনি মোমিন, তার স্ত্রী সালেহা ও স্ত্রীর বোন আয়েশাকে আসামি করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, আয়েশা দীর্ঘদিন ধরে দুবাইতে ছিল। মামলা করার মাত্র তিন দিন আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
পরে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের চাপের মুখে আসামিরা আয়েশার মেয়ের ইতিকে সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতি ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ৯ বছর পর তার পরিবার প্রশাসনের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে, রুমা দেশে ফিরেছেন দু’টি সন্তান সঙ্গে নিয়ে।
রুমা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
দীর্ঘদিন কাশ্মীরে থাকার ফলে রুমা এখন বাংলা প্রায় ভুলেই গিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের ভাষায় রুমা বাংলানিউজকে তার জীবনের কঠিন ও দুঃসহ দিনগুলির কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, তার দুঃসম্পর্কের মামা মোমিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে মোনিনের স্ত্রীর বড় বোন আয়েশা খাতুনের হাতে তুলে দেন।
আয়েশার মেয়ে ইতি কাশ্মীরে থাকে। আয়েশা তাকে কাশ্মীরে নিয়ে ইতির মাধ্যমে কাশ্মীরের জনৈক আ. রশিদের কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ পরে রুমাকে বিয়ে করেন।
রুমা জানান, কাশ্মীরে পুরুষদের বিয়ে করা ব্যয়বহুল। তাই তারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার হয়ে আসা মেয়েদের অল্প টাকায় কিনে বিয়ে করেন।
সেখানে রুমার ২টি মেয়ে হয়। রুমার বড় মেয়ে ফুরকানের বয়স ৮ বছর আর ছোট মেয়ে মুশকানের বয়স ৪ বছর।
৩ মাস আগে রুমার স্বামী দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যায়। এরপর ভারতীয় দূতাবাস ও বাংলাদেশের দূতাবাসের সহায়তায় রুমা ও তার মেয়েদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
তার মতো আরও অনেক বাংলাদেশি মেয়ে কাশ্মীরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রুমা।
এ ব্যাপারে রুমার বাবা মান্নান জানান, মেয়েকে ফিরিয়ে দেবে এই আশ্বাস দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ঘুরাতে থাকে মোমিন ও আয়েশা।
মেয়ের ক্ষতি করবে এই ভয়ে এতদিন তিনি কোনো মামলাও করেন নি।
পরে, মেয়েকে ফিরে না পেয়ে তিনি মোমিন, তার স্ত্রী সালেহা ও স্ত্রীর বোন আয়েশাকে আসামি করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, আয়েশা দীর্ঘদিন ধরে দুবাইতে ছিল। মামলা করার মাত্র তিন দিন আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
পরে ঝিনাইদহ থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের চাপের মুখে আসামিরা আয়েশার মেয়ের ইতিকে সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতি ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
No comments