গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জরুরি -ঢাকা সফর শেষে ইইউ’র বিশেষ দূতের বিবৃতি
রাজনৈতিক
প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ, নাগরিক সমাজের কথা বলার সুযোগ অবারিত করা,
গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নারীদের অবস্থার উন্নতি এবং
মৌলিক শ্রমমান নিশ্চিতের তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ সফরকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের
মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত (ইইউএসআর) অ্যামোন গিলমোর। পরিস্থিতির উন্নয়নে
উল্লিখিত ৫টি বিষয়ে এখনই সরকারের ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
গত সোম ও মঙ্গলবার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা এবং কক্সবাজার সফর করেন
গিলমোর। ওই সফরে সরকার, নাগরিক সমাজ, কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর
প্রতিনিধি এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেন তিনি এবং
তার সফরসঙ্গীরা। ওই সফরের বিষয়ে প্রচারিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয়
ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর, ওই সফরের মধ্য দিয়ে
বাংলাদেশের সরকার এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে ইইউ’র ঘনিষ্ঠতার প্রতিফলন ঘটেছে।
বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ইইউ’র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ দূত গিলমোরকে উদ্বৃত করে বলা হয়-তিনি বলেছেন, আমি এখানে এসে কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিনে দেখেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছেন সেই হোস্ট কমিউনিটির (স্থানীয় বাংলাদেশীদের) সঙ্গে কথা বলেছি।
তাদের আশ্রয় এবং ভরনপোষণে বাংলাদেশ যা করছে এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে। ঢাকায় আমি মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি, কথা বলেছি, যার অন্যতম হচ্ছে মৌলিক শ্রমমান।
এ ইস্যুতে বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে আরও অনেক কিছু করার প্রয়োজন আছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ইইউ প্রতিনিধি গিলমোর বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভারপ্রাপ্ত জাতিসংঘ দূত, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, ইউএন উইমেন কান্ট্রি ডিরেক্টরগণ এবং একই সঙ্গে এনজিও এবং ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও রিফিউজি রিলিফ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দেখার পর এবার মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হবে। ঢাকা সফরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-ইইউ প্রতিনিধি এখানে আইনের শাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন, মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকার, নারী ও শিশুর অধিকার, মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগিতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ইইউ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশ ও ইইউ’র সম্পর্কে শ্রম এবং মানবাধিকার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একই সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও। রোহিঙ্গা পরিস্থিতিও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ইইউ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে এ সংকট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় হতদরিদ্রদের জন্য ১০৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি ফান্ড সরবরাহে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ এ অঞ্চলে ইইউ’র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ দূত গিলমোরকে উদ্বৃত করে বলা হয়-তিনি বলেছেন, আমি এখানে এসে কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিনে দেখেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছেন সেই হোস্ট কমিউনিটির (স্থানীয় বাংলাদেশীদের) সঙ্গে কথা বলেছি।
তাদের আশ্রয় এবং ভরনপোষণে বাংলাদেশ যা করছে এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে। ঢাকায় আমি মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি, কথা বলেছি, যার অন্যতম হচ্ছে মৌলিক শ্রমমান।
এ ইস্যুতে বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে আরও অনেক কিছু করার প্রয়োজন আছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ইইউ প্রতিনিধি গিলমোর বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভারপ্রাপ্ত জাতিসংঘ দূত, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, ইউএন উইমেন কান্ট্রি ডিরেক্টরগণ এবং একই সঙ্গে এনজিও এবং ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও রিফিউজি রিলিফ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দেখার পর এবার মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হবে। ঢাকা সফরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-ইইউ প্রতিনিধি এখানে আইনের শাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন, মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকার, নারী ও শিশুর অধিকার, মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের সহযোগিতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের শ্রম ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ইইউ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশ ও ইইউ’র সম্পর্কে শ্রম এবং মানবাধিকার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একই সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও। রোহিঙ্গা পরিস্থিতিও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ইইউ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে এ সংকট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় হতদরিদ্রদের জন্য ১০৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি ফান্ড সরবরাহে সহায়তা করেছে।
No comments