নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ললিপপে ভুলবেন না: অসমে মমতা
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিশাসিত অসমে এক
জনসভায় বলেছেন, আপনারা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ললিপপে ভুলবেন না।
কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "ওরা নাগরিকত্ব
দেবেন, কীসের নাগরিকত্ব? আমরা কি নাগরিক নই? এদেশে যারা বাস করে আইনত
তাঁরা নাগরিক নয়?"
তিনি শুক্রবার অসমের ধুবড়িতে এক নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। মমতা এদিন এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ডিটেনশন ক্যাম্প, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন ইত্যাদি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের তুলোধোনা করেন।
মমতা বলেন, "অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। মানুষের সেই বিপদের দিনে কেউ পাশে ছিল না। একমাত্র তৃণমূল আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসমে যে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছিল, তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেয়া হয়নি। তাঁদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছে। 'এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী' মোদি বাবু শুধু মিথ্যে কথা বলে বেড়ান। আর উলোপাল্টা করে বেড়ান। ওনার কোনও কাজ নেই। পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনি দেশটাকে ধ্বংস করেছেন! পাঁচ বছর পরে আবার গান গাইছে, ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল, সকলি ফুরায়ে যায় মা।’ আর একবার দিল্লির গদি দাও মা।"
তিনি বলেন, ‘এনআরসি হওয়ার পরে কত মানুষ আত্মহত্যা করেছে! মায়ের নাম আছে তো বাচ্চার নাম নেই। বাবার নাম আছে তো মায়ের নাম নেই। স্বামীর নাম আছে তো স্ত্রীর নাম নেই। ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ। তাঁর মধ্যে হিন্দু বাঙালিরাও আছেন। আমি হিন্দু-মুসলিম দেখি না, শুধু একটা কথা বলব ওরা সারা বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভাজন করে।’
হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কমপক্ষে ২২ লাখ নাম বাদ গেছে। আপনাদের যদি ওরা ভালবাসত তাহলে আপনাদের নাম বাদ দিত না। প্রায় ২০ লাখ মুসলিম ভাই বোনেদের নামও বাদ গেছে। গোর্খা, কিছু বিহারী, কিছু তামিলনাড়ুর লোকের নাম বাদ গেছে। কেন বাদ গেছে? মানুষ ভয়ে আত্মহত্যা করছে! ডিটেনশন ক্যাম্প। কিসের ডিটেনশন ক্যাম্প? বাচ্চাদের পর্যন্ত অমানবিকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দিয়েছে!’
‘সারদা’ (বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা) দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা নথি দেখিয়ে বলেন, এখানকার মন্ত্রী হিমন্ত কুমার বিশ্বশর্মাকে সারদা চিটফান্ডের মালিক ক্যাশে প্রায় তিন কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিবাবু আপনি তাঁকে গ্রেফতার করেছেন? অ্যাকশন নিয়েছেন?’
তিনি বলেন, ‘শুধু হিন্দু-মুসলিম বিবাদ বাধানো হচ্ছে? আমরা কারা? আমি কী হিন্দু ধর্মের মেয়ে নই? আমরা হিন্দু ধর্ম করি না? তাই বলে মুসলিমদের কেটে ফেলে দিতে হবে? মুসলিমদের বাদ দিয়ে দিতে হবে?’
মমতা এদিন অসমবাসীদের উদ্দেশ্যে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান।
তিনি শুক্রবার অসমের ধুবড়িতে এক নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেয়ার সময় ওই মন্তব্য করেন। মমতা এদিন এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ডিটেনশন ক্যাম্প, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন ইত্যাদি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের তুলোধোনা করেন।
মমতা বলেন, "অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। মানুষের সেই বিপদের দিনে কেউ পাশে ছিল না। একমাত্র তৃণমূল আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসমে যে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছিল, তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেয়া হয়নি। তাঁদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছে। 'এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী' মোদি বাবু শুধু মিথ্যে কথা বলে বেড়ান। আর উলোপাল্টা করে বেড়ান। ওনার কোনও কাজ নেই। পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনি দেশটাকে ধ্বংস করেছেন! পাঁচ বছর পরে আবার গান গাইছে, ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল, সকলি ফুরায়ে যায় মা।’ আর একবার দিল্লির গদি দাও মা।"
তিনি বলেন, ‘এনআরসি হওয়ার পরে কত মানুষ আত্মহত্যা করেছে! মায়ের নাম আছে তো বাচ্চার নাম নেই। বাবার নাম আছে তো মায়ের নাম নেই। স্বামীর নাম আছে তো স্ত্রীর নাম নেই। ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ। তাঁর মধ্যে হিন্দু বাঙালিরাও আছেন। আমি হিন্দু-মুসলিম দেখি না, শুধু একটা কথা বলব ওরা সারা বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভাজন করে।’
হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কমপক্ষে ২২ লাখ নাম বাদ গেছে। আপনাদের যদি ওরা ভালবাসত তাহলে আপনাদের নাম বাদ দিত না। প্রায় ২০ লাখ মুসলিম ভাই বোনেদের নামও বাদ গেছে। গোর্খা, কিছু বিহারী, কিছু তামিলনাড়ুর লোকের নাম বাদ গেছে। কেন বাদ গেছে? মানুষ ভয়ে আত্মহত্যা করছে! ডিটেনশন ক্যাম্প। কিসের ডিটেনশন ক্যাম্প? বাচ্চাদের পর্যন্ত অমানবিকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দিয়েছে!’
‘সারদা’ (বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা) দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা নথি দেখিয়ে বলেন, এখানকার মন্ত্রী হিমন্ত কুমার বিশ্বশর্মাকে সারদা চিটফান্ডের মালিক ক্যাশে প্রায় তিন কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিবাবু আপনি তাঁকে গ্রেফতার করেছেন? অ্যাকশন নিয়েছেন?’
তিনি বলেন, ‘শুধু হিন্দু-মুসলিম বিবাদ বাধানো হচ্ছে? আমরা কারা? আমি কী হিন্দু ধর্মের মেয়ে নই? আমরা হিন্দু ধর্ম করি না? তাই বলে মুসলিমদের কেটে ফেলে দিতে হবে? মুসলিমদের বাদ দিয়ে দিতে হবে?’
মমতা এদিন অসমবাসীদের উদ্দেশ্যে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান।
No comments