কি ঘটছে আজ হাউস অব কমন্সে!
ব্রেক্সিট
ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে আজ বৃটিশ পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ হাউস অব
কমন্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছেন এমপিরা। সেখানে ধারাবাহিকভাবে কয়েক দফা ভোট
হবে। এর মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার গতিপথ বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা
হচ্ছে। একে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিটের বিকল্প উপায়। আর ইংরেজিতে বলা হচ্ছে,
ইন্ডিকেটিভ ভোট। এমপিরা সিদ্ধান্ত নেবেন বৃটেন নরওয়ের মতো অথবা একটি স্থায়ী
কাস্টমস ইউনিয়ন চুক্তি করবে নাকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থেকে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের সাবেক মন্ত্রী স্যার
অলিভার লেটউইন একটি প্রস্তাব এনেছিলেন এ সংক্রান্ত। তার প্রতি ভোট দিয়ে
সমর্থন জানিয়েছেন এমপিরা।
সেই হিসেবে এখন পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার্যত এমপিদের হাতেই চলে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
কেন এই ইন্ডিকেটিভ ভোট?
বর্তমানে ওয়েস্টমিনস্টারে একরকম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি করেছেন তা অনুমোদন দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে হাউস অব কমন্স। এ অবস্থায় ভিন্ন কোনো পথ অবলম্বন করা হবে কিনা সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন কিছু এমপি। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া পড়েছে।
কিভাবে এমন অবস্থানে এলো বৃটেন?
সোমবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের কমপক্ষে ২৯ জন শক্তিধর বিদ্রোহী নেতার কারণে স্যার অলিভার লেটউইনের প্রস্তাবে সরকার হেরে যায়। লেটউইনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন হাউস অব কমন্সের সংখ্যাধিক্য এমপি। এর অর্থ হলো, বুধবার হাউস অব কমন্সে সরকারের কর্মকা- এই বিকল্প প্রস্তাবের ভোটের কারণে একপেশে হয়ে থাকবে। অর্থাৎ হাউস অব কমন্স থাকবে ব্রেক্সিটের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ব্যস্ত। এ সময়ে সেখানে যথারীতি যেভাবে স্বাভাবিক কর্মকা- পরিচালিত হয় তা হবে না। হাউস অব কমন্সে সরকারি কর্মকান্ডে এমন স্থগিত অবস্থাকে ১৯৪২ সালের পর থেকে সরকার ও পার্লামেন্টের মধ্যকার সম্পর্কের সবচেয়ে মৌলিক পটপরিবর্তনের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষাবিদরা।
এমপিরা কিসের ওপর ভোট দেবেন?
হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পাদন নিয়ে এমপিরা বিভিন্ন রকম উপায় নিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন মঙ্গলবার দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত। এর পরে আর এমন কোনো প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ নেই। যেসব প্রস্তাব বা মোশন জমা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
বৃটেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন।
নরওয়ের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তির পরিবর্তে সেখানে বিকল্প আয়োজন করা।
বিরোধী দল লেবারদের বিকল্প ব্রেক্সিট পরিকল্পনা।
কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট সম্পাদন।
ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে একটি নিশ্চয়তামূলক গণভোট।
লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বাতিল করণ।
কিভাবে এটা কাজ করবে?
বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউয়ের ঘোষণা করার কথা রয়েছে যে, বিতর্ক ও ভোটে দেয়ার জন্য তিনি ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কোন কোন প্রস্তাব বাছাই করেছেন। এরপর ওই প্রস্তাবগুলো নিয়ে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিতর্ক হওয়ার কথা। এতে বিভিন্ন রকম প্রস্তাবের ওপর ভোট দিতে এমপিদের আধা ঘন্টা সময় দেয়া হবে। এমপিদের প্রত্যেকজনকে একটি করে কাগজ দেয়া হবে। তাতে প্রতিটি প্রস্তাবের বিপরীতে ইংরেজিতে ‘আইই’ অথবা ‘নোই’ লিখতে বলা হবে। এভাবে ভোট নেয়ার পর হাউস অব কমন্সের কর্মকর্তারা ভোট গণনা করবেন। এতে এক ঘন্টা সময় লাগার কথা। গণনা শেষ হয়ে গেলেই রাত সাড়ে আটটার পরে ফল ঘোষণা হতে পারে। ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা নিয়ে যেসব প্রস্তাব জমা পড়েছে তার পক্ষে বা বিপক্ষে কি পরিমাণ ভোট পড়েছে তা পড়ে শোনানোর কথা স্পিকারের।
এই ফলের অর্থ কি?
আইনগত দিক দিয়ে এই ভোটের কোনো অর্থই নেই। এই ভোটের ফল মেনে চলতেও বাধ্য নয় সরকার। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এমপিদের বলে দিয়েছেন, সরকারকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে তিনি দেবেন না। যদি তা হাউস অব কমন্সে নির্দেশনামূলক ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়ও। যেসব প্রস্তাব এরই মধ্যে এসেছে তার কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার যোগ্য নয় বলে সতর্ক করেছেন তেরেসা মে। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন এসব প্রস্তাবনার পক্ষে যদি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসে হাউস অব কমন্সে, তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে এড়িয়ে চলা তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সেই হিসেবে এখন পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ কার্যত এমপিদের হাতেই চলে গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
কেন এই ইন্ডিকেটিভ ভোট?
বর্তমানে ওয়েস্টমিনস্টারে একরকম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি করেছেন তা অনুমোদন দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে হাউস অব কমন্স। এ অবস্থায় ভিন্ন কোনো পথ অবলম্বন করা হবে কিনা সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন কিছু এমপি। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া পড়েছে।
কিভাবে এমন অবস্থানে এলো বৃটেন?
সোমবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের কমপক্ষে ২৯ জন শক্তিধর বিদ্রোহী নেতার কারণে স্যার অলিভার লেটউইনের প্রস্তাবে সরকার হেরে যায়। লেটউইনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন হাউস অব কমন্সের সংখ্যাধিক্য এমপি। এর অর্থ হলো, বুধবার হাউস অব কমন্সে সরকারের কর্মকা- এই বিকল্প প্রস্তাবের ভোটের কারণে একপেশে হয়ে থাকবে। অর্থাৎ হাউস অব কমন্স থাকবে ব্রেক্সিটের বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ব্যস্ত। এ সময়ে সেখানে যথারীতি যেভাবে স্বাভাবিক কর্মকা- পরিচালিত হয় তা হবে না। হাউস অব কমন্সে সরকারি কর্মকান্ডে এমন স্থগিত অবস্থাকে ১৯৪২ সালের পর থেকে সরকার ও পার্লামেন্টের মধ্যকার সম্পর্কের সবচেয়ে মৌলিক পটপরিবর্তনের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষাবিদরা।
এমপিরা কিসের ওপর ভোট দেবেন?
হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পাদন নিয়ে এমপিরা বিভিন্ন রকম উপায় নিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন মঙ্গলবার দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত। এর পরে আর এমন কোনো প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ নেই। যেসব প্রস্তাব বা মোশন জমা পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
বৃটেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্থায়ী কাস্টমস ইউনিয়ন।
নরওয়ের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তির পরিবর্তে সেখানে বিকল্প আয়োজন করা।
বিরোধী দল লেবারদের বিকল্প ব্রেক্সিট পরিকল্পনা।
কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট সম্পাদন।
ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে একটি নিশ্চয়তামূলক গণভোট।
লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বাতিল করণ।
কিভাবে এটা কাজ করবে?
বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউয়ের ঘোষণা করার কথা রয়েছে যে, বিতর্ক ও ভোটে দেয়ার জন্য তিনি ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কোন কোন প্রস্তাব বাছাই করেছেন। এরপর ওই প্রস্তাবগুলো নিয়ে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিতর্ক হওয়ার কথা। এতে বিভিন্ন রকম প্রস্তাবের ওপর ভোট দিতে এমপিদের আধা ঘন্টা সময় দেয়া হবে। এমপিদের প্রত্যেকজনকে একটি করে কাগজ দেয়া হবে। তাতে প্রতিটি প্রস্তাবের বিপরীতে ইংরেজিতে ‘আইই’ অথবা ‘নোই’ লিখতে বলা হবে। এভাবে ভোট নেয়ার পর হাউস অব কমন্সের কর্মকর্তারা ভোট গণনা করবেন। এতে এক ঘন্টা সময় লাগার কথা। গণনা শেষ হয়ে গেলেই রাত সাড়ে আটটার পরে ফল ঘোষণা হতে পারে। ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা নিয়ে যেসব প্রস্তাব জমা পড়েছে তার পক্ষে বা বিপক্ষে কি পরিমাণ ভোট পড়েছে তা পড়ে শোনানোর কথা স্পিকারের।
এই ফলের অর্থ কি?
আইনগত দিক দিয়ে এই ভোটের কোনো অর্থই নেই। এই ভোটের ফল মেনে চলতেও বাধ্য নয় সরকার। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এমপিদের বলে দিয়েছেন, সরকারকে ভিন্ন পথে নিয়ে যেতে তিনি দেবেন না। যদি তা হাউস অব কমন্সে নির্দেশনামূলক ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়ও। যেসব প্রস্তাব এরই মধ্যে এসেছে তার কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতার যোগ্য নয় বলে সতর্ক করেছেন তেরেসা মে। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে নতুন এসব প্রস্তাবনার পক্ষে যদি বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসে হাউস অব কমন্সে, তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে এড়িয়ে চলা তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে।
No comments