ফুটপাতে দোকান, হাঁটার জো নেই by সাবরিনা ইয়াসমীন
চোখে-মুখে
বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। দুই হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছেন নিজের ব্যাগ। বেশ
কিছুটা সময় তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন ভিড় কমার জন্য। ভিড় কমে আসতেই এক নারী
দ্রুত পায়ে চলে যান নিজ গন্তব্যে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন থেকে মিরপুর-১-এর দিকে যাওয়ার সড়কের ফুটপাতে দেখা যায় এই দৃশ্য। এই ফুটপাতের দুই পাশে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন হকাররা। হাঁটার জায়গা থাকে সামান্যই। এতে ওই নারীর মতো পথচারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
গতকাল দেখা যায়, ফুটপাতের দুই পাশে তৈরি পোশাক, ঘড়ি, মুঠোফোনের চার্জার, হেডফোন, পেনড্রাইভ, ইলেকট্রনিক পণ্য, চশমা, টুপিসহ নানা ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা পণ্য দেখছেন, বাছাই করছেন, চলছে দর-কষাকষি। এতে পথচারীদের হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল কথা হয় শহীদ আনোয়ারা গার্লস কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল নাইমার সঙ্গে। সে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে। তার বাসা মিরপুর আনসার ক্যাম্পে। প্রতিদিনই কলেজে যাওয়া-আসা করতে সড়কটি ব্যবহার করে সে। জান্নাতুল নাইমা বলল, পদচারী-সেতুতে উঠতে-নামতে এই ফুটপাত ব্যবহার করতে হয়। এ সময় সে রীতিমতো আতঙ্ক বোধ করে সে। পদচারী-সেতু লাগোয়া চায়ের দোকানে প্রায়ই ভিড় লেগে থাকে। আসা-যাওয়ার পথে অনেক সময় দোকান থেকে বাজে কথা ভেসে আসে।
সেনপাড়া পর্বতার বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজের ছাত্র আলীম ইয়াসির বলেন, এই ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করতে হয়। দোকানিরা তাঁদের পণ্য বিক্রির জন্য হাঁকডাক দেন। খুবই বিরক্তিকর হলেও কিছু করার থাকে না।
নাসরিন জাহান নামের এক নারী বলেন, অনেক বখাটে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ‘সুযোগ’ বুঝে ধাক্কা দেয়। আবার অনেক সময় সরে দাঁড়াতে বললে বাজে দৃষ্টিতে তাকায়। কখনো একটু-আধটু প্রতিবাদ করলে দোকানিরা এক জোট হয়ে শুরু করে দেয় বাজে মন্তব্য।
শামসুন্নাহার নামের এক বৃদ্ধা বলেন, এই ফুটপাত দিয়ে বয়স্কদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হয়। অনেক সময় দোকানের ক্রেতারা এমনভাবে দোকানে দাঁড়িয়ে জিনিস দেখেন যে হাঁটার পথটুকু থাকে না।
ফুটপাত দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) এ এস এম সফিউল আজম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে তাঁরা ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন। ফুটপাত থেকে সব দোকানপাট তখন তুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাসমান দোকানগুলো আবার বসলে সেগুলো আবার উচ্ছেদ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন থেকে মিরপুর-১-এর দিকে যাওয়ার সড়কের ফুটপাতে দেখা যায় এই দৃশ্য। এই ফুটপাতের দুই পাশে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন হকাররা। হাঁটার জায়গা থাকে সামান্যই। এতে ওই নারীর মতো পথচারীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
গতকাল দেখা যায়, ফুটপাতের দুই পাশে তৈরি পোশাক, ঘড়ি, মুঠোফোনের চার্জার, হেডফোন, পেনড্রাইভ, ইলেকট্রনিক পণ্য, চশমা, টুপিসহ নানা ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা পণ্য দেখছেন, বাছাই করছেন, চলছে দর-কষাকষি। এতে পথচারীদের হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে।
গতকাল কথা হয় শহীদ আনোয়ারা গার্লস কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল নাইমার সঙ্গে। সে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে। তার বাসা মিরপুর আনসার ক্যাম্পে। প্রতিদিনই কলেজে যাওয়া-আসা করতে সড়কটি ব্যবহার করে সে। জান্নাতুল নাইমা বলল, পদচারী-সেতুতে উঠতে-নামতে এই ফুটপাত ব্যবহার করতে হয়। এ সময় সে রীতিমতো আতঙ্ক বোধ করে সে। পদচারী-সেতু লাগোয়া চায়ের দোকানে প্রায়ই ভিড় লেগে থাকে। আসা-যাওয়ার পথে অনেক সময় দোকান থেকে বাজে কথা ভেসে আসে।
সেনপাড়া পর্বতার বাসিন্দা ও ঢাকা কলেজের ছাত্র আলীম ইয়াসির বলেন, এই ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করতে হয়। দোকানিরা তাঁদের পণ্য বিক্রির জন্য হাঁকডাক দেন। খুবই বিরক্তিকর হলেও কিছু করার থাকে না।
নাসরিন জাহান নামের এক নারী বলেন, অনেক বখাটে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ‘সুযোগ’ বুঝে ধাক্কা দেয়। আবার অনেক সময় সরে দাঁড়াতে বললে বাজে দৃষ্টিতে তাকায়। কখনো একটু-আধটু প্রতিবাদ করলে দোকানিরা এক জোট হয়ে শুরু করে দেয় বাজে মন্তব্য।
শামসুন্নাহার নামের এক বৃদ্ধা বলেন, এই ফুটপাত দিয়ে বয়স্কদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হয়। অনেক সময় দোকানের ক্রেতারা এমনভাবে দোকানে দাঁড়িয়ে জিনিস দেখেন যে হাঁটার পথটুকু থাকে না।
ফুটপাত দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) এ এস এম সফিউল আজম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে তাঁরা ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন। ফুটপাত থেকে সব দোকানপাট তখন তুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাসমান দোকানগুলো আবার বসলে সেগুলো আবার উচ্ছেদ করা হবে।
No comments