ট্রাম্পের উচিত হবে না সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা -পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ম্যাজিক ম্যান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তবে বলেছেন, ট্রাম্পের উচিত
হবে না সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট
সমাধানের জন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি। ওয়াশিংটনে প্রভাবশালী ‘পলিটিকো’ ম্যাগাজিনকে
মঙ্গলবার দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন মোমেন। ওই সাক্ষাতকারভিত্তিক
একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পলিটিকো।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত করার যে বাসনা প্রশাসনের, তা ত্যাগ করা উচিত। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তি দেখান অভিবাসী সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিক নেহাল তুসি’র নেয়া ওই সাক্ষাতকারে মোমেন বলেন, তার (ট্রাম্পের) উচিত যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও নীতি অনুসরণ করা।
এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা উচিত হবে না ট্রাম্পের। যুক্তরাষ্ট্র ‘গ্রেট’। কারণ, এটা হলো সব শ্রেণির নির্যাতিত মানুষের স্থান। নিজেদের নিয়ে সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তে ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যাপক উদার মানসিকতা দেখানো উচিত।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আসা কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে বার বার মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার ফেরত নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু তা ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে উল্লেখ করার মতো কোনো ফল আসছে না। বহু রোহিঙ্গা ফেরত যেতেও চাইছেন না। তাদের ভয়, ফেরত গেলে দেশে আরো নিষ্পেষণের শিকার হবেন, যেখানে তাদের নাগরিকত্ব ও আইনগত মৌলিক অধিকারগুলো দশকের পর দশক কেড়ে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গাকে ত্রাণ হিসেবে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক্ষেত্রে জাপানের মতো এশিয়ায় যেসব মিত্র রয়েছে ওয়াশিংটনের, তাদের প্রতি অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানাতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তাতে মিয়ানমারের বড় মিত্র চীনের ক্ষোভ বাড়তে পারে। মোমেন আরো বলেছেন, মিয়ানমারের সেনানেতৃত্ব ও অন্যদের বিরুদ্ধে আরো অবরোধ আরোপ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের, যাতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বিচার করা হয়।
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো অনেক কিছু করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গেও কিছু বিষয়ে কাজ করতে পারে, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের কর্মকান্ডে সমর্থন দেয়। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতন সম্পর্কে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের বক্তব্য ও রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। জাতিসংঘ ও অন্যরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতাকে ‘গণহত্যার উদ্দেশে’ হত্যাকা- হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পলিটিকোকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে মোমেন বলেন, সব কিছুই ইঙ্গিত দেয় যে, মিয়ানমারের এ ঘটনা একটি ক্লাসিক গণহত্যার কাছাকাছি। তবে একটি প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যা হয়েছে তাকে ট্রাম্প প্রশাসনের কি গণহত্যা ঘোষণা করা উচিতÑ এ কথায় বিশ্বাস করেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান মোমেন।
গণহত্যা এমন একটি শব্দ, যার আইনগত পরিণাম রয়েছে। ওই প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেছেন, এটা তাদের (ট্রাম্প টিম) সিদ্ধান্ত। এ সময় বার বারই তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
ট্রাম্প প্রশাসন রোহিঙ্গা সঙ্কটকে একটি ‘জাতি নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আন্তর্জাতিক আইনে যার অর্থ খুব বেশি বড় করে দেখা হয় না। তবে এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হাতে সিরিয়া ও ইরাকে খ্রিস্টান, ইয়াজিদি ও অন্যান্য গ্রুপ গণহত্যার শিকারে পরিণত হয়েছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর। তবে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমরা গণহত্যা অথবা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হয়েছেন কিনা এ বিষয়ে অবস্থান নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পম্পেও। তিনি উল্লেখ করেছেন, পরিস্থিতি জটিল। তিনি এখনও এ বিষয়টি দেখছেন।
তবে এটা অস্পষ্ট যে, পম্পেও কেন অবস্থান পরিষ্কার করতে এত লম্বা সময় নিচ্ছেন। তিনি ক্ষমতা নিয়েছেন প্রায় এক বছর। আর মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের ঘটনা তার সেই ক্ষমতা নেয়ার কয়েক মাস আগের। এক্ষেত্রে একটি জোরালো ব্যাখ্যা হলো, তিনি হয়তো এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমারকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হলে তাতে দেশটিকে চীনের হাতে আরেকটু বেশি তুলে দেয়া হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ এবং বুধবার সিনেটে শুনানি হয়েছে। সেখানে আইন প্রণেতারা মাইক পম্পেওকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি অবস্থান নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন। ডিসেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদ রোহিঙ্গা সঙ্কটকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস করেছে।
মধ্য মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল কোজাক মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের হতবাক করে দিয়েছেন। মিয়ানমার বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল কোজাক ঘোষণা দিয়েছেন যে, গণহত্যা হলো একটি ‘ম্যাসেজিং ম্যানেজমেন্ট টুল’ যার কোনো আইনগত প্রভাব নেই। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা এ বিষয়ে যে কথা বলছেন এর স্বাভাবিক কারণ হলো, আপনারা বিষয়টিতে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আমাদের কথা হলো, আমরা এ বিষয়ে প্রচুর মনোযোগ দিয়েছি। আমরা এখন যেটা চাইছি তা হলো ব্যবস্থা নিতে চাইছি এবং আরো চাপ বাড়াতে চাইছি।
গণহত্যার অভিযোগ বার বারই অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। তারা বলেছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুধু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা ওই অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামান্যই এবং তারা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে খুব সামান্যই হুমকি। বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন। বলেছেন, শরণার্থী সঙ্কটের বিষয়ে কোনো রেজ্যুলুশন না নেয়ায় সর্বহারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নুতন করে উগ্রপন্থির উত্থান ঘটতে পারে।
একে আবদুল মোমেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক সম্পর্ক ভাল। এ সময় তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেন এ জন্য যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করে না। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন তিনি। মোমেন বলেন, আপনি তাকে (ট্রাম্প) পছন্দ করুন বা নাই করুন, তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। আপনি পছন্দ করুন বা নাই করুন, এখনও পর্যন্ত তার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে মানুষের কাছে। তিনি একজন ম্যাজিক ম্যান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত করার যে বাসনা প্রশাসনের, তা ত্যাগ করা উচিত। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তি দেখান অভিবাসী সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিক নেহাল তুসি’র নেয়া ওই সাক্ষাতকারে মোমেন বলেন, তার (ট্রাম্পের) উচিত যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও নীতি অনুসরণ করা।
এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা উচিত হবে না ট্রাম্পের। যুক্তরাষ্ট্র ‘গ্রেট’। কারণ, এটা হলো সব শ্রেণির নির্যাতিত মানুষের স্থান। নিজেদের নিয়ে সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তে ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যাপক উদার মানসিকতা দেখানো উচিত।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আসা কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এসব শরণার্থীকে ফেরত নিতে বার বার মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার ফেরত নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু তা ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে উল্লেখ করার মতো কোনো ফল আসছে না। বহু রোহিঙ্গা ফেরত যেতেও চাইছেন না। তাদের ভয়, ফেরত গেলে দেশে আরো নিষ্পেষণের শিকার হবেন, যেখানে তাদের নাগরিকত্ব ও আইনগত মৌলিক অধিকারগুলো দশকের পর দশক কেড়ে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গাকে ত্রাণ হিসেবে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক্ষেত্রে জাপানের মতো এশিয়ায় যেসব মিত্র রয়েছে ওয়াশিংটনের, তাদের প্রতি অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানাতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও তাতে মিয়ানমারের বড় মিত্র চীনের ক্ষোভ বাড়তে পারে। মোমেন আরো বলেছেন, মিয়ানমারের সেনানেতৃত্ব ও অন্যদের বিরুদ্ধে আরো অবরোধ আরোপ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের, যাতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার বিচার করা হয়।
মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো অনেক কিছু করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গেও কিছু বিষয়ে কাজ করতে পারে, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের কর্মকান্ডে সমর্থন দেয়। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতন সম্পর্কে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের বক্তব্য ও রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। জাতিসংঘ ও অন্যরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতাকে ‘গণহত্যার উদ্দেশে’ হত্যাকা- হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পলিটিকোকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে মোমেন বলেন, সব কিছুই ইঙ্গিত দেয় যে, মিয়ানমারের এ ঘটনা একটি ক্লাসিক গণহত্যার কাছাকাছি। তবে একটি প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যা হয়েছে তাকে ট্রাম্প প্রশাসনের কি গণহত্যা ঘোষণা করা উচিতÑ এ কথায় বিশ্বাস করেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান মোমেন।
গণহত্যা এমন একটি শব্দ, যার আইনগত পরিণাম রয়েছে। ওই প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেছেন, এটা তাদের (ট্রাম্প টিম) সিদ্ধান্ত। এ সময় বার বারই তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
ট্রাম্প প্রশাসন রোহিঙ্গা সঙ্কটকে একটি ‘জাতি নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আন্তর্জাতিক আইনে যার অর্থ খুব বেশি বড় করে দেখা হয় না। তবে এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হাতে সিরিয়া ও ইরাকে খ্রিস্টান, ইয়াজিদি ও অন্যান্য গ্রুপ গণহত্যার শিকারে পরিণত হয়েছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর। তবে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমরা গণহত্যা অথবা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হয়েছেন কিনা এ বিষয়ে অবস্থান নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পম্পেও। তিনি উল্লেখ করেছেন, পরিস্থিতি জটিল। তিনি এখনও এ বিষয়টি দেখছেন।
তবে এটা অস্পষ্ট যে, পম্পেও কেন অবস্থান পরিষ্কার করতে এত লম্বা সময় নিচ্ছেন। তিনি ক্ষমতা নিয়েছেন প্রায় এক বছর। আর মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের ঘটনা তার সেই ক্ষমতা নেয়ার কয়েক মাস আগের। এক্ষেত্রে একটি জোরালো ব্যাখ্যা হলো, তিনি হয়তো এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমারকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হলে তাতে দেশটিকে চীনের হাতে আরেকটু বেশি তুলে দেয়া হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ এবং বুধবার সিনেটে শুনানি হয়েছে। সেখানে আইন প্রণেতারা মাইক পম্পেওকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি অবস্থান নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন। ডিসেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদ রোহিঙ্গা সঙ্কটকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস করেছে।
মধ্য মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল কোজাক মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের হতবাক করে দিয়েছেন। মিয়ানমার বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল কোজাক ঘোষণা দিয়েছেন যে, গণহত্যা হলো একটি ‘ম্যাসেজিং ম্যানেজমেন্ট টুল’ যার কোনো আইনগত প্রভাব নেই। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা এ বিষয়ে যে কথা বলছেন এর স্বাভাবিক কারণ হলো, আপনারা বিষয়টিতে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আমাদের কথা হলো, আমরা এ বিষয়ে প্রচুর মনোযোগ দিয়েছি। আমরা এখন যেটা চাইছি তা হলো ব্যবস্থা নিতে চাইছি এবং আরো চাপ বাড়াতে চাইছি।
গণহত্যার অভিযোগ বার বারই অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। তারা বলেছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শুধু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা ওই অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামান্যই এবং তারা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে খুব সামান্যই হুমকি। বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন। বলেছেন, শরণার্থী সঙ্কটের বিষয়ে কোনো রেজ্যুলুশন না নেয়ায় সর্বহারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নুতন করে উগ্রপন্থির উত্থান ঘটতে পারে।
একে আবদুল মোমেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক সম্পর্ক ভাল। এ সময় তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেন এ জন্য যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করে না। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসা করেন তিনি। মোমেন বলেন, আপনি তাকে (ট্রাম্প) পছন্দ করুন বা নাই করুন, তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। আপনি পছন্দ করুন বা নাই করুন, এখনও পর্যন্ত তার ব্যাপক সমর্থন রয়েছে মানুষের কাছে। তিনি একজন ম্যাজিক ম্যান।
No comments