রাতের শহরে নিশিকন্যাদের হাট by রুদ্র মিজান
ঠোঁটে
গাঢ় লিপস্টিক, মুখে ফেস পাউডার, চোখে আইশ্যাডো। সিনেমার নায়িকাদের মতো
সাজতে গিয়ে অনেকটা অতিরঞ্জিত মেকআপ নেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে এভাবেই সাজগোজ
শুরু করেন। পাতলা শিপন শাড়িটা গায়ে জড়ান। পুরান ঢাকা থেকে কেনা পারফিউমের
সুগন্ধ গায়ে মেখে বের হন বাসা থেকে। তারপর বাসযোগে সাভার থেকে ফার্মগেট।
দীর্ঘ প্রায় ঘণ্টা-দেড় ঘণ্টায় পৌঁছেন। গভীর রাত পর্যন্ত ফার্মগেট মোড়ে
হেঁটে-বসে কাটান তিনি।
চারপাশে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে, এমনকি কেউ চলতে চলতে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখেন এই নারীকে। কেউ কেউ উৎসুক হয়ে কথা বলেন। তাদের মধ্যে কারো সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হলে মুহূর্তের মধ্যেই হাওয়া হয়ে যান। এভাবে একাধিকবার এই এলাকা থেকে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যান তিনি। ফিরে আসেন। তখন ঠোঁটের লিপস্টিক আর ঠোঁটে নেই, ছড়িয়ে গেছে ঠোঁটের ওপরে-নিচে। ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে আয়না বের করে দ্রুত তা ঠিক করে নেন।
পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব এই নারীর নাম আসমা বেগম। সপ্তাহে অন্তত চার দিন এভাবেই সেজেগুজে ফার্মগেটে হাজির হন তিনি। আসমা জানান, তার তিন সন্তান। এক ছেলে, দুই মেয়ে। সবাই স্কুলপড়ুয়া। স্বামী নেই। গাড়ি চালক স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অর্থের প্রয়োজনে রাতের হাটে হাজির হন তিনি। গত রোববার রাতে ফার্মগেটের বাস্টস্টপেজে দীর্ঘ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। এসময় আশপাশে ভিড় করেছিলেন ওই হাটের অন্য নারীরাও। তবে তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন ছাড়া সবার পরনেই কালো বোরকা। মুখ ঢাকা।
আসমা জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার স্বামী। ভোলার ভাঙনকবলিত এলাকায় তাদের বাড়ি। বাড়িতে সম্পদ বলতে কিছু নেই। আসমা বলেন, কখনো ভাবিনি স্বামী ছাড়া অন্য কারো বিছানায় সঙ্গী হবো। কিন্তু ভাগ্য আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, গার্মেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। সেখানে সুপারভাইজারের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরিটা যায় যায় অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সহকর্মী আরেক নারীর পরামর্শে চাকরির পাশাপাশি রাতের হাটের বাণিজ্য শুরু করেন তিনি। এই কাজে আয় বেশি। তাই চাকরিটা ছেড়ে দেন।
তার মতোই আরেক নারীর নাম শান্তা। শান্তা থাকেন শনির আখড়া। রাত ৮টার পরেই সেজেগুজে ফার্মগেট বা পান্তকুঞ্জে হাজির হন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। শান্তা জানান, এটাকে তিনি ব্যবসা মনে করেন। তার মতে এখানে চরিত্র হারানোর কিছু নেই। টাকার বিনিময়ে সেবা দেন তিনি। শান্তা বলেন, আমিতো কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছি না। চুরি-ছিনতাই করি না। আমি একজনের প্রয়োজন মেটাচ্ছি, বিনিময়ে তিনি টাকা দিচ্ছেন। ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পান্তকুঞ্জে যান না তিনি। এখানে স্থানীয় কিছু বখাটেদের চাঁদা দিতে হয়, নইলে তাদের ছিনতাইয়ে সহযোগিতা করতে হয়। তাছাড়া প্রায়ই পুলিশ ঝামেলা করে।
মহাখালী বাসস্টপেজে দীর্ঘসময় পাঁয়চারি করছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী এক নারী। পুরুষদের দেখলেই এগিয়ে যান। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকেন। চোখে চোখ রাখেন। অকারণেই মুচকি হাসেন। কখনও কখনও মোবাইলফোনে কথা বলেন। এর মধ্যেই একটি সিএনজি অটোরিকশা থামে তার পাশে। আস্তে আস্তে কথা বলেন চালক। ওই নারীর কণ্ঠ স্বাভাবিক। তার উচ্চারিত শেষ বাক্যটি ছিল ‘ইশ, এত কম টাকায়। যান বাসায় গিয়ে কম্বলের উপরে শুয়ে থাকেন।’
কথা হয় ওই নারীর সঙ্গে। নাম মনিরা। তিনি জানান, আগে থাকতেন করাইল বস্তিতে। এখন থাকেন কুড়িলে।
লেখাপড়া করেছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। সারাদিন বাসায় থাকেন। চেহারার যত্ন নেন। সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হন। রাস্তায় এভাবে খদ্দের সংগ্রহ করতে ভালোলাগে না তার। একসময়ে ঢাকার বেশির ভাগ হোটেলে এই বাণিজ্য করা যেত। এখন হোটেলগুলোতে আগের মতো তা হয় না। যে কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় দাঁড়িয়ে খদ্দের সংগ্রহ করেন। বনানী এলাকায় পরিচিত জনের বাসায় নিয়ে যান, কখনও হোটেলে রুম নেন। দুই ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া দিতে হয় রুমের মালিককে। তিন-চার জন খদ্দের পাওয়া গেলেই কয়েক হাজার টাকা পান মনিরা।
গুলিস্তান এলাকায় কথা হয় রাতের হাটের আরেক নারী পূর্ণিমা দাশের সঙ্গে। শুরুতেই শর্ত দেন ‘কাজ করলে কথা, নইলে আজাইরা প্যাঁচাল কইরা লাভ নাই। আপনারা শুধু শুধু প্যাঁচাল করেন, চেহারা দেখলেই বুঝি কারা কাজের কারা অকাজের।’ তবে চটপটি খাওয়ার প্রস্তাব দিলে রাজি হন তিনি। পূর্ণিমা জানান, ঢাকার গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে নিয়মিত খদ্দের নিয়ে যান তিনি। মাঝে মাঝে পার্টিতে যান। নাচ করেন। গাজীপুরে, নারায়ণগঞ্জে, মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যান তিনি। নাচে গেলে একরাতে কয়েক হাজার টাকা বকশিশ পাওয়া যায়। শেষ রাতে বিছানায় সঙ্গী হলে বেশ ভালো আয় করতে পারেন।
পুরান ঢাকায় একটি বাসায় সাবলেট থাকেন তিনি। বাড়িতে সবাই জানে চাকরি করেন। বাড়িতে মা-বাবা, ভাই, বোন সবাই আছে। এই হাটে নিজের শরীর বিক্রি করতে ভালো লাগে না তার। একটা ভালো চাকরি পেলে এই পথ ছেড়ে দিবেন। পূর্ণিমা বলেন, কয়েক বছর আগের তুলনায় শিক্ষিত ছেলেরা আমাদের কাছে কম আসে। তাদের প্রত্যেকের এখন গার্লফ্রেন্ড আছে। অযথা আমাদের টাকা দেবে কেন। তবে যাদের নেশা হয়ে গেছে তারা আসে। এ ছাড়াও সিএনজি অটোরিকশা, বাসচালক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, কর্মচারীরাই তাদের খদ্দের। তবে কম বয়সী ছেলেরা প্রায়ই তাকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। পূর্ণিমা জানান, বাসা খালি হলেই দু’তিন জন বন্ধু মিলে পার্টি দেয় কম বয়সী ছেলেরা। এসব পার্টিতেও ডাক পড়ে তার।
এছাড়াও রাত নেমে এলে ঢাকার বিজয় সরণি, মানিকমিয়া এভিনিউ’র খেজুরবাগান এলাকা, গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোড, প্রেস ক্লাব-হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেন রাতের হাটের নিশি কন্যারা। তাদের মধ্যে একটা শ্রেণি রয়েছে ভাসমান। তারা ফুটপাতে থাকেন। ফুটপাতেই মশারি-কাপড় টানিয়ে নিজের শরীর বিক্রি করেন। তাদের খদ্দের অতিনিম্ন আয়ের পুরুষ। এছাড়াও আরেকটা শ্রেণি হচ্ছে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারী। তারাও সেজেগুজে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। অর্থের বিনিময়ে তারাও শরীর বিক্রি করে। এসব পেশায় সংশ্লিষ্টরা নিজেদের নিরাপত্তা চান। নানা রকম হয়রানি থেকে মুক্ত থাকতে চান। বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনার অনুরোধ তাদের।
চারপাশে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে, এমনকি কেউ চলতে চলতে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখেন এই নারীকে। কেউ কেউ উৎসুক হয়ে কথা বলেন। তাদের মধ্যে কারো সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হলে মুহূর্তের মধ্যেই হাওয়া হয়ে যান। এভাবে একাধিকবার এই এলাকা থেকে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টার জন্য উধাও হয়ে যান তিনি। ফিরে আসেন। তখন ঠোঁটের লিপস্টিক আর ঠোঁটে নেই, ছড়িয়ে গেছে ঠোঁটের ওপরে-নিচে। ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে আয়না বের করে দ্রুত তা ঠিক করে নেন।
পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব এই নারীর নাম আসমা বেগম। সপ্তাহে অন্তত চার দিন এভাবেই সেজেগুজে ফার্মগেটে হাজির হন তিনি। আসমা জানান, তার তিন সন্তান। এক ছেলে, দুই মেয়ে। সবাই স্কুলপড়ুয়া। স্বামী নেই। গাড়ি চালক স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই অর্থের প্রয়োজনে রাতের হাটে হাজির হন তিনি। গত রোববার রাতে ফার্মগেটের বাস্টস্টপেজে দীর্ঘ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। এসময় আশপাশে ভিড় করেছিলেন ওই হাটের অন্য নারীরাও। তবে তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জন ছাড়া সবার পরনেই কালো বোরকা। মুখ ঢাকা।
আসমা জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার স্বামী। ভোলার ভাঙনকবলিত এলাকায় তাদের বাড়ি। বাড়িতে সম্পদ বলতে কিছু নেই। আসমা বলেন, কখনো ভাবিনি স্বামী ছাড়া অন্য কারো বিছানায় সঙ্গী হবো। কিন্তু ভাগ্য আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। তিনি জানান, গার্মেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। সেখানে সুপারভাইজারের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরিটা যায় যায় অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে সহকর্মী আরেক নারীর পরামর্শে চাকরির পাশাপাশি রাতের হাটের বাণিজ্য শুরু করেন তিনি। এই কাজে আয় বেশি। তাই চাকরিটা ছেড়ে দেন।
তার মতোই আরেক নারীর নাম শান্তা। শান্তা থাকেন শনির আখড়া। রাত ৮টার পরেই সেজেগুজে ফার্মগেট বা পান্তকুঞ্জে হাজির হন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। শান্তা জানান, এটাকে তিনি ব্যবসা মনে করেন। তার মতে এখানে চরিত্র হারানোর কিছু নেই। টাকার বিনিময়ে সেবা দেন তিনি। শান্তা বলেন, আমিতো কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছি না। চুরি-ছিনতাই করি না। আমি একজনের প্রয়োজন মেটাচ্ছি, বিনিময়ে তিনি টাকা দিচ্ছেন। ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ পান্তকুঞ্জে যান না তিনি। এখানে স্থানীয় কিছু বখাটেদের চাঁদা দিতে হয়, নইলে তাদের ছিনতাইয়ে সহযোগিতা করতে হয়। তাছাড়া প্রায়ই পুলিশ ঝামেলা করে।
মহাখালী বাসস্টপেজে দীর্ঘসময় পাঁয়চারি করছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী এক নারী। পুরুষদের দেখলেই এগিয়ে যান। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকেন। চোখে চোখ রাখেন। অকারণেই মুচকি হাসেন। কখনও কখনও মোবাইলফোনে কথা বলেন। এর মধ্যেই একটি সিএনজি অটোরিকশা থামে তার পাশে। আস্তে আস্তে কথা বলেন চালক। ওই নারীর কণ্ঠ স্বাভাবিক। তার উচ্চারিত শেষ বাক্যটি ছিল ‘ইশ, এত কম টাকায়। যান বাসায় গিয়ে কম্বলের উপরে শুয়ে থাকেন।’
কথা হয় ওই নারীর সঙ্গে। নাম মনিরা। তিনি জানান, আগে থাকতেন করাইল বস্তিতে। এখন থাকেন কুড়িলে।
লেখাপড়া করেছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। সারাদিন বাসায় থাকেন। চেহারার যত্ন নেন। সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হন। রাস্তায় এভাবে খদ্দের সংগ্রহ করতে ভালোলাগে না তার। একসময়ে ঢাকার বেশির ভাগ হোটেলে এই বাণিজ্য করা যেত। এখন হোটেলগুলোতে আগের মতো তা হয় না। যে কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় দাঁড়িয়ে খদ্দের সংগ্রহ করেন। বনানী এলাকায় পরিচিত জনের বাসায় নিয়ে যান, কখনও হোটেলে রুম নেন। দুই ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া দিতে হয় রুমের মালিককে। তিন-চার জন খদ্দের পাওয়া গেলেই কয়েক হাজার টাকা পান মনিরা।
গুলিস্তান এলাকায় কথা হয় রাতের হাটের আরেক নারী পূর্ণিমা দাশের সঙ্গে। শুরুতেই শর্ত দেন ‘কাজ করলে কথা, নইলে আজাইরা প্যাঁচাল কইরা লাভ নাই। আপনারা শুধু শুধু প্যাঁচাল করেন, চেহারা দেখলেই বুঝি কারা কাজের কারা অকাজের।’ তবে চটপটি খাওয়ার প্রস্তাব দিলে রাজি হন তিনি। পূর্ণিমা জানান, ঢাকার গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে নিয়মিত খদ্দের নিয়ে যান তিনি। মাঝে মাঝে পার্টিতে যান। নাচ করেন। গাজীপুরে, নারায়ণগঞ্জে, মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যান তিনি। নাচে গেলে একরাতে কয়েক হাজার টাকা বকশিশ পাওয়া যায়। শেষ রাতে বিছানায় সঙ্গী হলে বেশ ভালো আয় করতে পারেন।
পুরান ঢাকায় একটি বাসায় সাবলেট থাকেন তিনি। বাড়িতে সবাই জানে চাকরি করেন। বাড়িতে মা-বাবা, ভাই, বোন সবাই আছে। এই হাটে নিজের শরীর বিক্রি করতে ভালো লাগে না তার। একটা ভালো চাকরি পেলে এই পথ ছেড়ে দিবেন। পূর্ণিমা বলেন, কয়েক বছর আগের তুলনায় শিক্ষিত ছেলেরা আমাদের কাছে কম আসে। তাদের প্রত্যেকের এখন গার্লফ্রেন্ড আছে। অযথা আমাদের টাকা দেবে কেন। তবে যাদের নেশা হয়ে গেছে তারা আসে। এ ছাড়াও সিএনজি অটোরিকশা, বাসচালক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, কর্মচারীরাই তাদের খদ্দের। তবে কম বয়সী ছেলেরা প্রায়ই তাকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। পূর্ণিমা জানান, বাসা খালি হলেই দু’তিন জন বন্ধু মিলে পার্টি দেয় কম বয়সী ছেলেরা। এসব পার্টিতেও ডাক পড়ে তার।
এছাড়াও রাত নেমে এলে ঢাকার বিজয় সরণি, মানিকমিয়া এভিনিউ’র খেজুরবাগান এলাকা, গুলশান-বাড্ডা লিঙ্ক রোড, প্রেস ক্লাব-হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেন রাতের হাটের নিশি কন্যারা। তাদের মধ্যে একটা শ্রেণি রয়েছে ভাসমান। তারা ফুটপাতে থাকেন। ফুটপাতেই মশারি-কাপড় টানিয়ে নিজের শরীর বিক্রি করেন। তাদের খদ্দের অতিনিম্ন আয়ের পুরুষ। এছাড়াও আরেকটা শ্রেণি হচ্ছে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারী। তারাও সেজেগুজে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। অর্থের বিনিময়ে তারাও শরীর বিক্রি করে। এসব পেশায় সংশ্লিষ্টরা নিজেদের নিরাপত্তা চান। নানা রকম হয়রানি থেকে মুক্ত থাকতে চান। বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনার অনুরোধ তাদের।
No comments