চলে গেলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুমাতা by অমর সাহা
ভারতের
মতুয়া মহাসংঘের প্রধান উপদেষ্টা গুরুমাতা বড়মা বীণাপাণি দেবী আর নেই।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫২ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর
বয়স হয়েছিল ১০১ বছর।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় কয়েক দিন ধরে কলকাতার এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীণাপাণি দেবী। গত সোমবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ বুধবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট দেওয়ার কথা ছিল।
মতুয়া সম্প্রদায়ের এই গুরুমাতার জন্ম অবিভক্ত ভারতবর্ষের বরিশাল জেলার জব্দকাঠিতে। অল্প বয়সেই গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির মতুয়া আশ্রমের প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরকে বিয়ে করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি স্বামীকে নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। পরবর্তী সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের আশ্রম গড়েন। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে আশ্রমের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুমাতা হিসেবে পূজিত হতে থাকেন।
বড়মায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মতুয়া মহলে। তাঁর মৃত্যুসংবাদে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইটে তিনি বলেন,‘বড়মা বীণাপাণি দেবী আমাদের সময়ের একজন আইকন। বহু মানুষের অনুপ্রেরণা ও শক্তির উৎসস্থল। আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বড়মায়ের আদর্শ । সামাজিক ন্যায় ও ঐক্যের জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘গত মাসে বড়মায়ের আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। তাঁর সাক্ষাৎ চিরকাল আমার মনে থেকে যাবে। দুঃখের সময়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছি আমরা।’ গত ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে এসে বড়মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরেন্দ্র মোদি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুসংবাদ শোনার পর তিনি ছুটে যান কলকাতার পিজি হাসপাতালে। বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য হবে।
মমতা বলেন, ‘বড়মা একজন অভিভাবকের মতো আমার পাশে থেকেছেন। আমাকে বহুবার সমর্থন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমার বিরাট ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেল। বড়মাকে আমরা রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেছিলাম। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
মতুয়া সম্প্রদায় এখনো উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া , মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ এই রাজ্যে আরও কিছু এলাকার ভোটের নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছে। তবে মতুয়া সম্প্রদায় কিছুটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ তৃণমূলের পক্ষ, কেউ আবার বিজেপির পক্ষ নিয়েছে। মতুয়া মহাসংঘও দুভাগ হয়ে পড়েছে। এক ভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এবং অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। মমতাবালা গুরুমাতার বড় ছেলে প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী। আর শান্তনু ঠাকুর গুরুমাতার ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে।
মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। মমতারও একটা বিরাট ভোটব্যাংক রয়েছে এই মতুয়াভক্তদের মধ্যে।
পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি রাজ্য বিধানসভার আসনের ৫৭টি আসনের এখনো নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছে মতুয়ারা। পাশাপাশি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনেরও নির্ণায়ক শক্তি তারা।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় কয়েক দিন ধরে কলকাতার এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীণাপাণি দেবী। গত সোমবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ বুধবার কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট দেওয়ার কথা ছিল।
মতুয়া সম্প্রদায়ের এই গুরুমাতার জন্ম অবিভক্ত ভারতবর্ষের বরিশাল জেলার জব্দকাঠিতে। অল্প বয়সেই গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির মতুয়া আশ্রমের প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরকে বিয়ে করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি স্বামীকে নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। পরবর্তী সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের আশ্রম গড়েন। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে আশ্রমের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুমাতা হিসেবে পূজিত হতে থাকেন।
বড়মায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মতুয়া মহলে। তাঁর মৃত্যুসংবাদে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইটে তিনি বলেন,‘বড়মা বীণাপাণি দেবী আমাদের সময়ের একজন আইকন। বহু মানুষের অনুপ্রেরণা ও শক্তির উৎসস্থল। আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বড়মায়ের আদর্শ । সামাজিক ন্যায় ও ঐক্যের জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘গত মাসে বড়মায়ের আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। তাঁর সাক্ষাৎ চিরকাল আমার মনে থেকে যাবে। দুঃখের সময়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছি আমরা।’ গত ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে এসে বড়মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরেন্দ্র মোদি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুসংবাদ শোনার পর তিনি ছুটে যান কলকাতার পিজি হাসপাতালে। বলেন, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য হবে।
মমতা বলেন, ‘বড়মা একজন অভিভাবকের মতো আমার পাশে থেকেছেন। আমাকে বহুবার সমর্থন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমার বিরাট ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেল। বড়মাকে আমরা রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেছিলাম। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
মতুয়া সম্প্রদায় এখনো উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া , মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ এই রাজ্যে আরও কিছু এলাকার ভোটের নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছে। তবে মতুয়া সম্প্রদায় কিছুটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ তৃণমূলের পক্ষ, কেউ আবার বিজেপির পক্ষ নিয়েছে। মতুয়া মহাসংঘও দুভাগ হয়ে পড়েছে। এক ভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এবং অন্য অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। মমতাবালা গুরুমাতার বড় ছেলে প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী। আর শান্তনু ঠাকুর গুরুমাতার ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে।
মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। মমতারও একটা বিরাট ভোটব্যাংক রয়েছে এই মতুয়াভক্তদের মধ্যে।
পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি রাজ্য বিধানসভার আসনের ৫৭টি আসনের এখনো নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে রয়েছে মতুয়ারা। পাশাপাশি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনেরও নির্ণায়ক শক্তি তারা।
No comments