গাদ্দাফি বাহিনীর ব্রিগেড সদর দপ্তরে ন্যাটোর বিমান হামলা
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গতকাল মঙ্গলবার গাদ্দাফি বাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো। গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে শহরেও গতকাল বিমান হামলা চালানো হয়। ০
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ দলের প্রবেশে ‘নিরাপদ পথ’ নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিয়েছে গাদ্দাফি সরকার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, লিবিয়ার ৫০ হাজার মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা গতকাল জানায়, গত ১০ দিনে লিবিয়া থেকে ১০ হাজার মানুষ তিউনিসিয়ায় পালিয়ে গেছে। গাদ্দাফিবিরোধীদের বরাত দিয়ে ইতালি দাবি করেছে, গত দুই মাসে লিবিয়ায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, গাদ্দাফি বাহিনীর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনাসহ ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলের একটি ব্রিগেডের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালানো হয়। ন্যাটোর বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার রাতে গাদ্দাফি বাহিনীর ৩২তম ব্রিগেডের সদর দপ্তর ও বেশ কিছু যোগাযোগ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে লিবিয়া অভিযানের দায়িত্ব পাওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস বাউচার্ড বলেন, গাদ্দাফি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করতে এমন হামলা চলতেই থাকবে।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-জামাহিরিয়ায় বলা হয়, ন্যাটো গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে ত্রিপোলি ও সিরতে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এর কিছুক্ষণ আগে আল-আজিজিয়া শহরের আল-হাবরা এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। তবে হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
লিবিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম জানান, ন্যাটো বাহিনী সোমবার রাতে সিরতে এলাকার মুঠোফোনের অবকাঠামোতে হামলা চালায়। বিদ্রোহীদের অনুরোধ পেয়ে এই হামলা চালানো হয়।
মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল মিসরাতা শহরে যাবে। গাদ্দাফি বাহিনী ছয় সপ্তাহ ধরে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে শহরটিতে খাবারসহ নিত্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক জানান, জাতিসংঘের জনকল্যাণবিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি অ্যামোস গত রোববার ত্রিপোলির কাছে নিশ্চিত হন, পর্যবেক্ষণ দলকে মিসরাতায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এ জন্য লিবিয়ার পক্ষ থেকে ‘নিরাপদ পথ’ নিশ্চিত করার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র ইমিলিয়া ক্যাসেলা জানান, তাঁরা লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করার মতো একটি পথ পেয়েছেন। ওই পথ দিয়ে ২৪০ মেট্রিক টন আটা ও ৯ দশমিক ১ মেট্রিক টন বিস্কুট পাঠানো হয়েছে। এসব খাবার ৫০ হাজার মানুষ এক মাস ধরে খেতে পারবে।
বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি জানান, লিবিয়ায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার। রোমে লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা মুস্তফা আবদেল জলিলের সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্রাত্তিনি এ তথ্য জানান।
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতায় জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ দলের প্রবেশে ‘নিরাপদ পথ’ নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিয়েছে গাদ্দাফি সরকার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, লিবিয়ার ৫০ হাজার মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা গতকাল জানায়, গত ১০ দিনে লিবিয়া থেকে ১০ হাজার মানুষ তিউনিসিয়ায় পালিয়ে গেছে। গাদ্দাফিবিরোধীদের বরাত দিয়ে ইতালি দাবি করেছে, গত দুই মাসে লিবিয়ায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, গাদ্দাফি বাহিনীর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ স্থাপনাসহ ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলের একটি ব্রিগেডের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালানো হয়। ন্যাটোর বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার রাতে গাদ্দাফি বাহিনীর ৩২তম ব্রিগেডের সদর দপ্তর ও বেশ কিছু যোগাযোগ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে লিবিয়া অভিযানের দায়িত্ব পাওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল চার্লস বাউচার্ড বলেন, গাদ্দাফি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করতে এমন হামলা চলতেই থাকবে।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-জামাহিরিয়ায় বলা হয়, ন্যাটো গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে ত্রিপোলি ও সিরতে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। এর কিছুক্ষণ আগে আল-আজিজিয়া শহরের আল-হাবরা এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। তবে হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
লিবিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম জানান, ন্যাটো বাহিনী সোমবার রাতে সিরতে এলাকার মুঠোফোনের অবকাঠামোতে হামলা চালায়। বিদ্রোহীদের অনুরোধ পেয়ে এই হামলা চালানো হয়।
মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল মিসরাতা শহরে যাবে। গাদ্দাফি বাহিনী ছয় সপ্তাহ ধরে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে শহরটিতে খাবারসহ নিত্যপণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক জানান, জাতিসংঘের জনকল্যাণবিষয়ক প্রধান ভ্যালেরি অ্যামোস গত রোববার ত্রিপোলির কাছে নিশ্চিত হন, পর্যবেক্ষণ দলকে মিসরাতায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এ জন্য লিবিয়ার পক্ষ থেকে ‘নিরাপদ পথ’ নিশ্চিত করার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মুখপাত্র ইমিলিয়া ক্যাসেলা জানান, তাঁরা লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করার মতো একটি পথ পেয়েছেন। ওই পথ দিয়ে ২৪০ মেট্রিক টন আটা ও ৯ দশমিক ১ মেট্রিক টন বিস্কুট পাঠানো হয়েছে। এসব খাবার ৫০ হাজার মানুষ এক মাস ধরে খেতে পারবে।
বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি জানান, লিবিয়ায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার। রোমে লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা মুস্তফা আবদেল জলিলের সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্রাত্তিনি এ তথ্য জানান।
No comments