সরকার পতনে আরও হরতাল-অবরোধঃ খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,
এরা জনগণের সরকার নয়। প্রতিনিয়ত পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। এ
সরকার খুনী ও জালিম সরকার। ১৮ ১৯ মার্চ হরতাল দেওয়া হয়েছে। সরকারকে বিদায়ের
জন্য আরও হরতাল অবরোধ দেওয়া হবে।
বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম এস এ খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি
বলেন, এ সরকার মসজিদ, মন্দির গির্জায় হামলা করে। এরা গত কয়েকদিনে গুলি করে
শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই বিডিআর বিদ্রোহে
৫৮জন সেনা হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার করেনি এ সরকার।
বিএনপিকে মুক্তিযোদ্ধার দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মার্চ মাসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তাই দেশরক্ষার দায়িত্ব আমাদের বেশি। স্বাধীনতার পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবানও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার সকল ইস্যু চাপা দিতে শাহবাগে নাস্তিকদের মঞ্চ পেতেছে আর ফাঁসি ফাঁসি খেলা শুরু করেছে। সব যুবক না কী শাহবাগে। তাহলে আজকের মানিকগঞ্জের জড়ো হওয়া এরা কী বুড়ো। এখন দরকার সরকারের পতন। তাহলে মানুষ নিরাপদে চলতে পারবে।
সরকারকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার দুর্নীতিবাজ। এরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। শেয়ার মার্কেট, হলমার্ক, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে দাতা সংস্থারা আর টাকা দিচ্ছেনা। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবেনা, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দু’টি পদ্মা সেতু করা হবে। জনগণের উন্নয়নের জন্য নয় সরকার চুরিতে ব্যস্ত।
এর আগে স্থানীয় গোবিন্দলে এক পথসভায় তিনি বলেন, যে সরকার মানুষকে গুলি করে হত্যা করতে পারে তার সাথে কোনো আপস নেই। রক্ত ঝরেছে, প্রয়োজনে আরও ঝরবে কিন্তু খুনি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেনা বিএনপি।
এর আগে তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মওলানা নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে যান। এসময় তিনি নিহত নাসিরুদ্দিনের মা ফাতেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং তাদের সমবেদনা জানান।
পরে তিনি একই ঘটনায় নিহত শাহ আলমের মা সহর বানু ও চাচা আবুল কাশেম, নিহত নাজিমুদ্দিনের বাবা মজনু মিয়া ও নিহত আলমগীরের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী রাফেজা বেগম, তাদের দেড় বছরের মেয়ে আঁখি ও বাবা রাজ্জাক মিয়াকেও সমবেদনা জানান।
প্রত্যেক পরিবারকে তিনি আর্থিক সহায়তা করেন বলেও জানা গেছে।
শনিবার দুপুর সোয়া দুইটায় তিনি গুলশানের বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগমন উপলক্ষে গোবিন্দল ও চারিগ্রামে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী দলগুলোর ডাকা হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন গোবিন্দল-চারিগ্রাম এলাকার ৪ জন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আরো অর্ধশত।
বিএনপিকে মুক্তিযোদ্ধার দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মার্চ মাসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তাই দেশরক্ষার দায়িত্ব আমাদের বেশি। স্বাধীনতার পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবানও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার সকল ইস্যু চাপা দিতে শাহবাগে নাস্তিকদের মঞ্চ পেতেছে আর ফাঁসি ফাঁসি খেলা শুরু করেছে। সব যুবক না কী শাহবাগে। তাহলে আজকের মানিকগঞ্জের জড়ো হওয়া এরা কী বুড়ো। এখন দরকার সরকারের পতন। তাহলে মানুষ নিরাপদে চলতে পারবে।
সরকারকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার দুর্নীতিবাজ। এরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। শেয়ার মার্কেট, হলমার্ক, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে দাতা সংস্থারা আর টাকা দিচ্ছেনা। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবেনা, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দু’টি পদ্মা সেতু করা হবে। জনগণের উন্নয়নের জন্য নয় সরকার চুরিতে ব্যস্ত।
এর আগে স্থানীয় গোবিন্দলে এক পথসভায় তিনি বলেন, যে সরকার মানুষকে গুলি করে হত্যা করতে পারে তার সাথে কোনো আপস নেই। রক্ত ঝরেছে, প্রয়োজনে আরও ঝরবে কিন্তু খুনি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেনা বিএনপি।
এর আগে তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মওলানা নাসিরুদ্দিনের বাড়িতে যান। এসময় তিনি নিহত নাসিরুদ্দিনের মা ফাতেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং তাদের সমবেদনা জানান।
পরে তিনি একই ঘটনায় নিহত শাহ আলমের মা সহর বানু ও চাচা আবুল কাশেম, নিহত নাজিমুদ্দিনের বাবা মজনু মিয়া ও নিহত আলমগীরের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী রাফেজা বেগম, তাদের দেড় বছরের মেয়ে আঁখি ও বাবা রাজ্জাক মিয়াকেও সমবেদনা জানান।
প্রত্যেক পরিবারকে তিনি আর্থিক সহায়তা করেন বলেও জানা গেছে।
শনিবার দুপুর সোয়া দুইটায় তিনি গুলশানের বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগমন উপলক্ষে গোবিন্দল ও চারিগ্রামে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী দলগুলোর ডাকা হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন গোবিন্দল-চারিগ্রাম এলাকার ৪ জন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আরো অর্ধশত।
No comments