বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিলো ৮ স্কুল শিশুর প্রাণ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ঘাতক ট্রাক কেড়ে
নিলো ৮টি কোমল প্রাণ। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় একটি স্কুল ভ্যান উল্টে
সেখানে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছে ৮ শিশু। উপজেলার নাথেরপেটুয়ার রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের ওপর দুপুর পৌনে দুইটায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার বাংলানিউজ ৮টি শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের
মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৭ জনের নাম জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। এদের মধ্যে ২টি
শিশু ভাইবোন। এরা হচ্ছে- নিহাদ (৬) ও টিনা (৮)। বাকী ৫ জন শোভা (৫), মিঠুন
(৬), স্বাধীন (৬), আলামীন (৭) ও রাকিবুল (৭) বলে জানা গেছে।
শোভা জহির মিয়ার মেয়ে, নিহাদ ও টিনার বাবা আবু তাহের, মিঠুনের বাবা মোহাম্মদ মিয়া, সেলিম মিয়ার ছেলে স্বাধীন, আল-আমিন আব্দুল মালেকের ছেলে আর রাকিবুলের বাবা মনির হোসেন। এদের সবার বাড়ি মনোহরগঞ্জের হাতিমারা এলাকায়।
তবে ওসি জহিরুল আনোয়ার নিহত শিশুদের নাম চূড়ান্ত করেন নি। তিনি জানিয়েছেন, ‘৮টি শিশু মারা গেছে। ওদের সঠিক নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
তিনি জানান, স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়ে শিশুরা। এই ঘটনায় আরও তিন শিশু আহত হয়েছে। তাদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রাকচালকের বেপরোয়া গতির কারণে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও বাংলানিউজকে জানান ওসি জহিরুল আনোয়ার।
আহতদের মধ্যে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার যুথি ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাকসুদুল ইসলামের নাম জানা গেছে।
লালমাই হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম জানান, দুপুরে ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী একটি ট্রাক শিশু শিক্ষার্থীবাহী স্কুলভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় ভ্যান ও ট্রাক দুটিই রাস্তার পাশের খাদে গিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশুর ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের স্বজনরা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে যার যার বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনার পর থেকে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের নাথেরপেটুয়া এলাকা অবরোধ করে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
শোভা জহির মিয়ার মেয়ে, নিহাদ ও টিনার বাবা আবু তাহের, মিঠুনের বাবা মোহাম্মদ মিয়া, সেলিম মিয়ার ছেলে স্বাধীন, আল-আমিন আব্দুল মালেকের ছেলে আর রাকিবুলের বাবা মনির হোসেন। এদের সবার বাড়ি মনোহরগঞ্জের হাতিমারা এলাকায়।
তবে ওসি জহিরুল আনোয়ার নিহত শিশুদের নাম চূড়ান্ত করেন নি। তিনি জানিয়েছেন, ‘৮টি শিশু মারা গেছে। ওদের সঠিক নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
তিনি জানান, স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়ে শিশুরা। এই ঘটনায় আরও তিন শিশু আহত হয়েছে। তাদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রাকচালকের বেপরোয়া গতির কারণে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও বাংলানিউজকে জানান ওসি জহিরুল আনোয়ার।
আহতদের মধ্যে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার যুথি ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাকসুদুল ইসলামের নাম জানা গেছে।
লালমাই হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম জানান, দুপুরে ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী একটি ট্রাক শিশু শিক্ষার্থীবাহী স্কুলভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় ভ্যান ও ট্রাক দুটিই রাস্তার পাশের খাদে গিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশুর ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের স্বজনরা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে যার যার বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনার পর থেকে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের নাথেরপেটুয়া এলাকা অবরোধ করে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ও রণবীর ঘোষ কিংকর, চান্দিনা প্রতিনিধি বাংলানিউজ
No comments