জাহালমের কারাভোগের দায় দুদককে নিতে হবে- ‘যে বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারেনা সেই বিড়াল থাকার দরকার নেই’
তদন্তে
জাহালম নির্দোষ জানার পরেও তার জামিনের ব্যবস্থা না করায় তার কারাভোগের
দায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নিতে হবে। নির্দোষ জানার পর তার জামিনের
ব্যবস্থা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। পরে সোনালী ব্যাংকের
ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে করা ৩৩টি মামলার সকল নথিপত্র জমা দিতে দুদককে নির্দেশ
দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ এপ্রিল এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় জাহালমকে কীভাবে ২৬ মামলার আসামি করা হয়, আবার দুদকের অধিকতর তদন্তে জাহালম কীভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন এ বিষয়গুলো হলফনামা থেকে আদালতকে পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, ‘চ্যানেল ২৪ এ জাহালমের বিষয়ে প্রতিবেদনের পর দুদক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। তদন্তে জাহালম যে নির্দোষ তা উঠে আসে। আমরা তো সঠিক পথেই আছি।’
তখন আদালত বলেন, চ্যানেল ২৪ এ রিপোর্ট হওয়ার আগে তিনি (তদন্ত কর্মকর্তা) কি করেছেন? দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আপনাদের অনেক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। যে বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারেনা সেই বিড়াল থাকার দরকার নেই।’ জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘সবকিছু দুদকের তফসিলের আওতায় নেই।
আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে।’
আদালত বলেন, ‘আগে অনেকেই দুর্নীতিকে ঘৃণা করতো। কিন্তু এখন অবক্ষয় ঘটেছে।’
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমরা যা করেছি বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যংকের সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা করেছি। ব্যাংক থেকে তাকে সনাক্ত করা হয়েছে’
আদালত তখন বলেন, ‘ব্যাংক প্রতিবেদন দিয়েছে কিন্তু আপনারা সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করবেন না?
খুরশীদ আলম খান বলেন, সম্পুর্ন প্রতিবেদন পড়লে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
আদালত বলেন, আপনারা প্রতিবেদনে বলছেন জাহালম ১৮ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। পাঁচটি ব্যাংককে পক্ষভূক্ত করার আবেদন জানিয়ে এখন মৌখিকভাবে ২টি ব্যাংককে পক্ষভুক্ত করতে চাচ্ছেন? ইসলামী ব্যাংককে পক্ষভূক্ত করার আবেদন করা হয়নি। এ মামলার অভিযোগপত্র কোথায়?’
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমাদের কাছে মামলার সব নথি আছে। একটু সময় দিন, সব আপনাদের দিব।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে নিরপরাধ জাহালমের মামলার বিশদ ব্যাখ্য চান আদালত। দুদকের আইনজীবী ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন।
বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় জাহালমকে কীভাবে ২৬ মামলার আসামি করা হয়, আবার দুদকের অধিকতর তদন্তে জাহালম কীভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন এ বিষয়গুলো হলফনামা থেকে আদালতকে পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, ‘চ্যানেল ২৪ এ জাহালমের বিষয়ে প্রতিবেদনের পর দুদক তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। তদন্তে জাহালম যে নির্দোষ তা উঠে আসে। আমরা তো সঠিক পথেই আছি।’
তখন আদালত বলেন, চ্যানেল ২৪ এ রিপোর্ট হওয়ার আগে তিনি (তদন্ত কর্মকর্তা) কি করেছেন? দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আপনাদের অনেক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। যে বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারেনা সেই বিড়াল থাকার দরকার নেই।’ জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘সবকিছু দুদকের তফসিলের আওতায় নেই।
আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে।’
আদালত বলেন, ‘আগে অনেকেই দুর্নীতিকে ঘৃণা করতো। কিন্তু এখন অবক্ষয় ঘটেছে।’
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমরা যা করেছি বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যংকের সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা করেছি। ব্যাংক থেকে তাকে সনাক্ত করা হয়েছে’
আদালত তখন বলেন, ‘ব্যাংক প্রতিবেদন দিয়েছে কিন্তু আপনারা সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করবেন না?
খুরশীদ আলম খান বলেন, সম্পুর্ন প্রতিবেদন পড়লে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
আদালত বলেন, আপনারা প্রতিবেদনে বলছেন জাহালম ১৮ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। পাঁচটি ব্যাংককে পক্ষভূক্ত করার আবেদন জানিয়ে এখন মৌখিকভাবে ২টি ব্যাংককে পক্ষভুক্ত করতে চাচ্ছেন? ইসলামী ব্যাংককে পক্ষভূক্ত করার আবেদন করা হয়নি। এ মামলার অভিযোগপত্র কোথায়?’
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আমাদের কাছে মামলার সব নথি আছে। একটু সময় দিন, সব আপনাদের দিব।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে নিরপরাধ জাহালমের মামলার বিশদ ব্যাখ্য চান আদালত। দুদকের আইনজীবী ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন।
No comments