বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়েছে -ফ্রিডম হাউজের প্রতিবেদন
রাজনৈতিক
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ফ্রিডম হাউজ
সমপ্রতি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই পর্যবেক্ষণ সংস্থা বিশ্বের দেশগুলোতে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ০ থেকে ৪ পয়েন্ট ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
এতে বাংলাদেশ পেয়েছে ১ পয়েন্ট। অপরদিকে গণমাধ্যমের সবথেকে বেশি স্বাধীনতা
নিশ্চিতকারী দেশগুলো পেয়েছে ৪ পয়েন্ট। এর মধ্যে রয়েছে সুইডেন,
যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, উরুগুয়েসহ মোট ২৬টি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর
মধ্যে ভারত পেয়েছে ২ পয়েন্ট, পাকিস্তান ১ পয়েন্ট, নেপাল ২ পয়েন্ট, ভুটান ২
পয়েন্ট, আফগানিস্তান ২ পয়েন্ট, মালদ্বীপ ১ পয়েন্ট ও শ্রীলঙ্কা ২ পয়েন্ট।
বাংলাদেশের বিষয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এদেশের গণমাধ্যম খুব বেশি স্বাধীন নয়। এতে চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর প্রচার করায় ও তাদের পক্ষে কথা বলায় শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা ও তাদের লেখালেখির ওপর কড়াকড়ির সমালোচনা করেছে ফ্রিডম হাউজ। সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা হারানো, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে সেলফ-সেন্সরশিপের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
ফ্রিডম হাউজের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সারাহ রেপুচ্চি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে নিম্নমুখী রাস্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি এ গবেষণায় উঠে আসা প্রধান দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সংকুচিত হয়েছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণতন্ত্রগুলোতে পপুলিস্ট নেতাদের উত্থান হয়েছে। যারা মুক্ত গণমাধ্যমের গলা চিপে ধরছে।
তবে, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধু সংকুচিতই হয়নি কিছু দেশে এ অবস্থার উন্নতিও লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে ফ্রিডম হাউজ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে- ইথিওপিয়া, মালয়েশিয়া, আর্মেনিয়া, ইকুয়েডর ও গাম্বিয়া। এই ৫টি দেশকে অন্ধকারে আলোর পথযাত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সারাহ রেপুচ্চি। এ ছাড়া, আরব বসন্তের পর মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পূর্বের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রিডম হাউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী সরকার ও প্রভাবশালী মহলের চাপেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিনদিন হুমকির মুখে পড়ছে। সাংবাদিকরা নানান ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের ওপর গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বাড়ছে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে দুর্বল গণতন্ত্র ও নতুন গণতন্ত্রের দেশগুলোতে সবথেকে বেশি চাপের মুখে রয়েছেন তারা। এ ছাড়া চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে শোচনীয় বলে উল্লেখ করেছে ফ্রিডম হাউজ। তাদের তালিকায় চীন পেয়েছে শূন্য পয়েন্ট। সংস্থাটির দাবি, চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার তাদের গণমাধ্যমগুলোকে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে। চীনে সরকারের মতবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ছাড়া চীনের প্রতি সংবাদ সেন্সরের অভিযোগও আনে ফ্রিডম হাউজ।
ইউরেশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের তুলনায় এ অঞ্চলের দেশগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তারা কিছুটা চাপ অনুভব করেন বলে এই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের বিষয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এদেশের গণমাধ্যম খুব বেশি স্বাধীন নয়। এতে চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর প্রচার করায় ও তাদের পক্ষে কথা বলায় শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা ও তাদের লেখালেখির ওপর কড়াকড়ির সমালোচনা করেছে ফ্রিডম হাউজ। সংস্থাটির দাবি, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা হারানো, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে সেলফ-সেন্সরশিপের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
ফ্রিডম হাউজের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সারাহ রেপুচ্চি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে নিম্নমুখী রাস্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি এ গবেষণায় উঠে আসা প্রধান দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সংকুচিত হয়েছে। বিশ্বের প্রভাবশালী গণতন্ত্রগুলোতে পপুলিস্ট নেতাদের উত্থান হয়েছে। যারা মুক্ত গণমাধ্যমের গলা চিপে ধরছে।
তবে, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধু সংকুচিতই হয়নি কিছু দেশে এ অবস্থার উন্নতিও লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে ফ্রিডম হাউজ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে- ইথিওপিয়া, মালয়েশিয়া, আর্মেনিয়া, ইকুয়েডর ও গাম্বিয়া। এই ৫টি দেশকে অন্ধকারে আলোর পথযাত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সারাহ রেপুচ্চি। এ ছাড়া, আরব বসন্তের পর মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পূর্বের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রিডম হাউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী সরকার ও প্রভাবশালী মহলের চাপেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিনদিন হুমকির মুখে পড়ছে। সাংবাদিকরা নানান ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের ওপর গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বাড়ছে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে দুর্বল গণতন্ত্র ও নতুন গণতন্ত্রের দেশগুলোতে সবথেকে বেশি চাপের মুখে রয়েছেন তারা। এ ছাড়া চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে শোচনীয় বলে উল্লেখ করেছে ফ্রিডম হাউজ। তাদের তালিকায় চীন পেয়েছে শূন্য পয়েন্ট। সংস্থাটির দাবি, চীন ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সরকার তাদের গণমাধ্যমগুলোকে নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দিচ্ছে। চীনে সরকারের মতবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ছাড়া চীনের প্রতি সংবাদ সেন্সরের অভিযোগও আনে ফ্রিডম হাউজ।
ইউরেশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের তুলনায় এ অঞ্চলের দেশগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের নানা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তারা কিছুটা চাপ অনুভব করেন বলে এই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
No comments