ট্রাম্পের সামরিক হামলার হুমকি, মাদুরোকে রক্ষা করতে ৪০০ সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া
ভেনিজুয়েলায়
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন
সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন, তখন তাকে রক্ষা করতে প্রায় ৪০০ সেনা পাঠিয়েছে
রাশিয়া। ভেনিজুয়েলাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ এক যুদ্ধপরিস্থিতি বিরাজ করছে।
ভেনিজুয়েলায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে
যেতে দেখা গেছে। তাদেরকে পুলিশি প্রহরা দিতে অনুরোধ জানানো মার্কিন
দূতাবাসের একটি চিঠি ফাঁস হয়ে গেছে। এসব খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি
মেইল। এতে বলা হয়, গত বুধবার হুয়ান গাইডো নিজেকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি পলাতক।
তাকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, কানাডা সহ এক ডজনেরও বেশি দেশ।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে মাদুরোকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীন, সিরিয়া, তুরস্ক সহ বেশ কিছু দেশ। এক্ষেত্রে মাদুরোর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন দেশের সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন। তবে বিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে যে, মাদুরোকে রক্ষা করতে রাশিয়ার ৪০০ সেনা পাঠানো হয়েছে। তারা তাকে সুরক্ষা দেবেন।
নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনীতিককে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে তার দেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেন। নিজের সব কূটনীতিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় রাজধানী কারাকাসের বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের। তাদেরকে বহনকারী ১০টি গাড়িকে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা। এমন একটি চিঠি ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি নেটওয়ার্ক টেলেসুর প্রচার করেছে। ওদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যেসব নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, মাদুরোর নির্দেশ অবৈধ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভেনিজুয়েলার বৈধ শাসক মনে করে না। তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র সব রকমের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো কড়া অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলায় উত্তোলন করা তেলের এক তৃতীয়াংশ যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। মাদুরোকে বৈধ নেতা হিসেবে মানেন না বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
তেলসমৃদ্ধ অথচ ভেঙে পড়া অর্থনীতির এ দেশটি গত বুধবার ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। ওইদিন ৩৫ বছর বয়সী বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডো নিকেজে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। তাকে দ্রুততার সঙ্গে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও কলোম্বিয়া সহ আঞ্চলিক অনেক দেশ সমর্থন করে। অন্যদিকে নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীন সহ বেশ কিছু দেশ। এর ফলে নতুন করে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মাদুরো সঙ্কট সমাধানে হুয়ান গাইডোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন। কিন্তু গাইডো তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওদিকে রাজধানী কারাকাসে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। কেউ মাদুরোর পক্ষে। কেউ বিপক্ষে। এ সপ্তাহে সেখানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেলে ব্যাচেলেট। তিনি জেনেভায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন যে, ভেনিজুয়েলার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ এক বিপর্যয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে মাদুরোকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীন, সিরিয়া, তুরস্ক সহ বেশ কিছু দেশ। এক্ষেত্রে মাদুরোর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন দেশের সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন। তবে বিপোর্ট ছড়িয়ে পড়েছে যে, মাদুরোকে রক্ষা করতে রাশিয়ার ৪০০ সেনা পাঠানো হয়েছে। তারা তাকে সুরক্ষা দেবেন।
নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনীতিককে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে তার দেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেন। নিজের সব কূটনীতিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় রাজধানী কারাকাসের বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের। তাদেরকে বহনকারী ১০টি গাড়িকে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা। এমন একটি চিঠি ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি নেটওয়ার্ক টেলেসুর প্রচার করেছে। ওদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যেসব নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, মাদুরোর নির্দেশ অবৈধ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভেনিজুয়েলার বৈধ শাসক মনে করে না। তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র সব রকমের বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো কড়া অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারেন। এখানে উল্লেখ্য, ভেনিজুয়েলায় উত্তোলন করা তেলের এক তৃতীয়াংশ যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। মাদুরোকে বৈধ নেতা হিসেবে মানেন না বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
তেলসমৃদ্ধ অথচ ভেঙে পড়া অর্থনীতির এ দেশটি গত বুধবার ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। ওইদিন ৩৫ বছর বয়সী বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডো নিকেজে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। তাকে দ্রুততার সঙ্গে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও কলোম্বিয়া সহ আঞ্চলিক অনেক দেশ সমর্থন করে। অন্যদিকে নিকোলাস মাদুরোকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীন সহ বেশ কিছু দেশ। এর ফলে নতুন করে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মাদুরো সঙ্কট সমাধানে হুয়ান গাইডোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন। কিন্তু গাইডো তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওদিকে রাজধানী কারাকাসে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। কেউ মাদুরোর পক্ষে। কেউ বিপক্ষে। এ সপ্তাহে সেখানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেলে ব্যাচেলেট। তিনি জেনেভায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি চরমভাবে উদ্বিগ্ন যে, ভেনিজুয়েলার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাতে দেখা দিতে পারে ভয়াবহ এক বিপর্যয়।
No comments