গার্মেন্ট শ্রমিক ছাঁটাই ও মিথ্যা মামলা অবিলম্বে তদন্তের আহ্বান -হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট
বেতন
বৃদ্ধির দাবিতে সম্প্রতি আন্দোলনের পর খেয়ালখুশিমতো গার্মেন্ট শ্রমিক
ছাঁটাই ও মিথ্যা ফৌজদারি মামলা অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত বাংলাদেশ
কর্তৃপক্ষের। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের যেসব গার্মেন্ট ব্রান্ড পোশাক
কিনে থাকে তাদেরও এসব অভিযোগ তদন্ত করা উচিত। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব রকমের
ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে বলা উচিত। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন নেতারা বলেছেন, এ বছর মধ্য জানুয়ারিতে বিক্ষোভের পর কাজ থেকে খেয়ালখুশিমতো কমপক্ষে ৭৫০০ শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগ দৃশ্যত ব্যাপক ও অস্পষ্ট। ৫৫১ জনের বিরুদ্ধে এবং ৩০০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৯টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
এতে শ্রমিকরা খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তারের মুখে পড়েন। কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের জামিন অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিরচালক ফিল রবার্টসন বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিগুলোর উচিত মিথ্যা ফৌজদারি মামলা না করা এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত আন্দোলনকে দমন করতে গণগ্রেফতার বন্ধ করা উচিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, মধ্য ডিসেম্বরে এবং আবার মধ্য জানুয়ারিতে ঢাকা, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরে কার্যকর হওয়া বেতন কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে ৫০ হাজারের বেশি গার্মেন্ট শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। ডিসেম্বরে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, প্রকাশ্যে এবং গোপনীয়ভাবে তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
তাদেরকে বলা হয়েছে, যদি ৩০ ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে তাহলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে অথবা গুম হয়ে যেতে পারেন। যখন জানুয়ারিতে আবার বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়, তখন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। পুলিশের এমন অ্যাকশনের প্রত্যক্ষদর্শী আটজন, বরখাস্ত হওয়া ১৪ শ্রমিক ও তিনজন ইউনিয়ন নেতার সাক্ষাতকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পর্যালোচনা করা হয়েছে বরখাস্ত করা শ্রমিক ও কারখানায় পোস্ট করা বরখাস্ত নোটিশ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে ৮ই জানুয়ারি নিহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২২)। অন্য যাদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে তাদের মতো এই প্রত্যক্ষদর্শীও নিজের নিরাপত্তার জন্য নাম প্রকাশ করতে চান না। সুমন মিয়ার একজন সহকর্মী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, লাঞ্চ ব্রেক থেকে ফিরছিলেন সুমন। এ সময় তারা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তার ভাষায়, এ সময় পুলিশ গুলি করা শুরু করে। শ্রমিকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। তাই সুমন ও আমি দৌড় শুরু করি। অকস্মাৎ সুমনের বুকে গুলি লাগে। সে পড়ে যায়। আমি দৌড়ে পালাই। পরে রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখি সুমনের দেহ। এমনকি তার দেহটি পর্যন্ত নেয় নি পুলিশ।
৮ই জানুয়ারি পুলিশ সাভারে ঘেরাও অভিযান চালায়। এই এলাকায় অনেক শ্রমিক বসবাস করেন। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এমন শ্রমিকদের খুঁজতে থাকে পুলিশ। একজন বলেছেন, তিনি তার বাসার দ্বিতীয় তলার অন্ধকার জানালায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাকে গুলি করা হয়েছে। তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছিল। যখন তারা আমার বাসার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, শুনতে পাই তারা গুলি করছে। ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। এর মধ্যে দুটি আমার জানালার কাচে লাগে। একটি গুলি কাচ ভেদ করে আমার পেটের নিচে লাগে। পুলিশ এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি করছিল।
এইচঅ্যান্ডএম ৭ই ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে এ উত্তেজনার সম্মানজনক সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সর্বনি¤œ বেতন কাঠামো নিয়মিত পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়। কারখানা ব্যবস্থাপনা, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে এইচঅ্যান্ডএম। এর অধীনে স্বাক্ষরিত চুক্তি যেন মেনে চলা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তা অনুমোদন দেয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। বৈধ তথ্যের ওপর জোর দেয়া হয়। শ্রমিকদের বরখাস্ত করতে যথোপযুক্ত কারণ দেখাতে বলা হয়। যেসব শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি কারখানা পোশাক প্রস্তুত করে এইচঅ্যান্ডএমের জন্য।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, বিপুল সংখ্যক অজ্ঞাত মানুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার ব্যবহার বাংলাদেশে একটি সাধারণ ও রীতির অপব্যবহার। এর ফলে পুলিশ যেকাউকে ভয় দেখাতে পারে, গ্রেপ্তারের হুমকি দিতে পারে। এমন মানুষকে আবার গ্রেপ্তার করা হতে পারে, যার নাম মামলায় নেই এবং তার জামিন অগ্রাহ্য করা হতে পারে। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এমন মামলার কারণে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারের ভয়ে বহু শ্রমিক আত্মগোপন করে আছেন। এই কৌশল এর আগে ব্যবহারের প্রামাণ্য তথ্য আছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে। ইউনিয়ন নেতা ও শ্রমিকদের এমন আত্মগোপন করে থাকার মধ্য দিয়ে একটি হিম আতঙ্কের প্রকাশ বেরিয়ে আসে।
এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে এইচঅ্যান্ডএম, কিক, টচিবো, লিডল, ম্যাঙ্গো, নেক্সট, মাতালান, ভিএফ, তাক্কো, এএলডিআই, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, এসপ্রিট, ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি এবং টেককোর মতো ব্রান্ড, যারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনে থাকে, শ্রমিকদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্য তাদের দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মৌলিক অধিকার ও অন্যান্য রকম ভীতি প্রদর্শনের চর্চার মাধ্যমে শ্রমিকদের বরখাস্ত করা বন্ধ করতে আহ্বান জানানো উচিত তাদের।
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশটির ৩৬০০ কোটি ডলারের গার্মেন্ট শিল্পের ক্রেতাদের প্রতি বাংলাদেশের প্রদর্শন করা উচিত যে, তারা শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এতে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন নেতারা বলেছেন, এ বছর মধ্য জানুয়ারিতে বিক্ষোভের পর কাজ থেকে খেয়ালখুশিমতো কমপক্ষে ৭৫০০ শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগ দৃশ্যত ব্যাপক ও অস্পষ্ট। ৫৫১ জনের বিরুদ্ধে এবং ৩০০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৯টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
এতে শ্রমিকরা খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তারের মুখে পড়েন। কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের জামিন অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিরচালক ফিল রবার্টসন বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিগুলোর উচিত মিথ্যা ফৌজদারি মামলা না করা এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত আন্দোলনকে দমন করতে গণগ্রেফতার বন্ধ করা উচিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, মধ্য ডিসেম্বরে এবং আবার মধ্য জানুয়ারিতে ঢাকা, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরে কার্যকর হওয়া বেতন কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে ৫০ হাজারের বেশি গার্মেন্ট শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। ডিসেম্বরে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, প্রকাশ্যে এবং গোপনীয়ভাবে তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
তাদেরকে বলা হয়েছে, যদি ৩০ ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে তাহলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে অথবা গুম হয়ে যেতে পারেন। যখন জানুয়ারিতে আবার বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়, তখন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। পুলিশের এমন অ্যাকশনের প্রত্যক্ষদর্শী আটজন, বরখাস্ত হওয়া ১৪ শ্রমিক ও তিনজন ইউনিয়ন নেতার সাক্ষাতকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পর্যালোচনা করা হয়েছে বরখাস্ত করা শ্রমিক ও কারখানায় পোস্ট করা বরখাস্ত নোটিশ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে ৮ই জানুয়ারি নিহত হয়েছেন সুমন মিয়া (২২)। অন্য যাদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে তাদের মতো এই প্রত্যক্ষদর্শীও নিজের নিরাপত্তার জন্য নাম প্রকাশ করতে চান না। সুমন মিয়ার একজন সহকর্মী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, লাঞ্চ ব্রেক থেকে ফিরছিলেন সুমন। এ সময় তারা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তার ভাষায়, এ সময় পুলিশ গুলি করা শুরু করে। শ্রমিকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। তাই সুমন ও আমি দৌড় শুরু করি। অকস্মাৎ সুমনের বুকে গুলি লাগে। সে পড়ে যায়। আমি দৌড়ে পালাই। পরে রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখি সুমনের দেহ। এমনকি তার দেহটি পর্যন্ত নেয় নি পুলিশ।
৮ই জানুয়ারি পুলিশ সাভারে ঘেরাও অভিযান চালায়। এই এলাকায় অনেক শ্রমিক বসবাস করেন। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন এমন শ্রমিকদের খুঁজতে থাকে পুলিশ। একজন বলেছেন, তিনি তার বাসার দ্বিতীয় তলার অন্ধকার জানালায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাকে গুলি করা হয়েছে। তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছিল। যখন তারা আমার বাসার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, শুনতে পাই তারা গুলি করছে। ছয় রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। এর মধ্যে দুটি আমার জানালার কাচে লাগে। একটি গুলি কাচ ভেদ করে আমার পেটের নিচে লাগে। পুলিশ এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি করছিল।
এইচঅ্যান্ডএম ৭ই ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে এ উত্তেজনার সম্মানজনক সমঝোতা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সর্বনি¤œ বেতন কাঠামো নিয়মিত পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়। কারখানা ব্যবস্থাপনা, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে এইচঅ্যান্ডএম। এর অধীনে স্বাক্ষরিত চুক্তি যেন মেনে চলা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তা অনুমোদন দেয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। বৈধ তথ্যের ওপর জোর দেয়া হয়। শ্রমিকদের বরখাস্ত করতে যথোপযুক্ত কারণ দেখাতে বলা হয়। যেসব শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি কারখানা পোশাক প্রস্তুত করে এইচঅ্যান্ডএমের জন্য।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, বিপুল সংখ্যক অজ্ঞাত মানুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার ব্যবহার বাংলাদেশে একটি সাধারণ ও রীতির অপব্যবহার। এর ফলে পুলিশ যেকাউকে ভয় দেখাতে পারে, গ্রেপ্তারের হুমকি দিতে পারে। এমন মানুষকে আবার গ্রেপ্তার করা হতে পারে, যার নাম মামলায় নেই এবং তার জামিন অগ্রাহ্য করা হতে পারে। শ্রমিক নেতারা বলেছেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এমন মামলার কারণে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারের ভয়ে বহু শ্রমিক আত্মগোপন করে আছেন। এই কৌশল এর আগে ব্যবহারের প্রামাণ্য তথ্য আছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে। ইউনিয়ন নেতা ও শ্রমিকদের এমন আত্মগোপন করে থাকার মধ্য দিয়ে একটি হিম আতঙ্কের প্রকাশ বেরিয়ে আসে।
এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে এইচঅ্যান্ডএম, কিক, টচিবো, লিডল, ম্যাঙ্গো, নেক্সট, মাতালান, ভিএফ, তাক্কো, এএলডিআই, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, এসপ্রিট, ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি এবং টেককোর মতো ব্রান্ড, যারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনে থাকে, শ্রমিকদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্য তাদের দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মৌলিক অধিকার ও অন্যান্য রকম ভীতি প্রদর্শনের চর্চার মাধ্যমে শ্রমিকদের বরখাস্ত করা বন্ধ করতে আহ্বান জানানো উচিত তাদের।
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশটির ৩৬০০ কোটি ডলারের গার্মেন্ট শিল্পের ক্রেতাদের প্রতি বাংলাদেশের প্রদর্শন করা উচিত যে, তারা শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
No comments