সিরিয়ায় ৫০ বছরের জরুরি আইন প্রত্যাহারে বিল পাস
সিরিয়ার সরকার সে দেশে প্রায় ৫০ বছর ধরে বহাল থাকা জরুরি আইন প্রত্যাহারে গতকাল মঙ্গলবার একটি বিল পাস করেছে। একই সঙ্গে সরকার সেখানে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সানা এ কথা জানায়।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-সার সব ধরনের মিছিল ও বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থে নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। বিক্ষোভ দমনে দেশটির মন্ত্রিসভা একটি বিল অনুমোদন করেছে।
সরকার বলেছে, হোমস ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর বানিয়াসের অস্থিতিশীলতা সশস্ত্র বিদ্রোহেরই নামান্তর। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের কেন্দ্রস্থল দখল করে নেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হলো। বিক্ষোভকারীদের অঙ্গীকার—সরকার তাঁদের সব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে সরে যাবেন না। বিক্ষোভকারীরা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হোমসে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে। এতে চারজন নিহত হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সিরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছে।
জরুরি আইন তুলে নেওয়া ও রাজবন্দীদের মুক্তি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি।
লেবাননের বৈরুত থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলেন, সিরিয়ার নজিরবিহীন এই বিক্ষোভ প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দেরায় বাথ পার্টির শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরপর গোটা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গত সোমবার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্থিতিশীলতাকে সশস্ত্র বিদ্রোহ হিসেবে বর্ণনা করে বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, অতিরিক্ত রক্ষণশীল সালাফিস্ট মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করেছে। মৃতদেহের অঙ্গচ্ছেদ করেছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে এবং মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঘটনাগুলো সালাফিস্ট সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র বিদ্রোহ, বিশেষ করে হোমস ও বানিয়াস শহরে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা জানান, হোমসের ক্লক স্কয়ারের চারপাশে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজন ছাড়া অন্য কেউ যাতে সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্কয়ার থেকে লোকজনকে জোর করে সরিয়ে দিয়েছেন।
একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ হেফাজতে একজন আদিবাসী নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভরত ব্যক্তিদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গত রোববার কমপক্ষে ১২ জন প্রাণ হারান।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ রোববার একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং তাঁর দুই ছেলে ও এক ভাতিজাসহ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। হত্যার পর তাঁদের অঙ্গহানি করা হয়।
গত রোববার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বানিয়াতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-সার সব ধরনের মিছিল ও বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থে নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। বিক্ষোভ দমনে দেশটির মন্ত্রিসভা একটি বিল অনুমোদন করেছে।
সরকার বলেছে, হোমস ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর বানিয়াসের অস্থিতিশীলতা সশস্ত্র বিদ্রোহেরই নামান্তর। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের কেন্দ্রস্থল দখল করে নেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হলো। বিক্ষোভকারীদের অঙ্গীকার—সরকার তাঁদের সব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে সরে যাবেন না। বিক্ষোভকারীরা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হোমসে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে। এতে চারজন নিহত হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সিরিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছে।
জরুরি আইন তুলে নেওয়া ও রাজবন্দীদের মুক্তি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি।
লেবাননের বৈরুত থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলেন, সিরিয়ার নজিরবিহীন এই বিক্ষোভ প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দেরায় বাথ পার্টির শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরপর গোটা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গত সোমবার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্থিতিশীলতাকে সশস্ত্র বিদ্রোহ হিসেবে বর্ণনা করে বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, অতিরিক্ত রক্ষণশীল সালাফিস্ট মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করেছে। মৃতদেহের অঙ্গচ্ছেদ করেছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে এবং মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঘটনাগুলো সালাফিস্ট সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র বিদ্রোহ, বিশেষ করে হোমস ও বানিয়াস শহরে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা জানান, হোমসের ক্লক স্কয়ারের চারপাশে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজন ছাড়া অন্য কেউ যাতে সেখানে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।
এরই মধ্যে বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্কয়ার থেকে লোকজনকে জোর করে সরিয়ে দিয়েছেন।
একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ হেফাজতে একজন আদিবাসী নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভরত ব্যক্তিদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গত রোববার কমপক্ষে ১২ জন প্রাণ হারান।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ রোববার একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং তাঁর দুই ছেলে ও এক ভাতিজাসহ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। হত্যার পর তাঁদের অঙ্গহানি করা হয়।
গত রোববার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বানিয়াতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
No comments