মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন মোদি-জিনপিং
ভারত
ও চীন উভয় দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সমপর্ক সাংঘর্ষিক
অবস্থানে রয়েছে। চলতি মাসে এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে পারেন ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১৩ থেকে ১৪ই
জুন কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে অনুষ্ঠেয় সাংহাই কো-অপারেশন
অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সোমবার
মোদিকে চীনের ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন
চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝাং হানহুই। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
পিটিআই।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিরোধ ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও আলোচনা করতে পারেন মোদি ও জিনপিং। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুই দেশের এই দুই নেতার মধ্যকার প্রত্যাশিত বৈঠকটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের সামপ্রতিক লোকসভা নির্বাচনে মোদির নিরঙ্কুশ জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা কেড়ে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামপ। এ ছাড়া পূর্বে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় মার্কিন শুল্কারোপের শিকারও হয়েছে ভারত।
অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সমপর্ক চরম খারাপ আকার ধারণ করেছে। উভয় দেশ অপর দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করেছে। এ ছাড়া, চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের ওপর ট্রামেপর নিষেধাজ্ঞা সে সমপর্কের আরো অবনতি ঘটিয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় (চীন) ও পঞ্চম (ভারত) অর্থনৈতিক শক্তির বাণিজ্যিক সমপর্ক এখন প্রকট আকারে সাংঘর্ষিক। সোমবার মোদির নির্বাচনী জয়ের দিকে ইঙ্গিত করে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আবারো মোদিকে অভিনন্দন জানাই। তারা ভালো বন্ধু। গত বছর উহানে তাদের মধ্যে একটা সফল অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে চীন-ভারত সমপর্ক উন্নয়নের কৌশলগত নির্দেশনা পাওয়া গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, উহানে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পরপরই বন্ধ হয়েছিল দোকলাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট ৭৩ দিনব্যাপী সামরিক অবরোধ। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে হানহুই বলেন, এসসিও বৈঠকটিতে কী কী ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও ভারতের বাণিজ্যিক স্ব-স্ব বিরোধ নিয়ে আলোচনা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাণিজ্য রক্ষণশীলতা বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হয়রানিমূলক বাণিজ্য চর্চার জবাব কীভাবে দেয়া হবে, তাদের বাণিজ্য রক্ষণশীলতা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেসব বিষয় কেবল চীনের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিরোধ ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও আলোচনা করতে পারেন মোদি ও জিনপিং। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুই দেশের এই দুই নেতার মধ্যকার প্রত্যাশিত বৈঠকটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের সামপ্রতিক লোকসভা নির্বাচনে মোদির নিরঙ্কুশ জয়ের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা কেড়ে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামপ। এ ছাড়া পূর্বে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় মার্কিন শুল্কারোপের শিকারও হয়েছে ভারত।
অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সমপর্ক চরম খারাপ আকার ধারণ করেছে। উভয় দেশ অপর দেশের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করেছে। এ ছাড়া, চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের ওপর ট্রামেপর নিষেধাজ্ঞা সে সমপর্কের আরো অবনতি ঘটিয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় (চীন) ও পঞ্চম (ভারত) অর্থনৈতিক শক্তির বাণিজ্যিক সমপর্ক এখন প্রকট আকারে সাংঘর্ষিক। সোমবার মোদির নির্বাচনী জয়ের দিকে ইঙ্গিত করে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আবারো মোদিকে অভিনন্দন জানাই। তারা ভালো বন্ধু। গত বছর উহানে তাদের মধ্যে একটা সফল অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে চীন-ভারত সমপর্ক উন্নয়নের কৌশলগত নির্দেশনা পাওয়া গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, উহানে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পরপরই বন্ধ হয়েছিল দোকলাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট ৭৩ দিনব্যাপী সামরিক অবরোধ। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে হানহুই বলেন, এসসিও বৈঠকটিতে কী কী ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও ভারতের বাণিজ্যিক স্ব-স্ব বিরোধ নিয়ে আলোচনা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাণিজ্য রক্ষণশীলতা বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হয়রানিমূলক বাণিজ্য চর্চার জবাব কীভাবে দেয়া হবে, তাদের বাণিজ্য রক্ষণশীলতা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেসব বিষয় কেবল চীনের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, পুরো বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
No comments