দেশ স্বাধীন হলেও আমরা স্বাধীন নই -বিএনপির স্বাধীনতা দিবসের র্যালি
মহান
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে র্যালি করেছে বিএনপি।
বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে র্যালিটি হয়ে উঠে বিশাল শোডাউন। একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই কার্যত বিএনপি’র বড় ধরনের শোডাউন।
র্যালি-পূর্ব সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে প্রায় ৪৭ বছর হয়েছে স্বাধীনতা এসেছে। আমরা
স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু এখনো কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? আমরা এখনো স্বাধীন ও
মুক্ত নই। একটা পাথর আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতাকে
কেড়ে নেয়া হয়েছে।
আমাদের মুক্ত চিন্তা, কথা ও লেখার স্বাধীনতা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে হরণ করেছে আওয়ামী লীগ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের নেত্রী- যিনি তার সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, আজকে তাকে মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আসুন- এই অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্যদিয়ে দেশে যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় তাদের আমরা অপসারিত করি। সব দলমত নির্বিশেষ ঐক্যসৃষ্টি করি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করি। আজকে এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ ও অঙ্গীকার। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের চেতনার মধ্যে গণতন্ত্র নেই। বিএনপি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এটাই হচ্ছে দুই দলের মূল পার্থক্য।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির র্যালিতে প্রাধান্য পেয়েছে দলটির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি। উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন, ঠিক তেমনি র্যালিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের বহনকৃত প্লেকাডের লেখাতেও মুক্তি চাওয়া হয় খালেদা জিয়ার। র্যালিতে নেতাকর্মীরা কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে গোটা এলাকা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির র্যালির ব্যানারে লেখা ছিল- ‘গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’ র্যালিতে বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যানে বাজানো হয় দেশত্ববোধক গান। পাশাপাশি ভ্যানের স্থাপিত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে কারাবন্দি খালেদা জিয়া ও নির্বাসনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত গানও বাজানো হয়।
মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা পায়ে হেঁটে র্যালীতে অংশ নেন। মহিলা দলের নেত্রীরা লাল-সবুজের শাড়ি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা টুপি এবং গেঞ্জি পরে র্যালিতে অংশ নেন। ছাত্রদলের মিছিলটির সামনের সারিতে সবার আগে একজন বহন করেন জাতীয় পতাকা। ছাত্রদলের নারী নেত্রীরা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি পায়, গণতন্ত্রের মা’র মুক্তি পাই না’ শীর্ষক একটি প্লেকার্ড বহন করেন। এর আগে র্যালীকে কেন্দ্র করে দুপুর একটা থেকেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ‘স্বাধীনতা র্যালি’ শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব।
র্যালীতে অন্যদের মধ্যে- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ,যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, জাসাস সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খান, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়-মহানগর শাখা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎসজীবী দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, ওলামা দল, জাসাস, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
স্বাধীনতা র্যালীতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেসটুন, ধানের শীষের রেপ্লিকা, দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বাদ্যযন্ত্র, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার। র্যালিটি কাকরাইল-শান্তিনগর-মালিবাগ মোড় হয়ে বিকেল ৪টায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। যে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে র্যালীর সামনে ও পিছনে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে।
আমাদের মুক্ত চিন্তা, কথা ও লেখার স্বাধীনতা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে হরণ করেছে আওয়ামী লীগ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের নেত্রী- যিনি তার সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, আজকে তাকে মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আসুন- এই অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্যদিয়ে দেশে যারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় তাদের আমরা অপসারিত করি। সব দলমত নির্বিশেষ ঐক্যসৃষ্টি করি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করি। আজকে এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ ও অঙ্গীকার। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের চেতনার মধ্যে গণতন্ত্র নেই। বিএনপি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এটাই হচ্ছে দুই দলের মূল পার্থক্য।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির র্যালিতে প্রাধান্য পেয়েছে দলটির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি। উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেমন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন, ঠিক তেমনি র্যালিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের বহনকৃত প্লেকাডের লেখাতেও মুক্তি চাওয়া হয় খালেদা জিয়ার। র্যালিতে নেতাকর্মীরা কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে গোটা এলাকা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির র্যালির ব্যানারে লেখা ছিল- ‘গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’ র্যালিতে বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যানে বাজানো হয় দেশত্ববোধক গান। পাশাপাশি ভ্যানের স্থাপিত সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে কারাবন্দি খালেদা জিয়া ও নির্বাসনে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে রচিত গানও বাজানো হয়।
মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা পায়ে হেঁটে র্যালীতে অংশ নেন। মহিলা দলের নেত্রীরা লাল-সবুজের শাড়ি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা টুপি এবং গেঞ্জি পরে র্যালিতে অংশ নেন। ছাত্রদলের মিছিলটির সামনের সারিতে সবার আগে একজন বহন করেন জাতীয় পতাকা। ছাত্রদলের নারী নেত্রীরা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তি পায়, গণতন্ত্রের মা’র মুক্তি পাই না’ শীর্ষক একটি প্লেকার্ড বহন করেন। এর আগে র্যালীকে কেন্দ্র করে দুপুর একটা থেকেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ‘স্বাধীনতা র্যালি’ শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব।
র্যালীতে অন্যদের মধ্যে- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ,যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, জাসাস সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা হেলাল খান, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয়-মহানগর শাখা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎসজীবী দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, ওলামা দল, জাসাস, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
স্বাধীনতা র্যালীতে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেসটুন, ধানের শীষের রেপ্লিকা, দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বাদ্যযন্ত্র, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার। র্যালিটি কাকরাইল-শান্তিনগর-মালিবাগ মোড় হয়ে বিকেল ৪টায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। যে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে র্যালীর সামনে ও পিছনে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন সতর্ক অবস্থানে।
No comments