টিকিট, নাকি সোনার হরিণ?
বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই। ক্রিকেট-পাগল মানুষের মনে এখন নতুন প্রশ্ন—টিকিট পাওয়া যাবে কোথায়? বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটি এখন পর্যন্ত এর সংক্ষিপ্ত একটা উত্তরই দিয়েছে—সিটি ব্যাংক। সারা দেশে বেসরকারি এই ব্যাংকের কোন কোন শাখা থেকে বিক্রি হবে বিশ্বকাপের টিকিট, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে দু-এক দিনের মধ্যে। তবে টিকিট বিক্রি শুরুর পর মানুষের আগ্রহটা নিশ্চিতভাবেই হাহাকারে পর্যবসিত হবে।
গ্যালারিতে চেয়ার বসানোর পর বাংলাদেশে বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিশ্বকাপের টিকিট হবে তাই সোনার হরিণ। সাধারণ গ্যালারি থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বক্স—সব মিলিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রতি ম্যাচে মাত্র ২৫৯০১ দর্শক খেলা দেখতে পারবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংখ্যাটা আরও কম, ১৮২২৮। এর মধ্যে সাধারণ গ্যালারির টিকিট মিরপুরে প্রায় ১৫ হাজার এবং চট্টগ্রামে ১১ হাজারের মতো। এর পুরোটাই আবার বুথে বিক্রি হবে না। প্রতি ম্যাচের হাজার দেড়েক করে টিকিট বরাদ্দ থাকবে ‘সৌজন্য টিকিট’ হিসেবে।
করপোরেট বক্সের টিকিটও পাওয়া যাবে না বুথে। আগ্রহী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বরাদ্দ হচ্ছে এসব বক্স। আইসিসিকে ১০টি বক্স বরাদ্দ দেওয়ার পর বিসিবির হাতে বক্স আছে মোট ২৭টি এবং ২৭টি বক্সের জন্য নাকি আবেদন জমা পড়েছে চার শর মতো! গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বক্সের প্রতিটি আসনের টিকিটের দাম ২১ হাজার টাকা, কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য ২৪৫০০ টাকা করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ২৮ হাজার হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট ছাড়া হবে মাত্র ১২ হাজার। স্থানীয় আয়োজক কমিটির টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির ম্যানেজার রিয়াজ আহমেদ বলেছেন, বিশ্বকাপে টিকিট বিক্রি থেকে তাঁরা ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের আশা করছেন।
সিটি ব্যাংকের কোন কোন শাখা থেকে টিকিট বিক্রি হবে, সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা না গেলেও ঢাকায় মোট আটটি বুথে বিক্রি হবে টিকিট। চট্টগ্রামে বিক্রি হবে পাঁচটি বুথ থেকে। দেশের বাকি সব জেলায় টিকিট বিক্রি হবে একটি করে বুথ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রস্তুতি ম্যাচ এবং বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট একসঙ্গে বাজারে ছাড়ার কথা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। শনিবার বলে ওই দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা। স্থানীয় আয়োজক কমিটি সূত্র অবশ্য এও জানিয়েছে, টিকিট বিক্রি শুরুর এই তারিখ তিন-চার দিন পিছিয়েও যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টিকিট কিনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বকাপের টিকিট কেনার প্রক্রিয়াটা জটিল। কেনার সময় ক্রেতাকে সঙ্গে নিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট। টাকা দিয়েও সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট হাতে পাবেন না ক্রেতা। তাকে দেওয়া হবে একটি ভাউচার, যেটি দেখিয়ে ম্যাচের ঠিক সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে টিকিট। টিকিট বিতরণ হবে স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট বুথে। কেউ অবশ্য চাইলে বাড়তি টাকা দিয়ে ডাকেও পেতে পারেন সেটা। প্রতি ম্যাচের জন্য একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুটি করে টিকিট কিনতে পারবেন। তবে প্রস্তুতি ম্যাচসহ বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচের টিকিটই কেনা যাবে একসঙ্গে।
টিকিট নিয়ে এখনই চারদিকে যে হাহাকার, তাতে দেশের মাটির বিশ্বকাপটা অনেককে টেলিভিশনে দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আগে তো ধরতে হবে টিকিট নামের ‘সোনার হরিণ’, তার পরই না খেলা দেখা!
গ্যালারিতে চেয়ার বসানোর পর বাংলাদেশে বিশ্বকাপের দুই ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিশ্বকাপের টিকিট হবে তাই সোনার হরিণ। সাধারণ গ্যালারি থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বক্স—সব মিলিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রতি ম্যাচে মাত্র ২৫৯০১ দর্শক খেলা দেখতে পারবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংখ্যাটা আরও কম, ১৮২২৮। এর মধ্যে সাধারণ গ্যালারির টিকিট মিরপুরে প্রায় ১৫ হাজার এবং চট্টগ্রামে ১১ হাজারের মতো। এর পুরোটাই আবার বুথে বিক্রি হবে না। প্রতি ম্যাচের হাজার দেড়েক করে টিকিট বরাদ্দ থাকবে ‘সৌজন্য টিকিট’ হিসেবে।
করপোরেট বক্সের টিকিটও পাওয়া যাবে না বুথে। আগ্রহী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বরাদ্দ হচ্ছে এসব বক্স। আইসিসিকে ১০টি বক্স বরাদ্দ দেওয়ার পর বিসিবির হাতে বক্স আছে মোট ২৭টি এবং ২৭টি বক্সের জন্য নাকি আবেদন জমা পড়েছে চার শর মতো! গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বক্সের প্রতিটি আসনের টিকিটের দাম ২১ হাজার টাকা, কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য ২৪৫০০ টাকা করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ২৮ হাজার হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট ছাড়া হবে মাত্র ১২ হাজার। স্থানীয় আয়োজক কমিটির টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির ম্যানেজার রিয়াজ আহমেদ বলেছেন, বিশ্বকাপে টিকিট বিক্রি থেকে তাঁরা ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের আশা করছেন।
সিটি ব্যাংকের কোন কোন শাখা থেকে টিকিট বিক্রি হবে, সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা না গেলেও ঢাকায় মোট আটটি বুথে বিক্রি হবে টিকিট। চট্টগ্রামে বিক্রি হবে পাঁচটি বুথ থেকে। দেশের বাকি সব জেলায় টিকিট বিক্রি হবে একটি করে বুথ থেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রস্তুতি ম্যাচ এবং বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট একসঙ্গে বাজারে ছাড়ার কথা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। শনিবার বলে ওই দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা। স্থানীয় আয়োজক কমিটি সূত্র অবশ্য এও জানিয়েছে, টিকিট বিক্রি শুরুর এই তারিখ তিন-চার দিন পিছিয়েও যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টিকিট কিনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বকাপের টিকিট কেনার প্রক্রিয়াটা জটিল। কেনার সময় ক্রেতাকে সঙ্গে নিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট। টাকা দিয়েও সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট হাতে পাবেন না ক্রেতা। তাকে দেওয়া হবে একটি ভাউচার, যেটি দেখিয়ে ম্যাচের ঠিক সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে টিকিট। টিকিট বিতরণ হবে স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট বুথে। কেউ অবশ্য চাইলে বাড়তি টাকা দিয়ে ডাকেও পেতে পারেন সেটা। প্রতি ম্যাচের জন্য একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুটি করে টিকিট কিনতে পারবেন। তবে প্রস্তুতি ম্যাচসহ বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচের টিকিটই কেনা যাবে একসঙ্গে।
টিকিট নিয়ে এখনই চারদিকে যে হাহাকার, তাতে দেশের মাটির বিশ্বকাপটা অনেককে টেলিভিশনে দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আগে তো ধরতে হবে টিকিট নামের ‘সোনার হরিণ’, তার পরই না খেলা দেখা!
No comments