ইসরাইলের সহায়তায় বিপজ্জনক হামলা পরিকল্পনা করেছিল ভারত -ডনের রিপোর্ট by মেহের বোখারি
গত
সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ যখন তুঙ্গে তখন ইসরাইলের সমর্থন
নিয়ে পাকিস্তানে এক বিপজ্জনক হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল ভারত।
রাজস্থানের বিমাবঘাঁটি থেকে এই হামলা চালানোর পরিকল্পনা হয়েছিল। সরকারি
একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র সোমবার এ তথ্য ফাঁস করেছেন।
তবে ভারতকে সময়মতো গোয়েন্দারা ও অন্যরা ম্যাসেজ দিয়ে পরিষ্কার করে যে, যদি পরিকল্পনামতো হামলা করা হয় তাহলে তার উপযুক্ত জবাব আসবে। আর এমন হলে দেশ দুটির সামনে পিছনে ফেরার কোনো পথ থাকবে না।
এমন এক অবস্থায় উত্তুঙ্গু সময় পাড় করেছে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দুটি দেশ। কয়েক দশকে তাদের মধ্যে এত বেশি যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা সম্ভবত সৃষ্টি হয় নি। আর এ যুদ্ধ লেগে গেলে কি হতো পরবর্তীতে তা নিশ্চিত করে কেউ জানেন না।
বেসামরিক ওই সূত্র আরো পর্যাবেক্ষণে বলেছেন, ভারত পরবর্তীতে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতো তা শুধু স্থল, আকাশপথ অথবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না। সেটা ধারণ করতো একটি হাইব্রিড সংঘাতে। তাতে অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আঘাত আসতো।
গত মঙ্গলবার বেসামরিক স্থানে হামলার কথা বলে ভারত তাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের পর এবারই প্রথম ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। লঙ্ঘন করেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এতে একজন ভারতীয় পাইলট মারা যান। অন্যজনকে আটক করা হয়। এরপর আটক পাইলটকে শুভেচ্ছার নির্দশন হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ভারতের যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর মঙ্গলবার ওই হামলা চালায় ভারত।
ওদিকে ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি বিনিময় অব্যাহত ছিল। তবে তা দৃশ্যত গত ২৪ ঘন্টায় কমে এসেছে। এতে উত্তেজনা কমে আসছে কিনা তা জানতে চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র বলেছেন, সপ্তাহজুড়ে যে ভারি গুলি বিনিময় হচ্ছিল তার তুলনায় এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে গত ২৪ ঘন্টার এই কৌশলগত বিরত থাকার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের নজরদারি ও প্রস্তুতি কমিয়ে আনতে পারি না। যেকোনো অঘটনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এমনটা বলেছেন পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
সরকারি শীর্ষ স্থানীয় একটি সূত্রের সঙ্গে বৈঠকে জানা গেছে, পাকিস্তান অনেক বেশি পরিপক্বতা দেখিয়েছে। প্রকৃত শান্তির পথে গেছে। ভারতের গৃহীত উদ্যোগে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তাতে প্রাধান্য বিস্তার করেছে পাকিস্তান। এ জন্য পাকিস্তানে বিবেচন্য গর্ব অনুভব করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র স্বীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় সঙ্কটে ছিলেন। একদিকে তিনি এই মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছেন। অন্য দিকে তিনি নিজেকে এমন অবস্থায় নিয়েছেন যেÑ এখনও আমরা যুদ্ধে আছি। সূত্রটি বেশ কিছু সাংবাদিককে ভারতের বিপজ্জনক হামলা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের বিমান ঘাঁটি থেকে ওই হামলা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সূত্রটি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কৃতীত্ব দিয়ে বলেন, এই সংস্থাটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম। এর আগে এই প্রতিনিধিকে একই রকম কথা বলেছিলেন সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো।
(অনলাইন ডনে প্রকাশিত রিপোর্টের সংক্ষেপিত অনুবাদ)
তবে ভারতকে সময়মতো গোয়েন্দারা ও অন্যরা ম্যাসেজ দিয়ে পরিষ্কার করে যে, যদি পরিকল্পনামতো হামলা করা হয় তাহলে তার উপযুক্ত জবাব আসবে। আর এমন হলে দেশ দুটির সামনে পিছনে ফেরার কোনো পথ থাকবে না।
এমন এক অবস্থায় উত্তুঙ্গু সময় পাড় করেছে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দুটি দেশ। কয়েক দশকে তাদের মধ্যে এত বেশি যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা সম্ভবত সৃষ্টি হয় নি। আর এ যুদ্ধ লেগে গেলে কি হতো পরবর্তীতে তা নিশ্চিত করে কেউ জানেন না।
বেসামরিক ওই সূত্র আরো পর্যাবেক্ষণে বলেছেন, ভারত পরবর্তীতে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতো তা শুধু স্থল, আকাশপথ অথবা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো না। সেটা ধারণ করতো একটি হাইব্রিড সংঘাতে। তাতে অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আঘাত আসতো।
গত মঙ্গলবার বেসামরিক স্থানে হামলার কথা বলে ভারত তাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের পর এবারই প্রথম ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। লঙ্ঘন করেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এতে একজন ভারতীয় পাইলট মারা যান। অন্যজনকে আটক করা হয়। এরপর আটক পাইলটকে শুভেচ্ছার নির্দশন হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ভারতের যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর মঙ্গলবার ওই হামলা চালায় ভারত।
ওদিকে ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি বিনিময় অব্যাহত ছিল। তবে তা দৃশ্যত গত ২৪ ঘন্টায় কমে এসেছে। এতে উত্তেজনা কমে আসছে কিনা তা জানতে চেষ্টা করেন এই প্রতিবেদক। এ সময় সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র বলেছেন, সপ্তাহজুড়ে যে ভারি গুলি বিনিময় হচ্ছিল তার তুলনায় এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে গত ২৪ ঘন্টার এই কৌশলগত বিরত থাকার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের নজরদারি ও প্রস্তুতি কমিয়ে আনতে পারি না। যেকোনো অঘটনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এমনটা বলেছেন পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
সরকারি শীর্ষ স্থানীয় একটি সূত্রের সঙ্গে বৈঠকে জানা গেছে, পাকিস্তান অনেক বেশি পরিপক্বতা দেখিয়েছে। প্রকৃত শান্তির পথে গেছে। ভারতের গৃহীত উদ্যোগে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তাতে প্রাধান্য বিস্তার করেছে পাকিস্তান। এ জন্য পাকিস্তানে বিবেচন্য গর্ব অনুভব করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র স্বীকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয় সঙ্কটে ছিলেন। একদিকে তিনি এই মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছেন। অন্য দিকে তিনি নিজেকে এমন অবস্থায় নিয়েছেন যেÑ এখনও আমরা যুদ্ধে আছি। সূত্রটি বেশ কিছু সাংবাদিককে ভারতের বিপজ্জনক হামলা পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের বিমান ঘাঁটি থেকে ওই হামলা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সূত্রটি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কৃতীত্ব দিয়ে বলেন, এই সংস্থাটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অন্যতম। এর আগে এই প্রতিনিধিকে একই রকম কথা বলেছিলেন সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো।
(অনলাইন ডনে প্রকাশিত রিপোর্টের সংক্ষেপিত অনুবাদ)
No comments