ইয়নপিয়ং দ্বীপে হামলার ঘটনা বর্ণনা করলেন উ. কোরিয়ার সেনারা
উত্তর কোরিয়ার সেনারা দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে হামলা চালানোর ঘটনা গর্বের সঙ্গে বর্ণনা করছেন। তবে তাঁদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার হামলার জবাবেই এ হামলা চালানো হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গত শুক্রবার সেনাদের এই বর্ণনা প্রচার করে।
২৩ নভেম্বর দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে চারজন নিহত হয়। দুই পক্ষেরই দাবি, প্রতিপক্ষের হামলার জবাব দিতেই তারা পাল্টা হামলা চালায়।
উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম জং ইলের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্তির ১৯তম বার্ষিকীতে গত শুক্রবার শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনেক বেশি যুদ্ধংদেহি ছিল। কিমের সেনাপ্রধান গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘পবিত্র’ পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কিম মুন চোল নামের এক সেনা বলেন, ‘আমাদের পবিত্র সমুদ্রসীমায় শত্রুদের একটি গোলার শেল এসে পড়ে, যা আমাদের প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে শত্রুর স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করতে থাকি।’ বেশ উচ্চ স্বরে ও গর্বভরে এসব কথা বলেন কিম মুন। এ সময় তাঁর পাশে সামরিক পোশাক পরা অপর তিনজনকে দেখা যায়। মুনের বক্তব্যের সময় তাঁরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁদের কারও পদমর্যাদা জানা যায়নি।
কিম কিয়ং সু নামের একজন সেনা বলেন, ‘শত্রুপক্ষের উসকানির পর আমরা চিৎকার করে বলি, আসুন শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধ করে জীবন উৎসর্গ করি। আমাদের প্রিয় নেতা কিম জং ইলের কথা ভেবে শত্রুদের নির্দয়ভাবে ধ্বংস করি।’ একপর্যায়ে সেনা পোশাক পরা একজন কর্মকর্তা কিম জং ইলের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে আনুগত্য প্রকাশ করেন।
দর্শকসারিতে থাকা সবাই তুমুল করতালি দিয়ে সেনাদের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানান। দর্শকদের অধিকাংশ সামরিক পোশাক পরা ছিলেন। তাঁরা পৃথকভাবে কথাও বলছিলেন। তাঁদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে সবাই একসঙ্গে সামরিক বাহিনীর গান গেয়ে ওঠেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গতকাল বলা হয়, ইয়নপিয়ং দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া ইঙ্গিত দেয়, তারা পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায়। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি গতকাল এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তর কোরিয়া আগামী বছর ইয়নপিয়ংসহ কয়েকটি দ্বীপ দখলের উদ্দেশে হামলা চালাতে পারে।
২৩ নভেম্বর দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে চারজন নিহত হয়। দুই পক্ষেরই দাবি, প্রতিপক্ষের হামলার জবাব দিতেই তারা পাল্টা হামলা চালায়।
উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম জং ইলের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্তির ১৯তম বার্ষিকীতে গত শুক্রবার শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনেক বেশি যুদ্ধংদেহি ছিল। কিমের সেনাপ্রধান গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘পবিত্র’ পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কিম মুন চোল নামের এক সেনা বলেন, ‘আমাদের পবিত্র সমুদ্রসীমায় শত্রুদের একটি গোলার শেল এসে পড়ে, যা আমাদের প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়ে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে শত্রুর স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করতে থাকি।’ বেশ উচ্চ স্বরে ও গর্বভরে এসব কথা বলেন কিম মুন। এ সময় তাঁর পাশে সামরিক পোশাক পরা অপর তিনজনকে দেখা যায়। মুনের বক্তব্যের সময় তাঁরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁদের কারও পদমর্যাদা জানা যায়নি।
কিম কিয়ং সু নামের একজন সেনা বলেন, ‘শত্রুপক্ষের উসকানির পর আমরা চিৎকার করে বলি, আসুন শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধ করে জীবন উৎসর্গ করি। আমাদের প্রিয় নেতা কিম জং ইলের কথা ভেবে শত্রুদের নির্দয়ভাবে ধ্বংস করি।’ একপর্যায়ে সেনা পোশাক পরা একজন কর্মকর্তা কিম জং ইলের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে আনুগত্য প্রকাশ করেন।
দর্শকসারিতে থাকা সবাই তুমুল করতালি দিয়ে সেনাদের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানান। দর্শকদের অধিকাংশ সামরিক পোশাক পরা ছিলেন। তাঁরা পৃথকভাবে কথাও বলছিলেন। তাঁদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে সবাই একসঙ্গে সামরিক বাহিনীর গান গেয়ে ওঠেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে গতকাল বলা হয়, ইয়নপিয়ং দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া ইঙ্গিত দেয়, তারা পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায়। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি গতকাল এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তর কোরিয়া আগামী বছর ইয়নপিয়ংসহ কয়েকটি দ্বীপ দখলের উদ্দেশে হামলা চালাতে পারে।
No comments