সিলেটে মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে গণধর্ষণ
কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ধর্ষিত
হওয়ার ৫ মাস পর মামলা হয়েছে। রোববার কানাইঘাট থানায় মামলাটি রেকর্ড করে
পুলিশ। গত বছরের ২রা সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার
১নং
লক্ষ্মীপ্রসাদপূর্ব ইউপি মেম্বার মোস্তাক আহমদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে
অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সোনারখেওড় গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার
মেয়েকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে
যাওয়া হয় একই গ্রামের ইউপি মেম্বার মোস্তাক আহমদের বাড়িতে। সেখানে রাতভর
আটকে রেখে মেম্বার মোস্তাকসহ কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে পর দিন কার্ড না
দিয়েই তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীকালে ওই মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার
গর্ভপাতের চেষ্টা করে তারা। রাজি না হওয়ায় গত ২৮শে জানুয়ারি ফের তাকে
ধর্ষণ করেন মেম্বার মোস্তাক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গত ৩০শে
জানুয়ারি সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে
মামলা রুজু করে পুলিশ। মামালার আসামিরা হচ্ছে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার
সোনারখেওড় গ্রামের শফিকুল হকের পুত্র ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ (৩৬), একই
গ্রামের আবদুল হান্নানের পুত্র মুহিবুর রহমান (৪২), উপজেলার নারায়ণপুরের
মৃত নিমার আলীর পুত্র জইন উদ্দিন, একই গ্রামের মইনার আলীর পুত্র সুনু মিয়া
ও সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বারগ্রামের মনি মিয়ার পুত্র চুনু মিয়া
(৩৬)। মামলার পর চার দিনেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পাশাপাশি মামলার ভিকটিমকেও খুঁজে না পাওয়ায় ঘটনা নিয়ে এলাকায় নানা
গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েটির নৈতিক চরিত্র নিয়েও এলাকার লোকজনের মুখে
রয়েছে নানা কথা। কানাইঘাট থানার ওসি আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানান, ওপর
মহলের নির্দেশে মামলা নেয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া
গেলে আসামি গ্রেপ্তারসহ মামলায় চার্জশিট দেয়া হবে।
No comments